বিএনপিকে ত্যাগ করে আলাদা নির্বাচনে জামায়াতঃ আওয়ামী আবদারে জামায়াতের ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন সময়ের কথা ২৪ জুলাই, ২০১৩, ০৯:২১:০৭ সকাল
আপনারা শুধু বিম্পিকে ত্যাগ করে আগামি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন…দেটস ইট…আপ্নাদের সব নেতাদেরকে রাষ্টপতি দিয়ে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করে মুক্ত করে দেয়া হবে-
আওয়ামীলীগ প্রতিনিধি গওহর রিজভী কর্তৃক জামায়াতের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে দেয়া প্রস্তাব।
জামায়াতের সামনে দুটি বিষয়।
১। তার নিরপরাধ নেতৃবৃন্দকে ঠান্ডা মাথায় রাষ্ট্রীয় সকল শক্তিকে অপব্যবহার করে আওয়ামীলীগের দলীয় বিচারক, দলীয় মিডিয়া, দলীয় প্রসিকিউশন, দলীয় স্বাক্ষী, দলীয় তদন্ত কমিটি ব্যবহার করে ফাসি দেয়ার চেষ্টা। সেটি থেকে মুক্তির শর্ত হচ্ছে বিএনপির সাথে জোট ভেঙ্গে দিয়ে আগামী নির্বাচন করা যাতে আওয়ামীলীগ দেখাতে পারে যে নির্বাচন বহুদলীয় হয়েছে।
২। ইসলামী রাজনীতির সাধারন পরিক্রমা অনুযায়ী নিরপরাধ নেতৃবৃন্দের জীবনকে কুরবানী করে হলেও আওয়ামীলিগের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বিএনপির সাথে জোট অক্ষুন্ন রাখা। যদিও জোট ভাঙ্গা হারাম হওয়ার কিছু নেই, তারপরো আওয়ামীলিগের কথায় জোট ভাঙ্গা মেনে নিতে কষ্ট হওয়ারই কথা মুসলিমদের।
কি করবে জামায়াত।
১। জামায়াত বরাবরই মধ্যমপন্থা অবলম্বনকারী দল। নিরপরাধ নেতৃবৃন্দের জীবন দানের মাধ্যমে যদি ইসলামী রাজনীতির জন্যে কল্যানমুলক কোন অর্জন জামায়াতের থাকে তবে নেতৃবৃন্দের জীবনকে জামায়াত কখনোই বড় করে দেখবে না। কারন জামায়াতের নেতৃবৃন্দতো আল্লাহর কাছে জীবন সপে দিয়েই জামায়াতে এসেছেন। এইক্ষেত্রে বিএনপির সাথে শরীক হিসেবে জোটের বন্টন একটী বড় ফ্যাক্টর। কারন গত সাড়ে চার বছরে আওয়ামীলীগের দুঃশাসন ও বেপরোয়া মনোভাবের বিপরীতে জামায়াতই তাদেরকে সামাল দিয়েছে, বিএনপি নয়। তাই বিএনপির এখনকার সাফল্য মুলত জামায়াতের ত্যাগ ও সমর্থনের ফসল। বিএনপি এটিকে মুল্যায়ন করবে নাকি কুটরাজনীতির মারপ্যাচ ঘুরাবে তার উপর নির্ভর করছে জামায়াতের নেতৃবৃন্দের জীবনের বিনিময়ে ইসলামী রাজনৈতিক কল্যান লাভের জন্যে জামায়াত বিএনপির সাথে থাকবে কিনা।
২। অন্যদিকে, যদি নেতৃবৃন্দের জীবন দানের পর বিএনপির গোড়ামি, অনধিকার চর্চা ও খাই খাই স্বভাবের জন্যে জোটের অংশীদারিত্বের সঠিক বন্টন না হয় তাহলে নেতৃবৃন্দের এই জীবন দানকে আল্লাহর রাস্তায় ত্যাগ না বলে বরং বোকামী বলাটাই ভাল হবে। জামায়াতের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আগের ইতিহাসে বোঝা যায় যে জামায়াত বোকার দল নয়। জামায়াতের এখনকার যে জন সমর্থন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সাধারন মানুষদের সাথে মিশে থাকার যোগ্যতা তাতে বিএনপির সাথে জোট ভেঙ্গে দিলেই বরং জামায়াত একটি বড় দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এমনকি ৫০-৭০টি আসনে বিজয়ও ছিনিয়ে আনতে পারে, সম্ভাব্য পরিসংখ্যান চিন্তা করলে, এমনকি বিএনপিও যদি নির্বাচনে আসে তারপরও। আর বিএনপি নির্বাচনে না আসলে জামায়াত ১০০ বেশী আসন পেতে পারে বলে আমার ধারনা। এই ক্ষেত্রে একটিই কেবল নেগেটিভ পয়েন্ট, আর তা হল আওয়ামীলিগের আবার ক্ষমতা আসা। এই পয়েন্টটি কিছু ছোট ব্যাপার নয়।
সুতরাং জামায়াতের সামনে একটি বড় পরীক্ষা। তারা কোনটি গ্রহন করবে তা সত্যিই বুঝা কঠিন। পাশাপাশি, আল্লাহর ইচ্ছায় আওয়ামীলীগের যে ভরাডুবি শুরু হয়েছে তাতে এমনিতেও বিচার বিভাগের কোন একজন বিচারক যদি বিবেকের তাড়নায় সত্য প্রকাশে আগ্রহী হয় আল্লাহর রহমতে, তাহলেও আওয়ামীলীগের যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটবে। তখন জামায়াত আরো সহজভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে ইনশা আল্লাহ।
---------------------------
তামীম ইকবালের বিয়েতে মাওলানা নিজামীর উপস্থিতি নিয়ে একটি স্বপ্নচিত্র আকা হয়েছে এই পোষ্টটিতেঃ তামিমের বিয়েতে সপরিবারে মাওলানা নিজামীঃ কেসস্টাডি
ইসলামে গোড়ামীর কোন স্থান নেই। তাই গোড়ামীর জাল ছিন্ন করে সঠিক চিন্তায় ইসলামের সৌন্দর্যকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা দেখুন এই পোষ্টেঃ গোঁড়াদের ঘোড়সওয়ারী ও তীরন্দাজীর ইসলাম বনাম বুঝদারদের ক্রিকেট-ফুটবল সমেত ইসলাম
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান নিয়ে অনেকের প্রশ্নের অন্ত নেই। শিয়া-সুন্নীর বিভেদ কেবল নয়, বরং কাফির-মুসলিমের বিভেদে গিয়েও আলোচনা শেষ হয় না। ইরান নিয়ে কিছু চিন্তাকর্ষক কথা পড়ুন এক নিঃশ্বাসেঃ ইসলামী ঐক্যের ভিত্তিঃ ইরান প্রসঙ্গে আলোচনা
ইসলামের সঠিক বুঝ পাওয়ার ক্ষেত্রে এই পোষ্টটিতে কিছু চিন্তাকর্ষক পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছেঃ ইসলামের যুগ বা জাতিবদ্ধতার বিশ্লেষনঃ ইসলাম কি আরবীয়, মধ্যযুগীয় বা প্রাচীন যুগীয়
আমার ফেসবুকঃ Mohamad Ahsanul Haque Arif
বিষয়: বিবিধ
২৩৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন