শহীদ কামারুজ্জানের পরিবারের লোকদের সাথে সাক্ষাত, নিউ ইয়র্কে, না জানা স্মৃতির কথা শুনে আসলাম তাঁদের থেকে।
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসের চিঠি ২০ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:৪৫:১৯ রাত
গত ১৪ মে দেখা করতে গিয়েছিলাম জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী শহীদ জনাব মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ভাইয়ের স্ত্রীর ভাইয়ের বাসায়। তাঁর পরিবারের অনেক কথা অনেক স্মৃতির কথা শুনলাম, শুনলাম ৯১ সালের নির্বাচনে শেরপুর থেকে জনতার ভোটে বিজয়ী হওয়া অতপর তা ছিনিয়ে নেয়ার কাহিনী। নিজ এলাকায় অনেক জনপ্রিয় জননেতা কামারুজ্জামানের বোন তো তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁর বিনম্র ব্যাবহার, পরিবারের ছোটদের কে আদর স্নেহের স্মৃতি, তাঁর প্রতিভা সব নিয়েই অনেক কথাই শুনলাম। পরিবারের লোকদের কাছে তাঁর অনেক গুনের কথা শুনে অনেক বেশী ভালো লাগলো। তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই দেশের সুনাম ধন্য সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবি জনাব শ্রদ্ধেয় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভাই, যিনি এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয় ঢাকা ডাইজেষ্ট পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন, তাঁর সাথে বসে বসে অনেক কথাই আলোচনা হলো। আমাদের শ্রদ্ধেয় আব্দুল্লাহ আল আরিফ ভাইয়ের সাথে আর মোল্লা ভাই কে সাথে নিয়ে বেশ সময় কাটালাম মঞ্জু ভাইয়ের বাসাতে, যদি ও মঞ্জু ভাইয়ের অফিস থেকে বাসায় এসে বিশ্রামের সময় টা আমরা নষ্ট করে উনাকে কষ্ট দিয়েছি, তবু ও অনেক ভালো লাগলো উনাদের কথা গুলো শুনে। পরিবারের লোকদের দৃঢ় মনোবল জালিমের গালে চেন চপোটাঘাত। অন্যায় না করা মানুষ তাদের বিবেকের কাছে স্বচ্ছ আর তাঁর কারণে দৃঢ় মনোবলের অধিকারী হয় তা উনাদের কে না দেখলে বুঝা যাবে না। অন্যায় ভাবে হত্যা করে উল্লাস করা যায় কিন্তু অপরাধী বানানো যায় না তাদের কে, মাথা নত হয় না তাদের, পরিবারের লোকদের বিশ্বাস আর দৃঢ়তা জালিমদের মনোকষ্ট আরো বাড়িয়ে দেয়, আর এই অন্তর জ্বালা নিয়েই জালিম তার শেষ পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। জালিমদের শেষ পরিণতি দেখার অপেক্ষায় রইলাম আমরা ও। যে কামারুজ্জামান আমেরিকায় এসে বলতেন আপনারা বাংলা কে অগ্রাধিকার দেবেন, সাইনবোর্ডে আগে বাংলা লিখে পরে ইংরেজী লাগাবেন, দেশের জন্য এত যার ভালো লাগা ভালো বাসা তাঁকেই দেশ বিরোধী হিসাবে চিহ্নিত করে ফাঁসি দিলো জারজ লীগের লোকেরা, আল্লাহ তুমি উত্তম বিচারক।
বিষয়: বিবিধ
১১১০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন