দাড়িওলা মোললাদের দেখলেই নাকি বমি আসে
লিখেছেন লিখেছেন তিতুমীর সাফকাত ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৫৪:১৫ দুপুর
কয়েকদিন আগে দুপুরে ক্লাস শেষে বাসে করে মেসে ফিরছিলাম , আমার দুই সারি সামনে তিনটা মেয়ে বসে প্রচুর কথা বলছিল । এত জোরে বলছিল যে ইচ্ছে না থাকলেও শুনতে হচ্ছিল । কিছুক্ষণ পর বাসে এক দাড়িওয়ালা মাওলানা টাইপ ভাই উঠলেন । সাথে সাথে একটা মেয়ে বলে উঠলো ," জানিস এই দাড়িওয়ালা মোল্লাগুলোকে দেখলেই আমার বমি চলে আসে, ওয়াক , যত্তসব জামাতি শিবিরের পুলাপাইন!" বেশ জোরেই বলছিল এবং বাসের প্রায় সবাই শুনলো অন্য মেয়েগুলো আবার সমর্থনও করছিলো , আমার রাগে দম বন্ধ হয়ে আসছিল । দাড়িওয়ালা ভাইটি দেখলাম বেশ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তারপর কিছু না বলে চুপ করে বসে পড়লো । আমি কিছু বলার জন্য উঠে দাড়ালাম কিন্তু পাশের সিট থেকে বন্ধুটি টেনে বসিয়ে দিল । কিছুই বলতে পারিনি ॥
এখন বলছি আপু শুনুন , একজন দাড়িওয়ালা হুজুরটাইপ মানুষকে দেখে আপনার বমি আসতেই পারে কারণ উনি আপনার মতো বা আপনার বয়ফ্রেন্ডদের মতো খবিশ নন -
১. একজন হুজুরকে দিনে পাঁচবার হাতমুখ ভাল করে ধুতে হয় , দাড়ি পরিষ্কার করতে হয় , দাঁত পরিষ্কার করতে হয় । আপনারা কি দিনে অন্তত একবার তা করেন ?
২. একজন হুজুর কখনোই সিগারেট গাঁজা বা অন্য কোন ড্রাগস সেবন করে না , কারণ তা করলে সে নামাজ পড়তে পারবে না , মুখে গন্ধ নিয়ে নামাজ পড়া নিষেধ । আপনাদের কাছে তো সিগারেট হচ্ছে অক্সিজেনের মতো ।
৩. চল্লিশদিনের মধ্যে বগল ও শ্রোণীদেশের অবাঞ্চিত লোম তাকে পরিষ্কার করতে হয় । আপনাদের ওখানে কি আছে আপনারাই ভাল জানেন ।
৪. দাড়ি দেখেই তাকে শিবির বলে গালি দিলেন কিন্তু কয়টা শিবিরের পুলাপানের মুখে দাড়ি আছে বলতে পারবেন ? দাড়ি থাকলেই যদি জামায়াত শিবির হতো তবে রবীন্দ্রনাথ , সুভাষ দত্ত , নির্মলেন্দু গুণরা সবচেয়ে বড় জামাতি ॥
বিষয়: বিবিধ
২৩২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন