বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র শিবির সাবধান।
লিখেছেন লিখেছেন রক্তচোষা ২৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:৫৬:৪৭ দুপুর
স্বপ্ন দেখিলাম।
আমি প্রেমে ছ্যাকা খাইছি। দেবদাস হয়ে ঘুরছি। মুখে ইয়া লম্বা লম্বা দাড়ি।
একদিন দুপুর বেলা টো টো করে ঘুরার সময় প্রবল প্রস্রাব চাপলে পাশের কারখানার বিল্ডিং এর ধারে গেলাম। দেয়ালে লেখা ছিলো 'এখানে প্রস্রাব করিবেন না, করিলে ৫০০ টাকা জরিমানা।'
আমি মনে মনে ধুর বইলা উড়াইয়া দিলাম সতর্কবাণিটা। প্রাকৃতিক কর্মটা যেই করতে যাব ওমনি কয়েকজন লোক এসে আমাকে পাকড়াও করলো।
কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে ধরে ফেললো। একটা গাড়ি এসে থামলো। পুরা এয়ারকন্ডিশন্ִড গাড়ি। আমাকে নিয়ে চললো।
একটা বিরাট বাড়ির সামনে এসে থামলো। বাড়িতে আমাকে ঢুকালো।
একটা লোক এসে আমাকে নতুন তোয়ালে আর লুঙী দিয়ে বললো,
- ভাইজান, ওই যে ওই দিকে বাথরুম। যান শান্তি মত টয়লেট করে, গোসল করে আসেন। দুপুরে আমাদের এখানে খাবেন।
আমি তো পুরাই টাশকি খেয়ে বাথরুমের দিকে এগুলাম। মনে মনে ভাবছি এভাবেই হয়তো বাঁশ দিয়ে পরে ৫০০ টাকা নিবে আমার কাছ থেকে।
গোসল করে আসলে খাবার রুমে ঢুকালো। অনেক আইটেমের খাবার। খেতে খেতে আমি বললাম,
- ভাই আমি দুঃখিত। আসলে ওইখানে প্রস্রাব করতে যাওয়া উচিত হয় নি।
- ঠিক আছে ভাই তবে আপনাকে একটা কথা বলি। ওইটা আমার একমাত্র কারখানা। আপনি তো জামায়াতের লোক। আপনি প্রস্রাব করতে গিয়ে যদি দেয়ালটা ধরে নাড়াচারা করতেন তাহলে আমার সব শেষ হয়ে যেত। কারখানাটা ধ্বসে গেলে আমার না খেয়ে মরতে হতো।
- মানে?
- ভাই কোন মানে মানে কইরেন না। এরপর থেকে আপনার টয়লেটের দরকার পরলে আমার বাড়িতে আসবেন। একবেলা খেয়ে যাবেন তবুও প্লিজ আমার কারখানার দেয়ালে হাত দিয়েন না ভাই।
আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। নিজের দিকে তাকালাম। আস্তে আস্তে সব বুঝতে পারলাম। আসলে আমার মুখের লম্বা দাড়ি আর পরনের ফতুয়া দেখে আমাকে জামায়াত, শিবিরের লোক ভেবেছিলো।
হাহাহা…মাইরালা মখা রে কেউ নাড়াচারা কইরা মাইরালা।
বিষয়: বিবিধ
২১২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন