সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদীকে নিয়ে বিভ্রান্তি ও তার জবাব ০১
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ১২ জুলাই, ২০১৩, ১২:৩৭:৪০ রাত
নবুওয়াত পূর্ব জাহেলী যুগে নবী (সঃ) এমন কিছু ত্রুটি করেছিলেন যেগুলোর চিন্তায় তিনি অত্যান্ত পেরেশান থাকতেন এবং যেগুলো তার কাছে অত্যান্ত ভারী মনে হতো। এই অ্যাতটি নাযিল করে আল্লাহ তাঁর এই ত্রুটি মাপ করে দিয়েছেন বলে তাঁকে নিশ্চিত করে দেন। -তাফহীমুল কুর্আন ১৯শ খন্ড ১৫৮ পৃষ্ঠা,
উপরে উল্লেখিত কথা গুলো ১৫৮ প্ররষ্ঠার ২ নং টিকার প্রথম কয়েকটা লাইন মাত্র! এই কয়েকটা লাইন লিখে অনেকেই মওদূদী সাহেবকে নিয়ে ঘৃনা ছড়াচ্ছে। এবার দেখুন ঐ একই টিকার একই প্যারায় উল্লেখিত লাইন গুলোর পরের কথা গুলো কি ছিল।
কিন্তু আমার মতে, এখানে এই অর্থ গ্রহন করা এক মারাত্মক পর্যায়ের ভুল। প্রথমত"বিযরুন" শব্দের অর্থ যে অবশ্যই গোনাহ হতে হবে তা নয়। বরং ভারী বোঝা অর্থেও এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তাই অযথা একে খারাপ অর্থে গ্রহন করার কোন কারন নেই। দ্বিতীয়ত নবী (সঃ) নবুওয়াতের পূর্ব জীবনেও এত বেশী পাক পরিচ্ছন্ন ছিল যার ফলে কুরআন মাজীদের বিরোধীদের সামনে তাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
যারা মাওলানা মওদূদীড় তাফসীরের এই টিকার প্রথম অংশ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা বেশিরভাগই না জেনে এমনটি করতেছে! এই বিভ্রান্তি ছড়ানোর মুলে রয়েছে যাচাই না করে কপি পেষ্ট মারা। আশা করি ভবিষ্যতে আর কেউ উক্ত লেখা নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না!
আপনার বন্ধুদের মধ্যে কেউ বিভ্রান্তিতে থেকে থাকলে শেয়ার করুন। তার বিভ্রান্তি কাটানোর দায়িত্ব আপনারই। ধন্যবাদ ।
মুসলিম গ্রুপ
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন