অতি 'বাঙ্গালীয়ানা' হবার নেপথ্যেঃ আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশ থেকে মুসলিম জাতি সত্ত্বার উৎপাটন ??!!
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ১৭ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:০২:১৬ দুপুর
(বিষয়টা নিয়ে কোথাও এক ঘরোয়া আলোচনা হচ্ছিলো, তার সারাংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, দয়া করে হেসে উড়িয়ে দিবেন না।)
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় এক ভয়াবহ অন্ধকার ভবিষ্যতের বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। কিছু লোক খুব পরিকল্পিতভাবে আমাদের জাতিকে দ্বিধা-বিভক্ত করে দিতে চাইছেন এবং তারা অনেকখানি সফলও হয়েছেন। এই জাতি বিভক্তির সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্যে ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীনতার চেতনা, একাত্তরের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, নাস্তিকতা সহ নানা রকমের মতবাদ ও পরিভাষা বাজারের চালু করা হচ্ছে। এর সর্বশেষ হচ্ছে 'বাঙ্গালীয়ানা' যার মূল আবেদন হচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইসলাম ও মুসলমানিত্ব থেকে সরিয়ে ক্রমে ক্রমে হিন্দুত্বের দিকে ফিরিয়ে নেওয়া।
আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন মংগল শোভা, মংগল প্রদীপ ইত্যাদি আমাদের মধ্যে বিশালভাবে চালু হয়ে গিয়েছে, যেগুলো এসেছে হিন্দু সংস্কৃতি থেকে। এর চেয়ে ভয়াবহ চিত্র হলো আমাদের মুসলিম উৎসবগুলো পালন হয় (যেমন ঈদ, বিয়ে) এমনসব মেলা-মীনাবাজার, নাটক, সিনেমা, গল্প-উপন্যাস ও কবিতা দিয়ে যার সাথে ঈদ বা ইসলামী কালচারের সাথে দূরতম সম্পর্ক তো নেই, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইসলাম ও আচারী মুসলমানদের আক্রমন ও হেয় করাই মূল উদ্দেশ্য থাকে।
এ সব কাজ বা 'জাতি বিভক্তি'র মূল উদ্দেশ্য হলো আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে ইসলামকে একটা সংখ্যালঘু সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত করা এবং আগামী ১০০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের স্বকীয়তা ও স্বাধীনতাকে মুছে ফেলা।।
অবস্থা এমন দাঁড়াবে যে, বার্মায় যেমন মুসলিমদেরকে জবাই করে জ্বালিয়ে ফেলা হচ্ছে, পানি ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, বাংলাদেশের মুসলমানদেরকেও একদিন এমনভাবে হত্যা করা হবে। যারা ইসলাম পালন করবেন বা ইসলামী কালচার পালন করবেন তাদেরকে বলা হবে পাকিস্তানী না মক্কাবাসী!! আপনার আমার ছেলে-মেয়েদেরকে পৈত্রিক ভিটে-মাটি ও বাড়ি থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হবে। আর এই দুনিয়ার কেউ তাদের পাশে এসে দাড়াবেন না, যেমন আজ বার্মার মুসলমানদের জন্যে কেউই নেই।
আমাদের ঐকান্তিক আবেদনঃ
আমরা মুসলমানরা চাই হিন্দু-মুসলিম-খৃস্টান-বৌদ্ধ সকল বাংলাদেশী মিলে এক সাথে সুখে-শান্তিতে এক জাতি, বাংলাদেশী হয়ে থাকতে। আমরা চাই সম্মান নিয়ে এই দুনিয়ায় মাথা তুলে দাড়াতে।
যুগে যুগে আমরা তো শুধু শাসিতই হয়ে এসেছি। আমরা এই দুনিয়ায় কখনো একটা উন্নত জাতি হিসাবে সম্মান নিয়ে মাথা তুলে দাড়াতে পারিনি। বিশ্বের দরবারে আজো আমাদের পরিচয় হলো- আমরা ভিখারী জাতি, শ্রমিক জাতি যারা নিজেদের দেশ ময়লা করে অন্য দেশের ময়লা ও জংগল পরিস্কার করে বেড়ায় (সকলেই নন, তবে বেশীরভাগ)। আমাদের আজ এতো সম্মান যে, বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখলে ভুটান-নেপালের বিমানবন্দরের ঝাড়ুদাররাও নাকি নাক কুচকায়!!
মনে রাখতে হবে- ইসলামকে ঝেটিয়ে আর মুসলমানিত্বকে বাদ দিয়ে আমরা যে দুনিয়ায় সম্মানের সাথে মাথা তুলে দাড়াব তার কিন্তু কোন সম্ভাবনাই নেই। বরং তাতে আমাদের দুঃখ-কষ্ট আরো বাড়বে, চাই হিন্দু হোন আর মুসলিম হোন।
আসুন, একটু পুনরায় বিবেচনা করি- কোনটি আমাদের জন্যে বেশী প্রয়োজন- একটি বিভ্রান্ত 'বাঙ্গালীয়ানা', নাকি একটি সুখী উন্নত গর্বের বাংলাদেশ?
বিষয়: বিবিধ
১৮১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন