তালিবান, আফগানিস্তান, ইসরাইল রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পরিনতি ও আল্লাহ্ রাসুলের একটি ভবিষ্যৎবানী
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ২৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:৩০:০২ বিকাল
আসসালামু আলাইকুম। প্রথমেই বলে রাখি আমাদের এ আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে তালিবান(কালো পতাকাবাহী দল), আফগানিস্তান, খোরাসান এবং বর্তমান ইসরাইল রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পরিনতি সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও আল্লাহ্ রাসুলের ভবিষ্যৎবানীগুলো। তবে আলোচনার স্বার্থে প্রথমেই আমরা কিছু ঐতিহাসিক সত্যের আলোচনা করেছি। তাই-
ক) কি সেই আল্লাহ্ রাসুলের ভবিষ্যতবাণী ? এবং
খ) খোরাসান থেকে জেরুজালেম।
বিসমিল্লাহহির রাহমানের রাহিম __
১) প্রারম্ভিক কিছু কথাঃ
আজ আমি যে বিষয়টা নিয়ে লিখতে বসেছি সেটা সারা বিশ্ব এমনকি মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত বিষয় । আর সেই বিষয়টা হচ্ছে তালিবান যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ছাত্ররা। এই তালিবান নিয়ে মুসলিম বিশ্বের মাঝেও বিরাজ করছে নানা প্রশ্ন, নানা জল্পনা-কল্পনা এবং নানা আলোচনা-সমালোচনা। কারো দৃষ্টিতে এই তালিবানরা হিরো আবার কারো দৃষ্টিতে এই তালিবানরাই জিরো(মানে ভিলেন বা তথাকথিত জঙ্গি)। তালিবান শব্দটা শুনলেই বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এমনকি অনেক মুসলিমরা পর্যন্ত নিজেদের অবচেতন মনেই একটি দৃশ্যের অবতারণা করে আর সেটা হল, একদল জঙ্গি, মাথায় পাগড়ী পড়া, কাধে মরনাস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যখন যাকেই পাবে গুলি করে মেরে ফেলবে, এই বুঝি আত্মঘাতী বোমা বিস্পোরন ঘটাইল!! আর তাই আমরাও এখানে দেখতে চাই আসলে তালিবানরা কি? এরা আসলে কারা? এরা আসলে কি চায়? এরা কি আসলেই জঙ্গি, নিরীহ মানুষ মারাই যাদের প্রধান কাজ? ইনশাল্লাহ এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা আপনাকে তালিবান সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধরনা দিতে প্রাণপণ চেষ্টা করবো। যদি সফল হই তাহলে তাঁর শতভাগ কৃতিত্ব সেই মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের যিনি আমার মত একজন সল্প জ্ঞানের অধিকারী একজনকে তালিবানের মত এত বড় গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কলম ধরার দুঃসাহস, প্রেরনা ও সুযোগ দান করেছেন। আর যদি কোন বিষয়ে লিখতে বা বলতে ভুল হয়ে যায় তাহলে তাঁর এর সম্পূর্ণ দায়বার আমার নিজের এবং এই জন্যে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক।
২) আপনার কাছে তিনটি প্রশ্নঃ-
ক) একবার চিন্তা করুন আফগানিস্তান হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম একটি দরিদ্র দেশ(দারিদ্রতার র্যাঙ্কিং এ তৃতীয় বা চতুর্থ) এবং একটি অশিক্ষিত দেশ। যে দেশের প্রায় অধিকাংশ জনগণ পড়তে এবং লিখতে জানেনা। যে দেশের সাক্ষরতার হার মাত্র ২৮%। তারপরেও কেন বিশ্বের প্রত্যেকটি Super Power তাঁদের নিজস্ব সময়ে (যখন Ruling State of the World) এই দরিদ্র, অশিক্ষিত দেশটিকে আক্রমন করেছে। সেই সাথে অবাক করা বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকটি Super Power ই এই আফগানিস্তানে পরাজিত হয়েছে এবং এর পরেই তাঁদের সাম্রাজ্য অস্তমিত হয়েছে। আক্রমণের কারণ হিসেবে এমনটি বলতে পারবেন না যে দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ, তেলের খনি আছে বা স্বর্ণের খনি আছে আর তাই এই সম্পদ লুঠ করার জন্যেই প্রত্যেকটি Super Power দেশটিতে আক্রমন করেছে। যখন ইউরোপ সারা পৃথিবী শাসন করেছে, সারা পৃথিবীকে তাঁদের কলোনিতে পরিণত করেছে তখন তারাও এই আফগানিস্তান অঞ্চলটিকে নিজদের কলোনিতে পরিণত করার জন্যে প্রানপ্রন চেষ্টা করেছে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যখন ব্রিটিশরা পৃথিবীর Super Power ছিল তখন তারাও এই আফগানিস্তানে আক্রমণ চালিয়েছে। ব্রিটিশরা প্রথম আক্রমণ চালায় ১৮৩৯ সালে। যেটা First Anglo-Afgan War নামে পরিচিত এবং সেটি স্থায়ী হয়েছিল ১৮৩৯ সাল থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয়বার আক্রমণ চালায় ১৮৭৮ সালে। যেটা Second Anglo-Afgan War নামে পরিচিত এবং সেটি স্থায়ী হয়েছিল ১৮৭৮ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত। উল্লেখ্য হচ্ছে দুটি যুদ্ধেই ব্রিটিশরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় এবং এর মধ্য দিয়েই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। তারপর Super Power হয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। তারাও ১৯৭৯ সালে আফগানিস্থানে আক্রমণ চালায় এবং ১০ বছর যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্থানে পরাজিত হয় এবং এই পরাজয়ের মধ্য দিয়েই সোভিয়েত সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়। তারপর বিশ্বের Super Power হয় বর্তমান আমেরিকা এবং তারাও ২০০১ সালে আফগানিস্থান আক্রমণ করে। ইনশাল্লাহ তারাও সেখানে পরাজিত হবে এবং এই পরাজয়ের মধ্য দিয়েই পৃথিবীর বুকে আমেরিকান সাম্রাজ্যের পতন শুরু হবে। তারপর Super Power হবে ইসরায়েল এবং তারাও আফগানিস্থানে সর্বাত্মক যুদ্ধ পরিচালনা করবে এবং সেখানে পরাজিত হয়েই বর্তমান পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিলুপ্তি ঘটবে।(ইসরায়েল রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সামনে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে)। এখন আপনার কাছে প্রশ্ন হচ্ছে কেন প্রত্যেকটি Super Power তাঁদের নিজস্ব সময়ে পৃথিবীর এই দরিদ্রতম অঞ্চলটিকে (আফগানিস্থানকে) আক্রমণ করেছে এবং প্রত্যেকেই সেখানে পরাজিত হয়েছে এবং এই পরাজয়ের মধ্য দিয়েই প্রত্যেকের সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়েছে? বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে যারাই আফগানিস্তান অঞ্চলটিকে আক্রমণ করেছে তারা প্রত্যেকেই ছিল আধুনিক অস্ত্রে-সস্ত্রে ও গোলাবারুদে সজ্জিত। অপরদিকে আফগানদের অস্ত্র-সস্ত্র ও জনবল বলতে উল্লেখ করার মত তেমন কিছুই ছিলনা। আক্রমণকারীদের তুলনায় একেবারে নগন্য। তারপরেও আফগানরা প্রত্যেকবার বিজয়ী, এটাই সত্য, এটাই ইতিহাস!!!
খ) আমেরিকা আফগানিস্থান আক্রমণ করেছে ২০০১ সালে । পরবর্তীতে আমেরিকার সাথে যোগ দিয়েছে NATO। NATO হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এবং সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর একটি সামরিক সংঘটন। যারা আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্র-সস্ত্র, গোলাবারুদ, ট্যাঙ্ক, ড্রোন ও পর্যাপ্ত জনবলে সজ্জিত। অপরদিকে আমেরিকা ও NATO যাদের উপর আক্রমণ করেছে তারা হচ্ছে অত্যন্ত দরিদ্র ও অশিক্ষিত একটি জনগোষ্ঠী। আফগানিস্থানে আমেরিকা ও NATO এর সৈন্য সংখ্যা হচ্ছে ১৫০০০০ বা তাঁর কিছু বেশী বা কম। অপরদিকে আফগান মুজাহিদিনদের (তালিবানের) সৈন্য সংখ্যা হচ্ছে ২০০০০-২৫০০০ যাদের হাতে অস্ত্র-সস্ত্র বলতে উল্লেখ করার তেমন কিছুই নেই। একবার চিন্তা করে দেখুন আধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রে-সস্ত্রে, ট্যাঙ্ক, গোলাবারুদে, এবং ড্রোনে সজ্জিত ১৫০০০০ সৈন্যের ২০০০০/২৫০০০ সৈন্যকে পরাজিত করতে ১১ বছর লাগে!!!জয় দূরের কথা বরং আধুনিক অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত সাম্রাজ্যবাদী শক্তিই আস্তে আস্তে পিছু হটছে। কয়েকদিন আগে একটা সংবাদে দেখলাম NATO নাকি গোপনে ৩০০০০ হাজার সৈন্য দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন আধুনিক অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী ১৫০০০০ সৈন্য ২৫০০০ সৈন্যের সাথে পারতেছেনা? আমেরিকা ও NATO চাইলে তো একদিনেই তালিবানদেরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে। তাহলে কেন তা করছেনা বা করতে পারছেনা?
গ) একবার চিন্তা করে দেখুনতো তালিবানদের কি এমন প্রয়োজন যে নিশ্চিত ও সুন্দর পারিবারিক জীবনের মায়া ছেড়ে বছরের পর বছর বনজঙ্গলে ঘুরে ঘুরে প্রতিনিয়ত মৃত্যুটাকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করার। এরা কি পারে না আমেরিকা ও NATO এর সাথে আপোষ করতে। আমেরিকা ও NATO তো আপোষ করার প্রস্তাব তালিবানদেরকে বার বার দিচ্ছে। কেন তালিবানরা মরতে রাজি আছে কিন্তু এইসব কুফফারদের সাথে আপোষ করতে রাজি না?
-ইনশাল্লাহ উপরের তিনটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আল্লাহ্ রাসুল(সাঃ) এর একটি ভবিষ্যৎবানীর আলোচনার মাধ্যমে।
৩) কি সেই আল্লাহ্ রাসুলের ভবিষ্যৎবাণী?
হাদিস নং-১। আবদুল্লাহ ইবনে হারিস থেকে বর্ণিত। রাসুল(সাঃ) বলেন,“পূর্বদিক(খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে।”- সুনান ইবনে মাজাহ, খণ্ড ৩, হাদিস নং-৪০৮৮
হাদিস নং-২। আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল(সাঃ) বলেছেন, “খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী একদল লোক বের হয়ে আসবে। পৃথিবীর কোন শক্তিই তাঁদেরকে থামাতে পারবেনা এবং সবশেষে তারা জেরুজালেম পৌছবে এবং সেখানে তারা তাঁদের বিজয়ের পতাকা উড়াবে।”-জামে আত তিরমিজি।
হাদিস নং-৩। থাওবান(রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুল(সাঃ) বলেন, “যদি দেখ খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী দল বের হয়ে আসছে তবে অবশ্যই তাদের সাথে যোগদান করবে। এমনকি এর জন্যে যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিতে হয় তাও……………।”- মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, আল হাকিম।
তাহলে এখন স্বাভাবিকবভাবেই প্রশ্ন জাগে যে কোথায় সেই ঐতিহাসিক খোরাসান? পাকিস্তানের বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ডঃ ইসরার আহমদের মতে, রাসুল(সাঃ)এর সময়ে বর্তমান নর্থ-ওয়েস্ট পাকিস্তান, নর্থ-ইষ্ট ইরান, সমগ্র আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তাবের কিছু অংশ নিয়েই খোরাসান । তবে আফগানিস্তান হচ্ছে খোরাসানের কেন্দ্রবিন্দু অর্থাৎ Afganistan is the heart of Khorasan.
এই অঞ্চলটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে এই অঞ্চলটিকে কেউ কখনো শাসন করতে পারেনি। ইউরোপিয়ানরা কখনো এই অঞ্চলটিকে তাঁদের কলোনিতে পরিণত করতে পারেনি, ব্রিটিশরা এই অঞ্চলটিকে শাসন করতে চেয়েছে কিন্তু তারাও পারেনি, সোভিয়েত ইউনিয়ন শাসন করতে চেয়েছে তারাও পারেনি, বর্তমানে আমেরিকা চাচ্ছে কিন্তু তারাও পারছেনা। ভবিষ্যতে ইসরাইল শাসন করতে চাইবে কিন্তু ইনশাল্লাহ তারাও পারবেনা। যা আগেই বলা হয়েছে। আফগানিস্তানে পরাজিত হওয়ার পর তৎকালীন সোভিয়েত বাহিনীর কমান্ডার বলেছিলেন,
“কেউ কোনদিন আফগানিস্তান জয় করতে পারেনি এবং কোনদিন পারবেও না।”
হাদিস নং-৪। আমর বিন মারা আল জামিল(রাঃ) বলেন, রাসুল(সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চই খোরাসান থেকে একদল কালো পতাকাবাহী লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং তাঁদের একদল তাঁদের ঘোড়াগুলো দড়ির সাহায্যে বেইত-লাহিয়া(গাজা, ফিলিস্তিন) এবং হারেস্তার(দামেস্ক, সিরিয়া) মধ্যবর্তী স্থানে জলপাই গাছের সাথে বাধবে। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম সেখানে কি কোন জলপাই গাছ আছে? তিনি(রাসুল সাঃ) বলেন, যদি সেখানে জলপাই গাছ নাও থাকে তাহলে শীঘ্রই সেখানে জলপাই গাছ জন্মাবে এবং খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহী দল বের হয়ে আসবে এবং তারা তাঁদের ঘোড়াগুলো এইসব জলপাই গাছের সঙ্গে বাঁধবে।”-কিতাব আল ফিতান, দুর্বল হাদিস।
যদিও হাদিসটি সনদের কারণে দুর্বল কিন্তু পূর্বোক্ত সহীহ হাদিসগুলোর সাথে মূল বক্তব্য হুবহু মিলে যায়। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন আসলেই কি রাসুল(সাঃ) এই কথা বলেছিলেন কি না। তবে আশ্চর্যজনকভাবে হলেও সত্য যে আল্লাহ্ রাসুলের ভবিষ্যৎবানীকৃত জায়গাটিতে প্রচুর পরিমানে জলপাই গাছ জন্মেছে এবং জন্মাচ্ছে। আরও বিস্ময়কর হচ্ছে ইসরাইল এই সব জলপাই গাছ নির্বিচারে ধ্বংস করার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং নির্বিচারে ধ্বংস করতেছে। লাখ লাখ জলপাই গাছ সমূলে উপড়ে ফেলতেছে এবং আগুন দিয়ে জলপাই বাগান পুড়ে ছাই করে দিচ্ছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় ২৮/০৯/২০০০ থেকে ৩১/১২/২০০৫ এই সময়ের মধ্যে ইসরাইল সর্বমোট ৩০৭৮৩১ টি জলপাই গাছ সমূলে উৎপাটন করেছে এবং সেগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আরও জানতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হয় Israel uprooted olive trees in Gaza and Bethlehem লিখে গুগলে সার্চ দিন। আপনাকে কষ্ট করে সার্চ দিতে হবে না। এখানে ক্লিক করলেই হবে।
৪) খোরাসান থেকে জেরুজালেমঃ-
পৃথিবীর ইতিহাসে জেরুজালেম এক বিশাল তাৎপর্যপূর্ণ শহর। জেরুজালেমকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীর ইতিহাস আবর্তিত হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। জেরুজালেমকে বলা হয় পৃথিবীর পবিত্র নগরী বা পবিত্রভুমি যা আল্লাহ্ তায়ালা নিজেই বলে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তায়ালা জেরুজালেমে এত সংখ্যক নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন যে আর কোন শহরে বা নগরে বা কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে এত সংখ্যক নবী ও রাসুল প্রেরণ করেননি। বনী ইসরাইলের প্রায় সকল নবীগণকেই আল্লাহ্ তায়ালা জেরুজালেম শহরে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ্ তায়ালা বনী ইসরাইলকেই (ইহুদিদের) এই জেরুজালেম নগরী বা পবিত্রভুমি দান করেছিলেন এবং শর্ত হিসেবে জুড়ে দিয়েছিলেন যে তারা আল্লাহ্র ইবাদত করবে, তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে, নবী ও রাসুলগনের দেখানো পথে চলবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধাচারন করবেনা, পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেনা। কিন্তু বনী ইসরাইলের ইহুদিরা বার বার আল্লাহ্র আদেশ লঙ্গন করেছে, পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেছে ও আল্লাহ্র প্রেরিত নবী ও রাসুলগণকে অমান্য করেছে, এমনকি তাঁদেরকে হত্যা পর্যন্ত করেছে। ফলে আল্লাহও তাঁদেরকে তাঁদের কৃতকর্মের শাস্তিস্বরূপ এই পবিত্রভুমি থেকে বহিষ্কার করেছেন। যখনই ইহুদিরা নিজেদের চরিত্র সংশোধন করে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চেয়েছে, আল্লাহ্ তাঁদের ক্ষমা করে আবার এই পবিত্রভুমিতে প্রত্যাবর্তন করিয়েছেন। ইহুদিরা যখনই আবার আল্লাহ্র আদেশ নিষেধ অমান্য করেছে, পৃথিবীতে ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেছে তখনই আল্লাহ্ তায়ালা তাঁদেরকে পবিত্রভুমি থেকে বহিষ্কার করেছেন। সর্বশেষ যখন ইহুদিদেরকে তাঁদের কৃতকর্মের দরুন পবিত্রভুমি থেকে বহিষ্কার করা হয় তখন আল্লাহ্ তায়ালা বলে দেন যে ইহুদিরা আর পবিত্রভুমিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারবেনা যতক্ষন না ইয়াজুজ-মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেয়া হয় এবং ইয়াজুজ-মাজুজ তাঁদেরকে শেষবারের মতো পবিত্রভুমিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে এবং পৃথিবীর শেষ সময় উপস্থিত হয়। তারপর তারা আবার আল্লাহ্র আইনের বিরুদ্ধাচারন করবে, পৃথিবীতে ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে। ফলস্বরূপ আল্লাহ্ তায়ালাও তাঁদেরকে পবিত্রভুমি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করবেন এবং পৃথিবী থেকে ইহুদিদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিবেন। এবং ইহুদিদেরকে চিরতরে পবিত্রভুমি থেকে বহিস্কারের ও ধ্বংসের ঘটনাটি ঘটবে এক মুসলিম বাহিনীর হাতে বা এক মুসলিম বাহিনীর দ্বারা যারা বের হয়ে আসবে সেই ঐতিহাসিক খোরাসান অর্থাৎ বর্তমান আফগানিস্তান থেকে। এখন আমরা এই ঘটনাগুলোই পরিত্র কোরআনের আলোকে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
“আমি তাঁকে(ইব্রাহীম আঃ) এবং তাঁর ভ্রতুস্পুত্র লুতকে উদ্ধার করে ঐ পবিত্র ভুমির দিকে নিয়ে গেলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্যে কল্যান রেখেছি।”-সুরা আল আম্বিয়াঃ-৭১
অর্থাৎ পবিত্র কোরআনে যেসকল নবী রাসুলদের নাম এসেছে তাঁদের মধ্যে থেকে ইব্রাহীম(আঃ) ও লুত(আঃ) প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই জেরুজালেম বা পবিত্রভুমিতে নবী রাসুলদের আগমনের সূচনা ঘটে। তারপর একে একে আগমন করেছেন ইসহাক(আঃ), ইয়াকুব(আঃ), ইউসুফ(আঃ), সুয়াইব(আঃ), হারুন(আঃ)। মুসা(আঃ), দাউদ(আঃ), সুলাইমান(আঃ), আইয়ুব (আঃ), ইউনুস(আঃ), ইলিয়াস(আঃ), আল ইয়াসা(আঃ), জাকারিয়া(আঃ), ইয়াহিয়া(আঃ) এবং বনী ইসরাইলের সর্বশেষ নবী মরিয়ম তনয় ঈসা(আঃ)।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ-
“স্মরণ কর, যখন মুসা তাঁর জনগণকে বললেনঃ হে আমার জনগণ! তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র নেয়ামতকে স্মরণ কর। যখন তিনি তোমাদের মধ্যে থেকে নবী সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রাজ্যধিপতি দান করেছেন আর তোমাদেরকে এমন জিনিস দান করেছেন যা বিশ্বজগতের কাউকে দান করেন নি। হে আমার জনগণ! আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে ‘পবিত্রভুমি’ দান করেছেন তাতে প্রবেশ কর এবং লজ্জাজনকভাবে পিঠ প্রদর্শন করোনা, কেননা তাহলে তোমরা বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে(এবং সেই সাথে ঐ পবিত্র ভূমিতে থাকার অধিকারও হারাবে।)”- সুরা আল মায়েদাঃ-২০-২১
বনী ইসরাইলের ইহুদিরা মুসা(আঃ) এর এই আহবানকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। ফলে আল্লাহ্ তায়ালা ইহুদিদেরকে ৪০ বছরের জন্যে পবিত্রভুমিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। ফলে তারা পৃথিবীর বুকে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে ফিরছিল। আল কোরআনের ভাষ্যমতেঃ-
“তারা বললঃ হে মুসা! সেখানে একটি প্রবল পরাক্রান্ত জাতি রয়েছে। আমরা কখনো সেখানে(পবিত্রভূমিতে) প্রবেশ করবোনা যে পর্যন্ত না তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়। তারা যদি সেখান থেকে বের হয়ে যায় তাহলে নিশ্চিতই আমরা সেখানে প্রবেশ করবো।”- সুরা আল মায়েদাঃ ২১-২২
মুসা(আঃ) ইহুদিদেরকে তাঁদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবার আহ্বান জানালে তারা আবারও বলেঃ-
“হে মুসা! তারা সেখানে যতক্ষন আছে আমরা সেখানে(পবিত্রভুমিতে) কখনোই প্রবেশ করবোনা। অতএব তুমি এবং তোমার প্রভু সেখানে যাও এবং গিয়ে যুদ্ধ করো! আমরা এখানে বসে রইলাম।”- সুরা আল মায়েদাঃ ২৪
জবাবে মুসা(আঃ) আল্লাহ্র কাছে ফরিয়াদ করলেনঃ-
“মুসা বললঃ হে আমার প্রভু! আমার ভাই এবং আমার নিজের উপর ছাড়া আর কারো উপর আমার কোন নিয়ন্ত্রন নেই। সুতরাং এইসব পাপী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে আমাদেরকে দূরে রাখুন।”-সুরা আল মায়েদাঃ ২৫
জবাবে আল্লাহ্ তায়ালা বললেনঃ-
“তাঁদের এই বিশ্বাসঘাতকতামুলক আচরণের জন্যে নিশ্চিতভাবে ঐ পবিত্রভুমি থেকে তাঁদেরকে চল্লিশ বছরের জন্যে নিষিদ্ধ করা হল। তারা ভূপৃষ্ঠে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ফিরবে।”- সুরা আল মায়েদাঃ ২৬
তারপর পবিত্র কোরআন থেকে আরও জানা যায় যে ইহুদিরা পরবর্তীতে নিজেদের অপরাধের জন্যে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চায় এবং আল্লাহ্ তাঁদের ক্ষমা করে তাঁদেরকে আবার ঐ পবিত্রভুমি দান করেন। আল কোরআনের ভাষ্যমতে,
“অতঃপর সে(ফেরাউন) বনী ইসরাঈলকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশিহ্ন করে ফেলতে চাইল। কিন্তু আমি তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীদের সবাইকে নিমজ্জিত করে দিলাম। তারপর বনী ইসরায়েলকে বললামঃ ঐ পবিত্রভুমিতে তোমরা নিরাপদে বসবাস করো……।”- সুরা বনী ইসরাইলঃ ১০৩-১০৪
তারপর বনী ইসরাইলের ইহুদিরা আল্লাহ্র আবার আইনের বিরুদ্ধাচারন শুরু করে , নবী রাসুলদের দেখানো পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে এবং পৃথিবীতে ফিতনা ফ্যাসাদ শুরু করে ফলে আল্লাহ্ তাঁদেরকে আবারও শাস্তি দেন এবং পবিত্রভুমি থেকে বহিষ্কার করেন। পবিত্র কোরআন থেকে যানা যায় যে, আল্লাহ্ তায়ালা পরবর্তীতে বনী ইসরাইলের ইহুদিদেরকে আরও দুই দুইবার পবিত্র তাঁদের পাপাচারের দরুন তাঁদেরকে পবিত্রভুমি(জেরুজালেম) থেকে বহিষ্কার করেন। আল কোরআনের ভাষ্যমতে,
“আমি বনী ইসরাইলকে কিতাবে পরিস্কার বলে দিয়েছি যে, তোমরা দুই দুইবার ঐ পবিত্রভুমিতে ফ্যাসাদ (দুর্নীতি ও ভয়ংকর অত্যাচার) সৃষ্টি করবে এবং শক্তিমদমত্ত হয়ে অহংকারী হয়ে উঠবে(এবং দুই বারই শাস্তিপ্রাপ্ত হবে!)”- সুরা বনী ইসরাইলঃ ৪
আল্লাহর নির্ধারিত এই দুই শাস্তির প্রথম ঘটনাটি ঘটে খৃস্টপূর্ব ৫৮৭ সনে, যখন বখতে-নাসারের (Nebuchadnezzar) নেতৃত্বে ব্যাবিলনীয় এক বাহিনী জেরুজালেম অবরোধ করে, তারপর শহরটি পুড়িয়ে দেয়, এর অধিবাসীদের হত্যা করে, সুলাইমান(আঃ) কর্তৃক তৈরি করা মসজিদ ধ্বংস করে দেয় এবং ইহুদি জনসংখ্যার উৎকৃষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অংশকে ক্রীতদাস হিসেবে ব্যাবিলিয়নে নিয়ে যায়।
এরপর সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তায়ালা তাঁদেরকে দ্বিতীয়বারের মতো শাস্তি দেন আর সেটা ঈসা (আঃ) কে হত্যা করার চেষ্টার পর। সেনাপতি টাইটাসের(TITUS) এর নেতৃত্বে রোমান বাহিনী ৭০ খৃস্টাব্দে জেরুজালেম অবরোধ করে। টাইটাস জেরুজালেম ধ্বংস করে দেন, এর বাসিন্দাদেরকে হত্যা করেন এবং পবিত্রভুমি থেকে অবশিষ্ট ইহুদিদের বহিষ্কার করেন। পবিত্র মসজিদখানি আবার ধ্বংস হয় এবং রোমান সৈন্যরা সেটাকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে, গলিত স্বর্ণ পিণ্ডের খোঁজে প্রতিটি পাথরকে এক এক করে আলগা করা হয়, ঠিক যেমনটি ঈসা(আঃ) সতর্কবাণী ও ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেনঃ-
“একটি পাথরও অপর পাথরের উপর লেগে থাকবেনা; সব ভেঙ্গে ফেলা হবে।”
দ্বিতীয়বার ধ্বংসের পর আল্লাহ্ তায়ালা ওয়াদা করেছিলেন যে ইহুদিরা আর ঐ পবিত্রভুমিতে ফিরে আসতে পারবেনা যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেয়া হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর শেষ সময় উপস্তিত হয় কেননা ইয়াজুজ-মাজুজের বন্ধনমুক্তি পৃথিবীর শেষ সময়ের একটি নিদর্শন। এটি কারো অজানা নয় যে ইহুদিরা জেরুলালেমে অর্থাৎ পবিত্রভুমিতে ইতিমধ্যে প্রত্যাবর্তন করেছে। এতে করে এটাও প্রমান করে যে, জেরুজালেমে ইহুদিদের প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথেই পৃথিবীর শেষ অধ্যায় শুরু হয়ে গেছে। (যাই হোক যদি সময় হয় তাহলে “ইসরায়েল রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ ও পৃথিবীর শেষ অধ্যায়” শিরোনামে একটা নোট লিখবো )।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ-
“যে শহরকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি তাঁর অধিবাসীদের সেখানে ফিরে না আসা অবধারিত। যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেয়া হয় এবং তারা প্রত্যকে উচ্চ ভুমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে অর্থাৎ সব দিক থেকে ছড়িয়ে পড়বে।”- সুরা আল আম্বিয়াঃ ৯৫-৯৬
শেষবারের মতো ইহুদিরা আবার যখন জেরুজালেমে অর্থাৎ পবিত্র নগরীতে প্রত্যাবর্তন করবে তখন তারা আবার পৃথিবীতে ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে। এবং আল্লাহ্ তায়ালা তাঁদেরকে আবার শাস্তি দিবেন এবং চিরতরে পৃথিবীর বুক থেকে এদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিবেন। আর সেই শাস্তির ঘটনাটা ঘটাবেন এক মুসলিম সৈন্যবাহিনী দ্বারা যারা বের হয়ে আসবে খোরাসান থেকে অর্থাৎ বর্তমান আফগানিস্তান থেকে যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। একবার চিন্তা করে দেখুনতো ইহুদিরা জেরুজালেমে প্রত্যাবর্তনের পর এমন কোন অপরাধ বাকি আছে যেটা তারা করে নাই! ইহুদিরা পৃথিবীটাকে ফিতনা-ফ্যাসাদে ভরে দিয়েছে। এমনকি এদের ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে খৃস্টানরাও পর্যন্ত মুক্তি পায় নাই। এদের অপরাধের দরুন এটা বিবেকের স্বাভাবিক উপলব্ধি যে এদের শাস্তি অতি সন্নিকটে। আর এদের শাস্তি যদি অতি সন্নিকটে হয় তাহলে আল্লাহ্ রাসুলের ভবিষ্যৎবানী অনুযায়ী যে মুসলিম দ্বারা বাহিনী দ্বারা আল্লাহ্ তায়ালা এদেরকে শাস্তি দিবেন সেই মুসলিম বাহিনীরও অস্তিত্ব থাকা আবশ্যক কেননা সেই ১৯৪৮ সালেই ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে অর্থাৎ ইহুদিরা পবিত্রভুমিতে প্রত্যাবর্তন করেছে।
৫) তালিবান কি আল্লাহ্ রাসুলের ভবিষ্যতবাণীকৃত সেই কালো পতাকাবাহী দল?
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কি বর্তমান তালিবানই আল্লাহ্ রাসুলের ভবিষ্যৎবাণীকৃত সেই কালো পতাকাবাহী দল? এটা আসলে কারো পক্ষেই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব না, যে পর্যন্ত না বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্র ধ্বংস হয় সেই কালো পতাকাবাহী দলের হাতে। তবে হতে পারে তালিবান। এই তালিবান না হলেও এদের ভবিস্যৎ উত্তরসূরীরাই হবে কেননা যেহেতু কালো পতাকাবাহী দলটি খোরাসান থেকেই আসবে আর খোরাসান থেকে একমাত্র তালিবানই তো ইহুদি খৃস্টানদের বিরুদ্ধে জিহাদে নিয়োজিত। তালিবানই হতে পারে আরও একটি কারণে সেটা হলঃ যেহেতু ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে অনেক আগেই এবং পৃথিবীর বুকে প্রায় সব ধরনের জঘন্য অপরাধই তারা করে ফেলেছে সেহেতু খোরাসান থেকে ঐ কালো পতাকাবাহী দলের যাত্রা শুরু করাও আবশ্যক। আর খোরাসান থেকে একমাত্র তালিবানই সেই হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। সবশেষে বলবো আল্লাহ্ তায়ালাই সবচেয়ে ভালো জানেন এই তালিবানই সেই কালো পতাকাবাহী দল নাকি এদের ভবিস্যৎ প্রজন্ম। শেষ করার আগে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করতে চাই। আল্লাহ্ তায়ালা বলেনঃ-
“বল! সত্য আসিয়াছে আর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। আর মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ার জন্যেই।”- সুরা বনী ইসরাইলঃ ৮১
প্রয়োজনীয় তথ্যসুত্রঃ-
১) আল কোরআন।
২) জামে আত তিরমিজি, সুনান ইবনে মাজাহ ও মুসনাদে আহমাদ।
৩) Jerusalem in the Quran- Sheikh Imran Nazar Hossein।
৪) উইকিপিডিয়া।
মূলঃ গুরাবা মিড়িয়া
এক হিজবুতীর কাছ থেকে কালেক্টেড
বিষয়: বিবিধ
৩৮৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন