সমাজের ক্রমবর্ধমান অশ্লীলতার শেষ কোথায়?
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:৩৪:৫৭ সন্ধ্যা
ওরা সংশয় ছুঁড়ে দেয়-- এত প্রেরণা দিয়ে কী হবে? এত সচেতনতা দিয়ে কী হবে? ওরা বলে ওঠে, সমাজের সবাই ভেসে যাচ্ছে, ঘরে ঘরে এখন সবাই নাটক-সিনেমাতে বুঁদ হয়ে আছে, প্রেমের সাগরে ডুবে শরীরের উত্তাপে পুড়ে চলেছে তরুণ-তরুণীরা যখন, তখন তোমাদের এসব লিখে কী হবে?
আমরা বলি, সলেই যে শান্তি চায় তা আমরা জানি। জানি এই পৃথিবীতে আল্লাহর নির্দেশিত পথ ছাড়া কোথাও শান্তি নেই। মুসলিম ঘরে জন্মে এখন দেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলামের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাইরে। সেক্যুলাররা খেটে-খুটে যে শিক্ষাব্যবস্থাকে রূপ দিতে চেয়েছিলো তার অনেকটাই সফল, হয়ত অনেকদূর বাকি। তাতেই মুসলিম মেয়েদের বোরকা পরাকে খুব গরম মনে হয়, হিজাবকে আনস্মার্ট লাগে। চোখ নামিয়ে চলা, দাড়িওয়ালা ছেলেদেরকে দেখলে আনস্মার্ট ও ক্ষ্যাত লাগে। হিন্দি সিরিয়াল না দেখলে তাদের দিন কাটেনা, অথচ দশজন নবী এবং সাহাবীর নামও তারা বলতে পারবে না। শিক্ষাব্যবস্থার নষ্ট প্রোডাকশন এই সমাজ।
কিন্তু আমাদের সামনে একটি ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাসে দেখতে পাই একজন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই গোটা পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত যত মানুষ আসবে, তাদের সবার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে জীবনের মিশন পূর্ণ করেছিলেন। তার সাহাবারা এমন পথ তৈরি করে দিয়ে গেছেন যাতে পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের মুক্তির পথ হিসেবে আদর্শ হয়ে রবে। তাদের শাসন ও কর্মপদ্ধতি ছিলো শান্তি আনয়নকারী, মানবিক।
পৃথিবীতে সবসময়েই খুব কম সংখ্যক মানুষ পরিবর্তন এনেছে, পরিবর্তনে বেশি মানুষ লাগে না। অন্যভাবে বলা যায়, বেশি মানুষ কখনই পরিবর্তন চায় না। জগতে খুব কম মানুষই বীর ছিলো, খুব কম মানুষই জ্ঞানী ছিলো। বেশিরভাগ মানুষই জন্ম নিয়ে, খেয়ে-দেয়ে, প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে, শরীরের কামনা পূরণ করে মরে গেছে।
আজকে আমরা যারা এই চরম কামে ভরপুর পথঘাট-ক্লাসরুম-বিলবোর্ডভরা, মাস্তি-ডিজেড্যান্সেভরা, হিন্দি সিরিয়াল আর অশ্লীল হিন্দি মিউজিক ভিডিওভরা সমাজে আখিরাতের নিশ্চিত শান্তি পেতে বুকে দৃঢ়তা ও কষ্ট নিয়ে ভিন্ন এক শান্তির ধারা রচনা করতে চেষ্টা করছি, একদিন আমরাই সমাজে ছড়িয়ে যাবো ইনশা আল্লাহ।
ভুল জিনিসগুলো বেশিদিন থাকে না। অন্যায়কারী ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দুই-তিনশ বছর পরে গোটা দুনিয়া থেকে হারিয়ে এখন ছোট্ট একটি ভুখন্ডে ধুঁকে ধুঁকে আছে। এখনকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদেরও পতন হবে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এই ধ্বংস হয়ত বৃদ্ধি পেতে পেতে একসময় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এরপর আবার সত্য ও শান্তিকে চাওয়া মানুষরা দ্বীনকে আঁকড়ে ধরবে। লক্ষ কোটি মিথ্যায় সবকিছু সয়লাব হলেও সবশেষে শুধু সত্য টিকে থাকে। এসব অশ্লীলতা নষ্টামির সভ্যতা ও সংস্কৃতি তো ধ্বংস হয়, হবেই।
আল্লাহ আমাদের সমাজকে রহম করুন। আমাদের পরিবারগুলো যেন হয় শান্তিময় ও আত্মশক্তির উৎস। আল্লাহ যেন আমাদেরকে আমাদের দুর্বল ঈমানের অপারগতা থেকে ক্ষমা করেন। হে আমাদের রব, আমাদেরকে কল্যাণময় জ্ঞান দান করুন, আমাদের জীবনকে কবুল করুন!
বিষয়: বিবিধ
১২৯৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হে আল্লাহ আমাদের সমাজকে রহম করুন। আমাদের পরিবারগুলো যেন হয় শান্তিময় ও আত্মশক্তির উৎস। আল্লাহ যেন আমাদেরকে আমাদের দুর্বল ঈমানের অপারগতা থেকে ক্ষমা করেন। হে আমাদের রব, আমাদেরকে কল্যাণময় জ্ঞান দান করুন, আমাদের জীবনকে কবুল করুন!আমীন ।
সবাইকে দিয়ে ভাল কাজ হয় না,
খারাপ পাবলিক ভাল কাজ করবে এটা অস্যাভাবিক।
খারাপ লোক খারাপ কাজ করে জাহান্নামের রাস্তা ধরছে।
যেভাবেই হোক জাহান্নামে অদের যেতেই হবে তাই খারাপ কাজ করা চাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন