আল্লামা মওদূদি (রঃ) এর নামে পরিকল্পনা মাফিক গুজব ছড়ানো হচ্ছে এখন ব্যাপক আকারে
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ২০ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:৪৭:৪৫ রাত
সত্য-মিথ্যার মেশালে কত গুজব মাওলানা মওদূদী (রহ) ও জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে অহরহ করা হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য জামায়াতকে সংশোধন করা নয়। তারা বাক্যের অংশ কেটে কেটে, বিকৃতি প্রকাশ করে। এতে মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে।
আরও সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল যে, তারা যেসব কিতাবের উদ্ধৃতি দেয় সেগুলো উর্দু কিতাবের উদ্ধৃতি। তারা ভাল করেই জানে বাংলাদেশের মানুষ তেমন উর্দু পারে না। অথচ ওই কিতাবগুলোর বাংলা তরজমা বিভিন্ন প্রকাশনী বের করেছে। ইংরেজিতেও অনুবাদ রয়েছে। কিন্তু ওই নিন্দুকরা উর্দু কিতাবের তরজমায় যে বাংলায় প্রকাশ হয়েছে সেখানে দেখাক। জনগন বুঝতে পারবে।
অনেকে জামায়াতকে মনে মনে গালি দেন এই জন্য যে, জামায়াত কেন এসবের তীব্র বিরোধীতা করছে না। গীবতকারীদের যুক্তি খন্ডাচ্ছে না।
আমাদের পর্যবেক্ষণ-জামায়াত এসবের জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না যে, কারণ জামায়াতের আদর্শে মওদূদী (রহ)-এর মতকে আলাদা করে দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। কুরআন ও সুন্নাহর আক্বীদাই জামায়াতের আক্বীদা। সুতরাং কোনও ব্যক্তির কথাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে জামায়াত তা মনে করে না। তাই এসব অপপ্রচারের জবাব দেয়া জামায়াত খুব একটা প্রয়োজন মনে করে না। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে এক শ্রেণীর ব্যক্তিরা।
ইদানিং অনেক নাস্তিকের মুখেও শুনা যায় যে, জামায়াত মওদূদীবাদী। যেখানে ওরা ইসলামকেই মানতে চাচ্ছে না, হেফাজতের তের দফার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে মধ্যযুগীয় আখ্যা দিচ্ছে। সেখানে তারাও হুজুগে মওদূদীবাদী বলে জামায়াতকে গালি দিচ্ছে!
জামায়াত নেতৃবৃন্দের সুস্পষ্ট কথা হল যে, মওদূদী হউক আর সাঈদী হউক যেই হউক, তারা কেউ নবী বা ফেরেশতা নয় যে, তাদের কথা ও লেখায় ভুল হতে পারে না। ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। এজন্য একটি রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। মাওলানা মওদুদী রিসার্চ সেন্টার। এই সেন্টার মওদূদীর বইয়ে কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে তা নিরসন করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ওই নিন্দুকরা কিন্তু এই রিসার্চ সেন্টারে একবারও কোনও বিষয়ে অভিযোগ করতে যাননি।
আসুন নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখি- শত শত কিতাব লিখে যে মহান ব্যক্তিটি দ্বীনের খেদমত করে গেছেন । তার কিতাব নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরছাত্ররা গবেষণা করছেন। তাকে হেয় করার জন্য এত এত কলমের কালি বা কম্পিউটার মাউসের ‘টিপাটিপি’ না করে। তার মত গবেষণাধর্মী বই বের করুন। ইসলাম নিয়ে চর্চা করুন। মুসলমানরা উপকৃত হবে।
কিন্তু সমালোচকরা তাদের কিতাবাদির সমালোচনা করে বরং তার কিতাবের প্রচার করে দিচ্ছেন। অনেক কৌতুহলী মানুষ জামায়াতের দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে এসব কিতাব চেয়ে নিয়ে পড়ছেন তখন তাদের মনে জামায়াতের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা তৈরি হচ্ছে। পরোক্ষভাবে এতে তো জামায়াতকে লাভবান করে দেয়া হচ্ছে!
এইজন্য মহান আল্লাহ পাকের দরবারে লাখ কোটি শুক্রিয়া আদায় করা দরকার ।
আলহামদুলিল্লাহ
লিখেছেন এস আর শাফি
বিষয়: বিবিধ
২৬৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন