আর কতটুকু হলে আমরা ভারতের অঙ্গরাজ্য হব?
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ২৯ মে, ২০১৩, ১১:৪৬:৫২ সকাল
১৯৭১=জামাত=পাকিস্তান=রাজাকার
২০১৩=আওয়ামীলীগ=ভারত=রাজাকার !!
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধা শুরু হল শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে ধরা দিলেন। কেন? আর ৯১ বছরের অশিতিপর বৃদ্ধ মজলুম নেতা মাওলানা ভাষানী তার সহকর্মীদের নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করলেন যুদ্ধ করার অভিপ্রায়ে।
ইন্দিরা গান্ধী তার আঞ্চলিক রাজনীতির সার্থে গৃহবন্দী করলেন মাওলানা ভাষানীকে। কারন ইন্দিরা ভালভাবেই জানতেন মাওলানা ভাষানী মুক্ত থাকলে যুদ্ধ পরবর্তী রাজনীতি তার হাতে থাকবে না।
যুদ্ধ শেষ শেখ মুজিব বাংলাদেশে আসলেন তিনি তখন বাঙ্গালীর অবিসংবিদিত নেতা। তার শাষন আমলের প্রথম তিন বছরে বাংলাদেশ সংবিধানের চারটি সংশোধনী আসে। এই চারটি সংশোধনী নিয়ে আওয়ামী বুদ্ধিজীবিদের আলোচনা করতে কখনো দেখবেন না কারন দেশের স্বার্থ পরিপন্থী এই ধরনের সংশোধনী আসলে দেশ বিক্রির নামান্তর। এ নিয়ে পরে আলোচনা করব।
১) শুধু তৃতীয় সংশোধনী আইন উল্লেখ্য করতে চাই (১৯৭৪ সালের ৭৪ নম্বর আইন)। ১৯৭৪ সালের ২৮শে নভেম্বর এই আইন সংসদে অনুমোদিত হয়। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মান চিত্র পরিবর্তন করে বেরুবাড়ী ভারত কে দিয়ে দেয়া হয় এবং মুজিব ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী এই ছিট মহলের বিনিময়ে মাত্র তিন বিঘা আয়তনের একটি করিডোর বাংলাদেসের প্রাপ্য ছিল যাতে দহগ্রাম অঙ্গরপোতার অবরুদ্ধ জনগন বাংলাদেশে আসা যাওয়া করতে পারে।
যে তিন বিঘার আসায় বেরুবাড়ি ভারত কে দিয়ে দেয়া হয়েছে সেই তিন বিঘা আজো পাওয়া যায়নি, কারন ভারতের উচ্চ আদালত সাবাস্ত করেছে এই তিন বিঘা বাংলাদেশ কে দেয়া হলে সে দেশের নাকি সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হবে আর আমদের সংসদ ভারত প্রেমের চুড়ান্ত পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে বেরুবাড়ী দিয়ে দিল।
২) ১৯৭৪ সালে মুজিব ইন্দিরা চুক্তির সময় তৎকালীন পানি সচিব আসাফউদ্দৌলা সাহস করে ইন্দিরা গান্ধীকে দুটো প্রশ্ন করেছিল।
ক) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ যদি আজো পূর্ব পাকিস্তান থাকত তাহলে ভারত এভাবে ফারাক্কা বাধ চালু করতে পারত?
ইন্দিরা নিশ্চুপ।
খ) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ যদি ভারতে অংশ হত এইভাবে সেই অংশের জনমত উপেক্ষা করে কি আপনি ফারাক্কা বাধ চালু করতে পারতেন?
ইন্দিরা নিশ্চুপ।
৩) মেজর জলিল স্বাধীনতার বীর সেনানী। স্বাধীনতার পর ভারতীয় সেনারা খুলনা চিটাগাং এর সমস্ত জিনিস পত্র হাতিয়ে নিয়ে যায়, সিলিং ফ্যান, টাইপ রাইটার, এমন কি বাসন কোসন পর্যন্ত রেহাই পায় না। চিটাগাং শুধু এডমিরালটি ডেক্সটাই রেখে গিয়েছিল। প্রাজিত পাকিস্তানী চার ডিভিশন সৈন্যর অস্ত্রশস্ত্র ভারতীয় অধিনায়কদের নির্দেশে আর আওয়ামীলীগের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ভারতে চলে গেল।
খুলনা জেলার নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলের সাথে সংঘর্ষ লেগে যায় ভারতীয় সেনাদের।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের চাপে বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার গ্রেফতার করে মেজর জলিল কে অবাধ্যতার অভিযোগে। সামরিক আদালতে বিচার চলে মেজর জলিলের। এক বছর পর বেকসুর খালাস। (Ref: By Lawrence Lifschult Bangladesh the unfinished revolution)
৪) বাংলাদেশের সেনাবাহিনী অকার্যকর করে ভারতীয় জেনারেল মেজর জেনারেল উবানের হাতে রক্ষীবাহিনী তৈরী (Ref: Maj Gen Uban: Fifth army in Chittagong)
৫) অপারেশন বড়াইবারীঃ বিএসএফ আর ব্লাক ক্যাটের বরইবাড়ি দখল নেবার কুটচাল যখন বিডিআর প্রতিহত করে ১১ জন বিডিআর সদস্য প্রান হারায় আর দেশের অখন্ডতা রক্ষায় প্রান দেয়া শহীদ সিপাহীদের জাতীয় মর্যাদায় দাফন ও পুরস্কৃত করা তো দূরে থাক সরকারের একজন মন্ত্রীও রৌমারী পরিদর্শনে যাননি দীর্ঘদিন। এমনকি এ সময় বিডিআর প্রধানসহ বড়াইবাড়ীর বীর জওয়ানদের বদলী করা হয় (শাস্তিস্বরূপ)।
এর প্রতিশোধ স্বরূপ হয় বিডিআর হত্যাকান্ড, যার ভারতীয় সংশ্লিষ্টতা বিভিন্ন সময় আপনারা দেখেছেন।
৬) ভারতীয় সাহায্যে ক্ষমতায় এসে সেই প্রতিদান শোধ করতে যেয়ে ২০১২ সালের ১২ই জানুয়ারী যৌথ ইশতেহারে ২২, ২৩, ২৪ নাম্বারে ভারত কেবল ট্রানজিটই দেয়নি তার সাথে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যাবহারের মুচলেকাও শেখ হাসিনা আদায় করে নিয়েছে।
৭) পোষাক শিল্পকে ধবংস করে দেবার পায়তারা অনেকদিন ধরে ভারতের ছিল সে পরম্পরায় সাভার ট্রাজেডীতে আওয়ামী সহায়তায় ভারত স্বার্থক। যার কারনে কোন বিদেশী মিডিয়া সংবাদ সংগ্রহ করতে পারে নি।
৮) মৃত্যুর মিছিলে অন্যদিকে চোখ সরিয়ে নির্বিঘ্নে রামপাল দিয়ে সুন্দরবন ধবংস।
৯) আওয়ামীমন্ত্রী মাল মুহিত বলছে বাংলাদেশের টাকা উঠিয়ে ভারতীয় রুপী চালু হোক।
১০) ব্যাংক গুলো সুপরিকল্পিত ভাবে অল রেডী ধবংস করা হয়ে গেছে।
১১) যে দেশে মুসলমানদের পবিত্র কোরান পোড়ান হয় সেই ভারত প্রেমী আওয়ামী বানী
ক) তথাকথিত আল্লাহর শাসন দিয়ে কিছু হবেনা।- সৈয়দ আশরাফ ।
খ) আগামীবার ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও তুলে দেব। - সুরঞ্জিত সেন ।
গ) মেয়েদেরকে বোরকার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে, তাদের নাচগান শিক্ষা দিতে হবে। -হাসান মাহমুদ।
ঘ) আগামীতে ক্ষমতায় এলে ধর্মের ছায়াটুকুও মুছে ফেলা হবে। - সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
ঙ) ধর্ম হল নেশার মত। - আব্দুল লতিফ সিদ্দীকি
চ) রাসুল(সাঃ)কে কটুক্তি করা স্বাভাবিক বিষয়, এটা নিয়ে হৈচৈ করা ঠিক নয়। - তথ্যমন্ত্রী ইনু
ছ) রাসুল সাঃ হিন্দুদের পূজার জন্য মসজিদের অর্ধেক জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন। - ধর্মপ্রতিমন্ত্রী
জ) রাসুল সাঃ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। - এমপি বাদল
ঝ) মা দূর্গা গজে চড়ে এসেছিলেন বলে ফলন ভালো হয়েছে। -হাসিনা
ঞ) গ্রামগঞ্জে ইসলামিক জলসা বন্ধ করতে হবে - পঙ্কজ ভট্টাচার্য
ট) বোরখার ব্যবহার ৫০০% বেড়ে গেছে, বোরখা বন্ধ করতে হবে। -সজিব ওয়াজেদ জয়
ঠ) সেনাবাহিনীতে কওমী মাদ্রাসার ছেলে বেড়ে গেছে। - সজিব ওয়াজেদ জয়
ড) পচিশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু প্রধানমন্ত্রী চাই। - সজিব ওয়াজেদ জয়
ঢ) সেনাবাহিনী থেকে ইসলামপন্থীদের বিতাড়িত করতে হবে। - সজিব ওয়াজেদ জয়
ণ) কুতসিত চেহারা ঢাকতেই মেয়েরা বোরকা পরে। - ডেপুটি স্পীকার
ত) আমি মুসলিমও নই হিন্দুও নই। - সৈয়দ আশরাফ
থ) বঙ্গবন্ধু মদ জুয়া হারাম করেছেন। - নৌ মন্ত্রী শাহজাহান
দ) কওমী মাদ্রাসার ছেলেরা কিচ্ছু জানেনা, উজবুক, এরা শুধু মুখস্থ করে। - অর্থমন্ত্রী মুহিত
ধ) কওমি মাদ্রাসাগুলো জঙ্গী প্রজনন কেন্দ্র। - আইনমন্ত্রী শফিক
ন) ইসলামেই এত সন্ত্রাসী আছে, অন্য ধর্মে এত সন্ত্রাসী নেই। -ইসলামিক ফাউন্ডেশন ডিজি
প) সাভারের ঘটনা কিছুই না। - আবুল মাল মুহিত
ফ) সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখা যাবে না। - কবির চৌধুরী
ব)মাদ্রাসা গুলো জঙ্গি বানায়। - শাহবাগ চত্বর
১২) তিস্তা নদীর ওপর দিয়ে আজকে বাস চলে।
১৩) লাখ কোটি টাকা শেয়ার বাজারের নাম দিয়ে ভারতে পাচার।
১৪) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নবীকে কটুক্তি করা রাজীবকে শহীদ ঘোষনা ও রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সমাহিত করা। —
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন