সিলেট শাবি গুচছ পদ্ধতি পরীক্ষা ও ৫০% কোটা

লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ২৭ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:৫৫:১৩ দুপুর

প্রসঙ্গ ১: গুচ্ছ পদ্ধতিতে যশোর ও শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা!

মতামতঃ গুচ্ছ পদ্ধতি প্রশংসার দাবীদার। সারা দেশের সব

পাবলিকে যদি এটা হত খুব ভাল লাগত। পরীক্ষার্থীর সময় ও

টাকা সাশ্রয় হত। মেধার মূল্যায়ন বাড়ত। কিন্তু শুধু যখন

২টা ভার্সিটির মধ্যে এটি হবে, স্বাভাবিক ভাবেই

যে এলাকায় র্যাঙ্কে ভাল ভার্সিটি থাকবে, ওখানকার ছাত্র ছাত্রীরা ডিসএডভান্টেজ পাবে। বিষয়টা এমন,

আপনি যদি অক্সফোর্ড আর শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা অভিন্ন

প্রশ্নে নেন, তাহলে কারা লাভবান হবে বলেন তো? ওইখান

থেকে চান্স পেয়েও খুব কমই পড়তে আসবে, কিন্তু লাভ

হবে যারা এখান থেকে দিবে তাদের ।:P

প্রসঙ্গ ২: সচেতন কোন নগরবাসি গ্রুপ

নাকি ভিসিরে দাবী জানাইছে, ওরা ৫০% আঞ্চলিক

কোটা চায়। শুনেই ৫ মিনিট হাসছি। এইটা পাবলিক

ভার্সিটি ভাই, এখানে জোক করেন কেন ! যদিও

সংবাদপত্রগুলাতে এ নিয়ে কিছু দেখলাম না। সম্ভবত ওদের

মধ্যে ১ জন এ দাবী জানিয়েছিল, যা এখন অনলাইন সংবাদমাধ্যম গুলা ব্যপক ভাবে প্রচার করতেছে, অথবা হয়ত

ওরা রাজনৈতিক সুড়সুড়ি পেয়ে এ অযৌক্তিক ও হাস্যকর

দাবী আসলেই জানিয়েছিল। প্রসঙ্গ ৩: সবচেয়ে খারাপ লাগছে এ দাবীর

সমালোচনা করতে গিয়ে কিছু লোকের আবালগিরি দেখে। একশ্রেণীর লোক দেখলাম যাদের সিলেটীদের

প্রতি চুলকানি সম্ভবত আগে থেকেই (আল্লাহ জানে কেন এই

জেলাসি), তারা এই সুযোগটারে চুলকানি দূর করার

কাজে যথাসাধ্য কাজে লাগাল।

সিলেটীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে, লন্ডনি পয়সায়

সারা দিন পার্টি করে বেড়ায়,সিলেটীরা গবাদী, মৌলবাদী, বিদেশ থেকে টাকা আসে সেই টাকার গরম প্রতিটা মানুষের।

জানে তো নিজেদের ছেলেমেয়েরা কোথাও

ভর্তি হতে পারবেনা তাই 50% সিট চায়,বাপের

আছে লন্ডনি পাউন্ড,পোলায় ইশকুল পার হওয়ার আগেই

কিন্ন্যা দিবে বাইক,সাথে দিবে আইফোন,গ্যালাক্সি।পোলায়

পড়াশোনা না কইরা টাঙ্কিবাজি করবো সারাদিন আরও কত জ্বালা... ইশ

দুঃখ লাগল একশ্রেণীর সিলেটীদের যারা ঐ শ্রেনীর

সাথে যুক্ত হয়ে নিজেই জাত গেল টাইপের স্ট্যাটাস দিতাছে। আরে ভাই, সিলেটীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে,

কি খাইয়া এইরকম বাল মার্কা কথা কও? দেশের সব শীর্ষ

প্রতিষ্ঠানেই সিলেটের স্টুডেন্ট আছে, মিনিস্ট্রি তে ও একই

অবস্থা, কতবছর ধরে ফাইনান্স মিনিস্টার সিলেট থেকেই

আসে খবর আছে?, এরা তো সব না পইড়া লন্ডনী টাকা দিয়া এসব

হয়া পড়সে, তাই না ? আরো কিছু ব্যক্তিরে দেখলাম, বিদেশে যে সিলেটীদের আধিপত্যের কারণে উনাদের

মাঝে মাঝে আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগতে হয়, তা নিয়েও

খাউজ উঠছে। অবশ্য ওদের কথা ঠিক। মূর্খ

সিলেটীরা কেম্নে যে গ্রেট ব্রিটেনের এমপি, হাই কমিশনার

হয়া পড়ে, ব্যপারটা তদন্ত সাপেক্ষ ! নিশ্চয় ওরা ব্রিটিশ

প্রধান্মন্ত্রীরে ঘুষ খাও্যাইছে! ওহ, আর মূর্খ সিলেটিরা কেমন করে যে অক্সফোর্ড, এম আই টি, হাভারড,

প্রভৃতি বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ

থেকে সবচেয়ে বেশী প্রতিনিধিত্ব করে সেটাও রহস্য।

চুলকানি তো উঠবেই । তবে চুলকানি যে এত ব্যাপক কল্পনাও

করি নি । ৫০% কৌটা দাবী আসলেই ফালতু দাবি, কিন্তু যারা এঁর

সমালোচনা করতে গিয়ে সিলেটবাসীরে যা ইচ্ছা কইতেছেন,

তাদের জ্বলুনি যে কোথায় আর কেম্নে তাদের এ আগুন নিভব

কওয়া মুশকিল। প্রসঙ্গ ৪: বিখ্যাত এক দড়াবাজের ডিগবাজি। এটা নিয়ে লিখলে অনেকের গায়ে চুলকানি, খুজলি,

জ্বলুনি এমনকি খিচুনিও শুরু হয়ে যাবে তথাপি আরেকদিন

লিখব। ডিগবাজির বাকী অংশ দেখার অপেক্ষায় রইলাম। পুনশ্চ : দেশটা সবার। তাই পাবলিক

ভার্সিটিতে আঞ্চলিকতা অগ্রহণযোগ্য। ঠিক

তেমনি অগ্রহোনযোগ্য মাদ্রাসা স্টুডেন্ট দের বাদ

দিয়ে ভর্তির ডিসিশন নেয়া (২০১১), গুচ্ছ পরীক্ষা যদি হতেই

হয়, তাইলে সবাইরে একসাথে গুচ্ছ করেন, নাইলে সমমানের

২টা ভার্সিটি রে গুচ্ছ করেন, সমতা বজায় রাখেন, আর যে সব আবাল রা সিলেটিরে মূর্খ কয়, তাদেরকে বলি, মূর্খ

হইয়া থাকলে আমাদের মাটিতেই জ্ঞান নিতে আস কেন বাছা।

আর টাকার গরমে জ্বলুনি আসলে এখান থেকেই

যে টিউশনি করাইয়া অনেক ভাইরা গ্রামে নিজের

পরিবারকে পাঠায়(যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবীদার), তাও

কিন্তু তাইলে সম্ভব হত না। তাই এক শ্রেণিরে দেইখা সবাইরে জাজ করা বন্ধ কর।

খুজুনি বেশি লাগলে ট্যালকম পাউডার বা মলম লাগাও।

বিষয়: বিবিধ

১৩৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File