মুহতারাম শিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর এর কাছে এই নগন্য ব্যাক্তির আকুল আবেদন

লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:৩৬:৩৭ রাত

একাত্তরে যেমন পাকিস্তানিরা বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকায় হত্যা নিরযাতন চালিয়েছিলো (যেমন আমরা বইয়ে পড়েছি) ঠিক তেমনি ভাবে আজ হাসিনা বাহিনী জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় একই রকম নিরজাতন চালাচ্ছে কোন কোণ ক্ষেত্রে বেশি । বুল্ডোজার দিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিচ্ছে !

এরপর আবার শিবির ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে । এরপরেও যদি জামায়াত শিবির বসে থাকে আর খালি হাতে মার খায় তবে কি করে হয় ? জামায়াতের দায়ীত্বশীলদের কি হইছে ? বুলেটের জবাবে বুলেট চাই বুলেটের জবাবে গুলতি দিয়ে কিছুই হয় না, বেহুদা শহীদের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে ।

একবার ভাবুনতো যদি আখিরাতে সে আপনাকে জিজ্ঞেস করে আমিতো শহীদ হয়েছিলাম তাই আল্লাহ্‌ এর দ্বীন কায়েম করতে পারি নাই তুমি কি করেছো ? আমার শাহাদাতের কি কোন মূল্য নেই আমার রক্তের কি কোন দাম নেই ? আমার রক্তের রক্তপণ কই ?

তখন কি জবাব দিবেন ?

বায়াতে রিদওানের কথা সবাই জানই । শুধুমাত্র একটা গুজবের উপর ভিত্তি করে আল্লাহ্‌ এর রাসুল সঃ কি কঠিন সপথ নিয়েছিলেন মিওনে আছে ? উসমান হত্যার বদলা না নিয়ে কেউ মদিনাতে ফিরে যাবে না । কিন্তু এটা কাফেরদের ছড়ানো ছিলো যে তারা উসমানকে হত্যা করেছে । এরপর আল্লাহ্‌ এর সেই আয়াত ভুলে গেলেন ? আল্লাহ্‌ এই বায়াতে অংশগ্রহণকারী সকলের উপর সন্তুষ্ট ছিলেন ।

এরপরও যদি জামায়াত চুপ থাকে তবে শিবির চুপ থাকে তবে তাদেরকে আর কি বলা যায় ?

বিএনপি আন্দোলোন করতে পারে না বলে তাদেরকে আপনারা হিজড়া বলতেন । হিজরাই হোক আর যাই হোক তাদেরকে আন্দোলনে যাওয়ার দরকার নেই কারন তাদের কেউ আখেরাতের চিন্তায় আন্দোলনে যায় না, তাদের ভয় থাকবেই, আনুগত্যের ঘাটতি থাকবেই । কিন্তু জামায়াতেরতো তেমন সমস্যা নাই তবে কেন ? আপনারা কি ভুলে গেলেন "তোমাদের বিরুধ্যে যারা অস্ত্র ধারণ করে তোমরাও তাদের বিরুধ্যে অস্ত্র ধারণ কর" - বাকারা ১৯০

আর তোমরা সকলে মিলে মুশরিকদের বিরুধ্যে যুদ্ধ কর যেভাবে তারা সম্মিলিতভাবে তোমাদের বিরুধ্যে যুদ্ধ করে - তওবা ৩৬

তবে কি ভাবছেন আমাদের লোকবল কম ? "হে প্রিয় নবী! মুমিনদের যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করো। যদি তোমাদের মধ্যে ২০ জন ধৈর্যশীল থাকে তবে তারা ২০০ জন কাফিরকে পরাজিত করবে, আর যদি তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকে তবে তারা পরাজিত করবে যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তাদের একহাজার জনকে, যেহেতু তারা হচ্ছে একটি বোকা সম্প্রদায়। (সুরা আনফাল: ৬৫)"

"তারা বলল -- 'আজ আমাদের শক্তি নেই জালুত এবং তার সৈন্যদলের বিরুদ্ধে।' যারা নিশ্চিত ছিল যে তারা অবশ্যই আল্লাহ্‌র সাথে মুলাকাত করতে যাচ্ছে, তারা বলল -- 'কতবার ছোট দল আল্লাহ্‌র হুকুমে বড় দলকে পরাজিত করেছে, আর আল্লাহ্ অধ্যবসায়ীদের সাথে আছেন'।" (সুরা বাকারাহ: ২৪৯)

যে আল্লাহ্‌ বদরের যুদ্ধে সাহাবীদের জন্য ফেরেশতা পাঠিয়েছেন সেই আল্লাহ্‌ এখনও আছেন। যে আল্লাহ্‌ খোনাইনের যুদ্ধে সাহাবীদের সাহায্য করেছিলেন সেই আল্লাহ্‌ এখনও আছেন। আল্লাহ্‌ সেখানে সাহায্য করেছেন, আমাদেরও করবেন ইনশাআল্লাহ্‌। আমরা এক আল্লাহ্‌র উপর ভরসা করি কারণ,

আল্লাহ্‌ বলেন,

"ওহে যারা ঈমান এনেছ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন, আর তিনি তোমাদের পদক্ষেপ সুদৃঢ় করবেন। (সুরা মুহাম্মদ: ৭)"

"আর যে প্রতিশোধ নেয় যতটা অত্যাচার করা হয়েছে ঠিক তার সমান, এরপর আবার তার প্রতি অত্যাচার করা হয়, তাহলে আল্লাহ্ নিশ্চয়ই তাকে সাহায্য করবেন। নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ তো পরম ক্ষমাশীল, পরিত্রাণকারী। (সুরা হজ: ৬০)"

"তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করো, আল্লাহ্ তাদের শাস্তি দেবেন তোমাদের হাতে, আর তাদের লাঞ্ছিত করবেন, আর তোমাদের সাহায্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে, আর মুমিন সম্প্রদায়ের বুক প্রশমিত করবেন। (সুরা তাওবা: ১৪)"

মুহতারাম শিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর এর কাছে এই নগন্য ব্যাক্তির আকুল আবেদন, "দয়া করে আমাদেরকে সশস্ত্র জিহাদের অনুমতি দিন । আমরা আপনাদের হাতে বায়াত গ্রহন করে আনুগত্যের সপথ করেছি কখনোই এর বাহিরে যাবো না । আপনাদের অনুমতির অপেক্ষায় থেকেথেকে বিনা যুদ্ধে শাহাদাত বরন করে যাচ্ছে আমাদের ভাইরা । আর মজলুম হয়ে থাকতে চাই না জালিমের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে চাই ।"

বিষয়: বিবিধ

১৫৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File