ডা. জাকির নায়েক , মওদূদী (রঃ) ও আহমদ দিদার (রঃ) এবং একটি ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ২৬ মার্চ, ২০১৩, ০৭:০৩:১৮ সন্ধ্যা
আমি মওদূদী (রহঃ) আর জাকির স্যারের মধ্য মারাত্মক মিল পেয়েছি । মনে হয়েছে মওদূদী (রহঃ) যে সুস্থধারার ইসলামী আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন ।শায়খ আহমেদ দিদাত (রহঃ) আর তার সুযোগ্য ছাত্র জাকির স্যার তাকে বৃহত্তর রূপ দিয়েছেন ।
মওদূদী(রহঃ) যে চিন্তাধারাকে পুস্তকে লিপিবদ্ধ করেছিলেন ,আধুনিককালের আহমেদ দিদাত(রহঃ),জাকি র নায়েক আর তার আইআরএফ সেই একই চিন্তাচেতনাকে ভার্চুয়াল রূপ দিয়েছেন ।
মওদূদী (রহঃ) প্রদত্ত কালেমার ব্যাখ্যা হয়তো অশিক্ষিত-মূর্খ- নিরক্ষর মানুষকে জানানো-বুঝানো কঠিন হত ,যা ডাঃ জাকির নায়েকের একটি লেকচারের মাধ্যমে এসব নিরক্ষরদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ।
ইমাম আবু হানিফা ,ইমাম শাফেঈ , ইমাম মালিক ,ইমাম হাম্বলীকে শহীদ করেছিল এই গোঁড়া আলেমরাই । সাইয়েদ কুতুবসহ পুরো ইখওয়ানুল মুসলিমীনকে ফাঁসির কাষ্ঠে চড়তে হয়েছিল এই আলেমদের ফতোয়ার কারণেই।
হালাকু খানের ধ্বংসযজ্ঞ জায়েজ করেছিল এই আলেমরাই । দেওবন্দী আর কওমী আলেমদের মত ভ্রষ্ট কদাচারীরাই মাওলানা মওদূদী (রহঃ) -কে ৩বার ফাঁসির কাষ্ঠে নিয়ে গিয়েছিল ।
ওদের সংকীর্ণমনতা দেখেই বুঝা যায় যে ওরা ভ্রষ্টাচারী । তাই বলে আমরা তাদেরকে কাফির-মুরতাদ বলিনা । তাদেরকেবাতেল ফেরকা বলে চিহ্নিত করে মাদ্রাসায় পড়াইও না ।
ওরা ইসলামের কিছু অংশ মানে আর বাকী অংশ বুঝেই না তো আবার মানবে কি ।
ওরা আউলিয়াগণের সঠিক কর্মপন্থা জানেন না , বরং কাফেরদের নির্দেশনায় লিখা বানোয়াট পন্থা ফলো করে ।
ফলে বিভিন্ন দেশে উনাদের কারণে ইসলামকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয় । উনাদের রক্ষণশীল মনোভাব অমুসলিমদের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোকে বাঁধাগ্রস্ত করে ।
এমতাবস্থায় ডাঃ জাকির নায়েকের দাওয়াতে আধুনিকতা,অগ্রসর মান সাফল্যের ব্যাপকতা তাদের জালসাকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে । নানান বিদআতকে জায়েজ করে নেয়া আলেমদের তো মাথা ব্যথা করবেই ।
বক্তব্য একান্তই নিজস্ব ।কারও দ্বিমত থাকলে ঝগড়া করতে আসবেন না । দূরে থাকুন । এটা একটি কমেন্ট সংকলন ।(ফররুখ আহমদ)
বিষয়: বিবিধ
২০৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন