নাস্তিক মুক্ত দেশ চায়, ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা বন্ধ হোক।

লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসের চিঠি ২৫ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:২৯:৪১ সকাল



বাংলার জমিনে ইসলাম নিয়ে খেল তামাশা আর কম হয়নি।সব চেয়ে খেল তামাশার পাত্রে পরিণত করেছে কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ী স্বার্থান্বেষী মহল। ৯০% মুসলমানের দেশে তাদের ধর্ম বিশ্বাস আর ঈমান আকিদা নিয়ে ব্যাঙ্গ তামাশা একটি দলের কাছে জাতীয় কৌতুকে পরিণত হয়েছে। মুসলমান হয়ে ইসলাম নিয়ে এই জাতীয় ব্যাঙ্গ তামাশা পৃথিবীর দেশে দেশে শুধু মাত্র কিছু মোনাফেক আর দ্ধীন ধর্মের গাদ্দারদের দ্ধারা হয়ে থাকে।তুরস্কে ইসলাম উৎখাতে কামাল আতাতুর্ক,মিশরের হোসনি মোবারক আর তার পূর্ব সুরীরা আর বাংলার সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ, আল্লাহর উপর আস্থা, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম অপসারণ কারীরা জাতীয় মোনাফেক আর ফেরাউন ন্ম্রুদের উত্তর সূরী। এরা ইসলাম কে আঘাত কারী আবু জেহেল আবু লাহাবের নতুন সংস্করণ আব্দুল্লাহ ইবনে ওবাইয়ের বংশধর। এই জামানায় নবী রাসুল (সঃ) যদি আসতেন এই সকল লোকেরা হতো আবু জেহেল, আবুলাহাব,উতবা,শায়বা, এদের সহযোগী। নবী রাসুলের আগমন বন্ধ হয়ে ভাগ্যক্রমে দ্ধীনের এই দুশমনেরা ইসলামের লেবাস লাগিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হলি খেলা খেলছে। আল্লাহ সকল ক্ষমতার উৎস এই অপরাধে যদি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে কোন সরকার আর তাদের গোলাম বিচারপতিরা, তাহলে সেই সরকার প্রধান কিভাবে আবার আল্লাহর ঘরে গিয়ে হজ্ব করে আর ওমরা করে? যেই হিজাব পরার অপরাধে বাংলার জমিনে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজে কত ছাত্রীকে এই সরকারের জানোয়ার শিক্ষকেরা ক্লাশ থেকে বের করে দিলো সেই সরকার প্রধান কিভাবে একই হিজাব পরে মক্কা মদীনা সফর করে ধার্মিক সাজে? কিছু ঘুমন্ত আর কিছু সর্ব শক্তিমান আল্লাহর নাম জফা অবস্থায় যেই সরকার নিরীহ আলেম ওলামদের উপর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড সংঘঠিত করলো, সেই সরকারের প্রধান মহান আল্লাহর দেয়া ধর্ম নিয়ে ভোটের মৌসুম এলে ধার্মিক সেজে মানুষদের ধোকা দেয়ার এই নির্লজ্জ আচরণ আমাদের দেশের রাস্তার পার্শ্বে থাকা পশুর থেকে ও যে খারাপ তা কি আর বিবেকবান মানুষদের কে বুঝিয়ে বলতে হবে? ইসলাম আর মুসলমানদের ধর্ম কর্ম যদি কারো ভালো না লাগে তাহলে বলতে বাঁধা কোথায়? ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ আর ভোট এলে ধর্ম ব্যাবহার যে, প্রতারক, বেহায়া, নির্লজ্জ আর অমানুষদের কাজ তা আজ বাংলার জনগণ জানে। আলেম ওলামদের বিচারের নামে শত শত মিথ্যা সাক্ষী জোগাড় করে মিথ্যা বাদীদের দিয়ে মিথ্যার পাহাড় রচনা করে বিচারের নামে জঘন্যতম তামাশা যারা করে যাচ্ছে জাতির সাথে, নির্বাচনে তাদের কি পরিণতি হবে তা আমদের চাইতেও ওই সব মিথ্যাবাদীরা ভালো করেই জানে। মামলার বাদী মিথ্যুক,সাক্ষী মিথ্যুক- চোর বাটপার, মাছ চোর, গাছ চোর, মুরগী চোর, কলা চোর। প্রসিকিউটররা মিথ্যাবাদী আওয়ামী দালাল, যারা ইতিমধ্যে বাকশালীদের মনোনয়ন পত্র কিনেছে ভোট করার জন্য।আর বিচারকদের কথা কি আর বলা? ওরা তো কোন মানুষ না বিচারক হয় কিভাবে? বিচার শেষ হওয়ার আগেই রায় লিখে রাখে কাকে কি সাজা দেবে? বিচারকের আসনে একজন রায় লিখে আরেক জন(আঈন মন্ত্রণালয়)।আফ্রিকার জঙ্গলের পশু আর আমাদের এই সব বিচারক নামের গোলামদের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা আমদের জানা নেই।

এত রক্ত, এত জীবন, এত সংগ্রাম, যা বাংলার ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে,দেশের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইতিহাসের এক জঘন্যতম গণহত্যার শিকার ইসলাম প্রিয় সাধারন জনগণ। এই বর্বরতা হার মানিয়েছে আমাদের ৫২ র ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর বিদেশীদের বর্বরতা, স্বৈরাচার বিরোধী ৯০ এর গন অভ্যুথথান, ৯৬ সালের কেয়েরটেকার সরকারের দাবী আদায়ের সংগ্রাম, আর এইবারের এই আন্দোলনের অগ্র সেনানী বাংলার বীর, ইসলাম প্রিয় সাধারন জনতা। সাথে যোগ দিয়েছে ইসলাম প্রিয় গ্রাম বাংলার মা বোন আর বাপ ভাইয়েরা। আর এই বারের হায়েনা হলো বাংলার জঘন্যতম দল হায়েনা লীগ। সারা বাংলাদেশ আজ রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, শহীদের লাশ সামনে রেখে তাদের সাথীরা পিছনে ফিরে যেতে পারে না, ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যার এই নায়ক, খুনী হাসিনার পতনের ডাকের অপেক্ষায় এখন জনগণ। দুর্বার এই গন আন্দোলন কে এখন গতি দিতে হবে এক দফার দাবীতে, দফা এক দাবী এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

বিষয়: বিবিধ

২০৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File