আমার ফেবু পেজের এক ফেনের কথা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো (এডমিন ভাই এইটা আমার লাইফ এর সত্যি ঘটনা, প্লিস শেয়ার করবেন!!!)

লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৪:৩৩:৪০ বিকাল

কথায় আছেনা পিরীত (প্রেম) না মানে কোন রীত (রীতি/ নিয়ম)। প্রেমের পরিণতি বিয়ে। আর বিয়ে করেও বারবার বিপদে পড়ছেন তমা ও মো. আলী। আইনের বেড়াজালে পড়ে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে দাম্পত্য জীবনকে স্থায়ীকরণের লক্ষে নিরাপত্তার দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আত্মপক্ষ সমর্পন করে হাজতে রয়েছেন এ যুগল।

তাদের একটাই কথা যদি দু’জনে সুখের সংসার না করতে পারি, তাহলে হয় মৃত্যুকে বেছে নেবো, আর না হয় আজীবন জেলের ঘাঁটি টানবো! তবুও কারো কাছে হার মানবো না! সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সেচ্ছায় হাজতবাসী প্রেমিক যুগল মো. আলী ও তমা জানান, ৩/৪ বছর আগে তাদের দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে প্রেম। আর এই প্রেমের শেষ পরিণতি হিসেবে গত ১৪ জানুয়ারি তারা দু’জনে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই খবরে তমার বাবা লিটন খান বাদি হয়ে ১৫ জানুয়ারি ঢাকা জেলার রামপুরা থানায় নারী ও শিশু আইনে মো. আলী, তার ভাই নয়ন ও তাদের বাবা-মাসহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তমাকে অপ্রাপ্তবয়স্কা উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়, তমাকে জোর করে উপরোক্ত আসামীরা অপহরণ করেছে। মামলার সূত্র ধরে রামপুরা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় গত ১৬ ফেব্র“য়ারি তমা এবং আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে আসামীদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।

অপর দিকে, তমার বাবা তমাকে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দেখিয়ে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে মেয়েকে নিজ জিম্মায় নিয়ে যান। এরপর গত ২৭ ফেব্র“য়ারি মো. আলী জামিনে কারাগার থেকে বেড়িয়ে এলে খবর পেয়ে তমা আবারও ঘর ছেড়ে স্ত্রীর দাবি নিয়ে ছুটে যান মো. আলীর বাড়িতে। আবারও পুলিশের হানা। কিন্তু তমা এবার কিছুতেই স্বামীর ঘর ছেড়ে যাবে না! এক পর্যায়ে পানির গ্লাস ভেঙ্গে নিজের হাতে ঢুকিয়ে দেয়। শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক ঘরে নিয়ে আসা হয় থানায়। তমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মো. আলীর ঘরে তুলে দেয়ায় আশ্বাসে সে ঐদিন পিত্রালয়ে ফিরে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।

হাতে-পায়ে শিকল দিয়ে দু’দিন বেঁধে রাখা হয় একটি ঘরে। এরপর সুযোগ বুঝে গত ২ মার্চ আবারও পালিয়ে আসে তমা। সেখানে ছুটে আসেন তার মা সহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনও। স্থানীয় এক কাউন্সিলরের অফিসে বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তারা। তমার একই কথাÑ তার স্বামীর ঘর ছেড়ে কোথায় যাবে না! তার বাবা-মা তার ওপর নির্যাতন চালায়। সে সময় তাকে জানানো হয়, তার ১৮ বছর না হলে এ বিয়ে আইনত বৈধ বলে গণ্য হবে না। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই হারুন জানান, যেহেতু ঢাকার রামপুরা থানায় এ বিষয়ে মামলা রয়েছে, সেহেতু ঐ থানাকে অবহিত করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উপরের নিউজ টা গত ৪-১-২০১৩

কিন্তু থানার ওসি মোটা অংকের টাকা গুস পেয়ে তমাকে কোর্ট এ না পাঠিয়ে জোরপূর্বক ভাবে তমার অনিচ্ছা থাকা সত্তেও তমার বাবা মা এর গাড়ীতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়...

এর পর তমা গত ২২-৩-২০১৩ তারিখে তমার আম্মুর সাথে মার্কেটে যায়, এবং সেখান থেকে সুযোগ বুজে পালিয়ে মোঃ আলীর কাছে চলে আসে...

তারপর তারা ঘর সংসার শুরু করে,

কিন্তু তমার বাবা মা আবারো মোঃ আলী এবং তার বাবা মায়ের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে!

এবং ভিবিন্ন ক্যাডার বাহিনী লেলিয়ে দেয় মোঃ আলীকে মারার জন্য...!!!

তারপর গত ৭-৪-২০১৩ তারিখে মুক্তারপুর ব্রিজ থেকে তমার বাবার লেলিয়ে দেয়া ক্যাডার বাহিনী এবং তমার বাবা তমাকে এবং মোঃ আলীকে আটক করে, তখন তমার বাবা এবং তার ক্যাডার বাহিনী মোঃ আলীকে মারতে থাকে, মোঃ আলীকে মারতে দেখে তমা জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকে,

তমার চিৎকার শোনে আসে পাশের লোকজন আসে মোঃ আলীকে উদ্দার করে প্রানে বাঁচিয়ে দেয়,

বলতে হবে মোঃ আলীর কপাল ভালো...

নির্ঘাত মরার হাত থেকে বেঁচে গেলো সেদিন...

তখন তমার বাবা তমাকে আবারো জোর করে গাড়ীতে করে তুলে নিয়ে যায়।

তমা এবং মোঃ আলীর ভবিষ্যতে কি আছে আপনারা কি বলতে পারবেন???

আর ওর ফ্যামিলিকে কি করা উচিৎ বলে মনে করেন???



ছবিটাও উনাদেরই

বিষয়: বিবিধ

১১৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File