প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা

লিখেছেন লিখেছেন মীর ফরিদ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫৯:১৪ রাত

যে জাতি নিজেদেরকে সাহায্য করে না, আল্লাহও তাদেরকে সাহায্য করেন না।


রোহিঙ্গারা মুসলিম জাতি এবং ভৌগলিক পরিচয়ের দিক দিয়ে ‌রে‍াহিঙ্গা। যেমন আমরাও মুসলিম জাতি এবং ভৌগলিক পরিচয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশী/বাঙালী।

আমরাও দীর্ঘদিন পরাধীন ছিলাম। শোষণ নির্যাতন নিষ্পেষণ আর অবিচারের স্টীম রোলারের চাকাতলে পিষ্ঠ হতে হতে ২১৪ বছর দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের ঈমানী শক্তি আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করেছেন। আমরা এমন মরণ পণ করেছিলাম যে, হয় দেশ স্বাধীন করবো নয় সবাই মরে যাব। পার্শ্ব দেশ ভারতে গিয়ে সামরিক ট্রেনিং নিয়ে ফিরে এসেছি দেশের মাটিতে। ওখানে রিফিউজি হয়ে বসে বসে খেয়ে খেয়ে দুই তিনটা চারটা বিয়ে করে চুরি ডাকাতী আর ছিনতাই রাহাজানী করার চিন্তা আমরা কখনোই করিনি।

১৯৮০ সাল থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আছে রিফিউজি হিসাবে। তাদের এই ৩৭ বছরের ইতিহাস ঘাটলে এবং পর্যালোচনা করলে হতবাক না হয়ে পারা যায় না। কক্সবাজার অঞ্চলে অপরাধ জগতের বিরাট অংশ জুড়ে আছে তারা। হেন অপকর্ম নেই যা তারা করেনি এবং করছে না। তাদের অপকর্মের কারণে এ অঞ্চলের মানুষদের সহানুভূতি হারিয়েছে তারা।

পরাশক্তি রাশিয়াও আফগানিস্তান আক্রমণ করেছিল। কিন্তু আফগানদের প্রতিরোধের মুখে বেশী দিন টিকতে পারেনি। পাততাড়ি গুটাতে বাধ্য হয়েছিল। ঐক্য ও ঈমানী শক্তি ছিল বলে গাঁদা বন্দুক দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিল দূর্মদ দুশমনকে। আল্লাহ পাক তাদেরকে সাহায্য করেছিলেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর কালামে পাকে বলেন, তোমরা যদি ঈমান আন আর নেক আমল কর, তবে তোমাদের বিশ জন দুইশ জন কাফেরের উপর বিজয় লাভ করবে।

গত ৩৭ বছরে আমি দেখেছি, রোহিঙ্গাদের ঈমান ও আমল দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত। মুসলমানদের প্রধান অস্ত্র এ দুটোই। এ দুটো ঠিক থাকলে পরে আল্লাহর সাহায্য আসে। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কখনোই মুসলমান বিজয় লাভ করবে না।

আমরা দোয়া করব অবশ্যই। কিন্তু ওরা ঠিক না হলে সারা পৃথিবীর মুসলমানদের দোয়ায় কোন কাজ হবে না। শুধু দোয়ার বলে যদি ইসলাম কায়েম হতো আর মুসলমানরা পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারতো তবে স্বয়ং রাসূল (সাঃ) কে মদীনার ১০ বছরের জীবনে ৮৩ টি যুদ্ধ পরিচালনা করতে হতো না।

সূতরাং যারা নিজেদেরকে সাহায্য করে না, আল্লাহও তাদেরকে সাহায্য করেন না

জন্ম যখন মৃত্যুরই জন্য, তখন মৃত্যুকে ভয় কেন? ঘুরে দাঁড়াতে হবে। পলায়ণ না করে যা আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নতুবা গৌরবের নয় অপমানজনক মৃত্যু অবধারিত।

বিষয়: বিবিধ

৬৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File