বৃটিশ তাড়ানো দেওবন্দীরা ষাট বছর ঘুমিয়ে আবার জেগেছেন বাংলাদেশে সিংহ হুঙ্কারে
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ০৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৪৬:৩২ রাত
মহাভারত থেকে বৃটিশদের তাড়ানোর পেছনে দেওবন্দী আলেম সমাজের ভূমিকার কথা আমরা সবাই জানি।
১৯৪৭ এর পর তারা যেন নাক ডেকে ঘুমিয়েছিলেন অর্ধশত বছর।
শত বর্ষী আলেম শাহ শফীর হুংকারে সেই ঘুমন্ত সিংহরা আবার গর্জে উঠেছেন।
তাদেরকে 'টুপি ওয়ালা মোল্লার দল' বলে তাচ্ছিল্য করা হবে নাস্তিকদের আরেক ঐতিহাসিক ভুল।
তাদেরকে বোকার গোষ্ঠী মনে করে ষড়যন্ত্র করে কিছু রক্তপাত করে, ফাসির কাষ্ঠে ঝুলালেই তারা ক্ষান্ত হবেন বলে মনে করলে মারাত্মক ভুল হবে।
তারা কোন সন্ত্রাসী দল নন। তারা দেশ প্রেমিক নিঃস্বার্থ মানুষ। তারা খেয়ে না খেয়ে ইসলাম শিক্ষা করে ইমান আকীদা বজায় রেখেছেন। দেশের সরকারের টাকা না খেয়েও বিভিন্নভাবে তারা দেশের সেবা করে চলেছেন যুগ যুগ ধরে। তাই, ইমান ও দেশের টানে তারা আত্মোৎসর্গ করার জন্যে এখন প্রস্তুত বলে ঘোষনা করেছেন।
সরকারকে বুঝতে হবে, এখানে মারাত্মক একটা হতাশা ও ক্ষোভ কাজ করছে এই আন্দোলনের পেছনে। তাহলোঃ আমি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যেমন বাংলাদেশ বিরোধী কোন কাজ করলে আমার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হয়ে মৃত্যুদন্ড হতে পারে, অথচ ধর্মের অনুসারী দাবী করে ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করলে তার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও করা যাবে না?
সরকারকে আরো বুঝতে হবে যে, জাতিকে এভাবে দ্বিখন্ডিত করে অদূরদর্শী নাস্তিকেরা দেশের স্বার্বভৌমত্বকেই মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ নাম ও ভুখন্ড যতদিন থাকবে, আওয়ামী লীগরাও ততদিন থাকবে। ঠিক তেমনি, ইসলামও টিকে থাকবে শত শত বছর ধরে।
তাই, আওয়ামী ও ইসলাম মুখোমুখি না দাঁড়িয়ে তাদেরকে একটা বুঝা পড়ায় আসা দরকার। কারণ, এভাবে একই দেশের মানুষকে তাড়িয়ে তো আর জাতি গঠন হয় না।
এতে একটা চিরস্থায়ী সংঘাতের পথ খুলে যাবে।
কিন্তু সেই কাজ করবে টা কে?
বিষয়: রাজনীতি
১৮৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন