ভাষা আন্দোলন নিয়ে গোলাম আজমের ভুমিকা
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ১৪ জুলাই, ২০১৩, ০৯:৩০:০৪ রাত
* ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ একদলছাত্র নিয়ে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে পিকেটিং করার সময় সদলবলে গ্রেফতার হন এবং তেজগাঁও থানায় বেড়া-বিহীন টিনের ঘরে সাত দিন রোদ বৃষ্টিতে অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগেছেন।
* ১৯৪৮ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলীখানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে গোলাম আযমরাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব পাকিস্তানের সামগ্রিক দাবীসম্বলিত ঐতিহাসিক ‘অভ্যর্থনা স্মারকলিপি’ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) জি.এস. ছিলেন।
* ১৯৫২ সালে মার্চের ৬ তারিখে রংপুরে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়ে একমাস রংপুর জেলে অন্তরীণ ছিলেন।
* ২১ ফেব্রুয়ারী যাতে পালন করতে না পারেন তার জন্য ১৯৫৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী তাকে গ্রেফতারকরা হয় এবং দু মাস পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি লাভ করেন।
* ১৯৫৫ সালে কারান্তরীণ অবস্থায় রংপুর কারমাইকেল কলেজের চাকুরী থেকে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। গভর্নিংবডির পক্ষ থেকে জেলে তাকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয় যে, বার বার গ্রেফতার হওয়ায় ছাত্রদেরপড়ার ক্ষতি হয় বলে কলেজে তাকে আর প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রপথিক অধ্যাপক গোলাম আজম ।
তার লেখা বই গুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন তিনি কত বড় মাপের একজন ইসলামী চিন্তাবিদ। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য পাকিস্তান সরকারকে স্বারক লিপি পেশ করেন।
তার রয়েছে এক বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। এদেশের মানুষের জন্য নিবেদিত অমায়িক এক মানুষের অধ্যাপক গোলাম আজম। আজ আমাদের সেই প্রিয় ব্যক্তিটিকে নিয়ে হীন স্বরযন্ত্রে লিপ্ত কিছু পেটুয়া বাহিনী।আজ আর বসে থাকার সময় নেই এইস্বরযন্ত্র রুখতেই হবে।
বিষয়: রাজনীতি
১৭০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন