চাঁদে আল্লামা সাঈদীকে দেখা: একটি পর্যালোচনা-২

লিখেছেন লিখেছেন আলোকিত প্রজন্ম ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৩৮:২৫ সকাল

পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ দুজন মহাপূরুষ ও আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্ত:

তারা দুজন পৃথিবীর দুই প্রান্তের। একজন হচ্ছেন আফ্রিকা মহাদেশের সাইয়েদ কুতুব আরেকজন হচ্ছেন এশিয়া মহাদেশের মাওলানা মওদূদী।

সাইয়েদ কুতুব শহীদ:

আল্লাহ তাআলা তাকে অনেক কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছেন। তার পরীক্ষা ছিল একটি বই লিখে মুসলিম জাতিকে পথ দেখানোর অপরাধে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলা। তবে সেটি তার নিজের জন্য ছিলনা বরং পুরো মিশরের মুসলমানদের পরীক্ষার জন্যই আল্লাহ তাআলা তা করেছেন। তার পরীক্ষা মানেই ছিল মিশরীয় মুসলিমরাসহ মুসলিম বিশ্বের পরীক্ষা। তবে তার ঈমান সর্বাপেক্ষা মজবুত, তিনি আল্লাহর বেশী প্রিয় এবং তিনিই এই কঠিন পরীক্ষায় টিকে থাকতে পারবেন বিধায় আল্লাহ তাআলা তাকে এই পরীক্ষার পাত্র হিসেবে বাচাই করেছেন।

আল্লাহর সিদ্ধান্ত: জীবন মৃত্যু আল্লাহর ইচ্ছাধীন এবং ভাল মানুষকেই আল্লাহ দ্রুত কাছে পেতে চান বিধায় এবং এই কঠিন পরীক্ষাই আল্লাহর বিবেচনায় সাইয়েদ কুতুবের জন্য আখিরাতের শ্রেষ্ট মর্যাদার আসীনে সমাসীন হওয়ার একমাত্র সোপান ছিল বিধায় আল্লাহ তাআলা ফাঁসির মাধ্যমেই তার জীবনের ইতি টানেন এবং এর মধ্যেই দুনিয়াবাসীর জন্য আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের জীবনে ত্যাগের সর্বোচ্চ নমুনা স্থাপন করেছেন। ফাঁসির রীতি অনুসারে কালেমা পড়াতে এক ব্যক্তিকে যখন তার নিকট পাঠানো হল তিনি তখন সগৌরবে তার তালকিনকে প্রত্যাখান করলেন আর দৃঢ় কন্ঠে বললেন, যে কালিমার ব্যাখ্যা লিখার কারণে আমার ফাঁসির হুকুম হলো সেই কালিমা তুমি কি করে আমাকে পাঠ করাবে? আমি কালিমার যে অর্থ জানি সেটিতো তুমি জাননা। এভাবে নিজের কালিমার জপনা নিয়ে তিনি ফাঁসির কাষ্ঠের ঝুলে আল্লাহর কাছে চলে গেলেন। এটিই আল্লাহর সিদ্ধান্ত। আর এভাবেই তিনি তার পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। মিশরের মুসলিমরাও তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তারা এমন বড় স্কলার এবং নেতা হারিয়েও তাদের মনোবল হারায়নি। সেই পথে অটল থেকে সম্মুখপানে এগিয়ে গিয়েছে। তারই সুফল এখন মিশরবাসী দেখছে।

মাওলানা মওদূদী:

তাঁর জন্যও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একই পরীক্ষা ছিল। যা ছিল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলা। ভারতীয় মুসলিমদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টার মাধ্যমেও তারা যখন তাকে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে বাচাতে পারছেনা ঠিক সেই মহুর্তেই সারা দুনিয়ার মুসলিম দেশ ও নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে জোর দাবী ও কূটনৈতিক চাপের ব্যবস্থা করণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাকে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে ফিরিয়ে আনেন। কারণ তার মৃত্যু ফাঁসির মাধ্যমে হোক এটি আল্লার সিদ্ধান্ত ছিলনা। আল্লাহর সিদ্ধান্ত যা তাই বাস্তবায়িত হবে। দুনিয়ার কোটি মানুষ এবং পরাশক্তি তাদের সর্বশক্তি ব্যয় করেও এর ব্যতিক্রম কিছু করতে পারবেনা। এটি ছিল আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মাওলানা মওদূদীর কারামত এবং এটি ফিজিক্যাল কারামত। কারন এর মাধ্যমেই সারা দুনিয়ার কাছে মাওলানা মওদূদীর অবদান প্রচারিত হয় এবং তার সারা দুনিয়ার মানুষেরা তার দিকে সম্মানের দৃষ্টি ফিরায়। তাকে ফাঁসি থেকে রক্ষা করবেন এটিই ছিল আল্লাহর সিদ্ধান্ত। আল্লাহ ইচ্ছা করলে অলৌকিক পদ্ধতিতে তাঁকে সেখান থেকে বাঁচাতে পারতেন কিন্তু তিনি এমন করেননি। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহ যার ঈমান পরীক্ষা করতে চাচ্ছেন তার ঈমান দৃড় হতনা। তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেয়ার মাধ্যমে যেই মুসলিম জাতিকে পরীক্ষা করা আল্লাহর উদ্দেশ্য সেটিও বাস্তবায়িত হতনা। কারণ তারা তখন তাদের সর্বাত্নক প্রচেষ্ঠা ও চালাতেনা বরং আল্লাহর সাথে মাওলানার ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং তার তাকওয়ার উপরেই তারা নির্ভর করত।

মাওলানার শেষ বক্তব্য: ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে যখন খুব সাধারণ একটি কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়েছিল তখন তিনি সেটিকে গ্রহণ করে তার মাথানত করেননি। তাঁকে বলা হয়েছিল যে, তিনি যদি একবার সত্যের পক্ষে তার অবস্থানকে অপরাধ বলে স্বীকার করেন তাহলে তাঁকে মৃত্যুদন্ড থেকে মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু সেটিকে তিনি প্রত্যাখান করে বলেছিলেন, মাওত কি ফয়সালা আসমা মে হোতি হায় যমীন মে নেহি” অর্থাৎ মৃত্যুর সিদ্ধান্ত আকাশের উপরে হয় যমীনে নয়। আল্লাহ তাআলাই মৃত্যুর সিদ্ধান্তকারী। এর মাধ্যমেই তাঁর ঈমান ও আল্লাহর পথে অবিচল থাকার প্রমাণ হয়েছিল। মাওলানা যে মৃত্যুর সিদ্ধান্তকারী মহান আল্লাহর উপর দৃঢ় বিশ্বাস রাখেন এতে তারই প্রমান মিলেছে। কিন্তু তিনি যদি ক্ষমা চাইতেন তাহলে ঈমানের পরীক্ষায় তিনি পরিপূর্ণভাবে উত্তীর্ণ হতেননা। বিশ্ব মুসলিমরাও তাঁদের দায়িত্ব পালন করা সুযোগ পেতো না। আল্লাহর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত এমনই।

আল্লামা সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার প্রসঙ্গ:

আল্লামা সাঈদীকে মানুষেরা আল্লাহর একজন প্রিয় বান্দা হিসেবে মনে করেন বিধায় তাঁকে চাঁদে দেখা প্রসঙ্গে অনেকেই দোদল্যমান। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে এমন একজন ভাল মানুষই মনে করি এবং তাঁকে আল্লাহর জন্য ভালবাসি। আল্লাহর কাছে সদা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাঁকে কবুল করেন, সম্মানিত করেন এবং আল্লাহর দীনের কাজে তাঁকে আরো ব্যবহার করে আমাদেরকে উপকৃত করেন। কিন্তু তার তাকওয়ার দোহাই দিয়ে যাতে কোন ব্যক্তি কিংবা মহল কোন আচানক খবর রটিয়ে মুসলিমদেরকে প্রতারিত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকা জরুরী। ইমানদারদের একটি গুণ হচ্ছে তারা অপশক্তির ষড়যন্ত্রের ব্যপারে খুবই সচেতন। তবে এক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলোর আলোকে বিষয়টিকে বিবেচনা করলে সঠিক মতামতে উপনীত হওয়া সম্ভব হবে।

এক: আল্লামা সাঈদী ব্যপারে ইতিপূর্বেও একটি কথা শুনা গিয়েছে। সেটি হচ্ছে একসাথে দুজন সাঈদীকে দেখা যায় কিংবা আরো কিছু।

দুই: আল্লামা সাঈদীর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বাংলাদেশের সকল মুসলিমদের এবং গোটা মুসলিম বিশ্বেরও পরীক্ষা নিচ্ছেন। তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যান্য ইসলামিক মুভমেন্ট এবং সকল মতের আলেম সমাজও পরীক্ষায় আছে। কাজেই সকল মুসলিম এখন পরীক্ষার ময়দানে।

তিন: সাঈদীকে আল্লাহ তাআলা পরীক্ষার পাত্র হিসেবে পছন্দ ও বাচাই করেছেন এজন্য যে তিনি আমাদের সুধারনা অনুযায়ী আমাদের মাঝে আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় বান্দা। (কুরআনের কত খেদমত তিনি করেছেন, কত অমুসলিম তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছে, অত্যাচারী শাসকের সামনে শুধু নয় বরং গোটা জালিম শক্তির সামনে সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি হকের আওয়াজ তুলেছেন...)

চার: পরীক্ষার ময়দানে সকল মুসলিমদের বর্তমানে অলৌকিক কিছু ঘটানো আল্লাহর সুন্নাতের পরিপন্থী।

পাঁচ: এখনও বাংদেশের সকল ইসলামী মুভমেন্ট মাঠে অপশক্তির প্রতিবাদে ১০০% মাঠে নামেনি। এখনও দেশের সকল আলেমরা অপশক্তির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়নি। এখনও দেশের সকল মুসলিম অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। এখনও সাধারণ মুসলিমরা পরীক্ষায় আছে বলে অনুভব করেনি বরং অনেক ইসলামী দল, অনেক আলেম এবং অনেক মুসলিম অপশক্তির পক্ষে নিয়ে চুপ হয়ে বসে আছেন। এখনও কারা ইসলামকে ভালবাসে আর কারা ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিকে ভালবাসে তা পরিষ্কার হয়ে উঠেনি। এখন মুসলিমরা ইসলাম বিরোধী শক্তিকে চিনে উঠতে পারেনি। এখনো দুনিয়ার বিভিন্ন ইসলামী শক্তির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্যাতিত মুসলিমদের সহযোগিতায় জোর দাবি আসেনি। যখন সবাই মাঠে নেমে আসবে অপশক্তির মোকাবেলায় এবং যখন সবাই মিথ্যার মোকাবেলায় অক্ষম হয়ে পড়বে ঠিক তখনি অলৌকিক সাহায্যের বিষয়টা যৌক্তিক হবে। অথচ গোটা মুসলিম জাতি এখনও এমন অক্ষম ও অসহায় হয়নি বরং তারা একতাবদ্ধ হলেই বাতিল লেজ গুটিয়ে যেতে বাধ্য। সুতরাং এখন সময় হচ্ছে মুসলিমদের সমবেত হয়ে বাতিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার। আর তাই এই মহুর্তে অলৌকিক ঘটনার অবতারণা অযৌক্তিক এবং আল্লাহর সুন্নাতের বিপরীত। বরং এই ধরনের মানসিকতার মাধ্যমে মুসলিমরা তাদের প্রকৃত ইমানী জযবা হারিয়ে ফেলবে। ময়দানে টিকে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেনা।

ছয়: আল্লামা সাঈদী সাইয়েদ কুতুব শহীদ আর মাওলানা মওদূদীর মত একই দোষে দোষী। আর তাই একই পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত।

সাত: যার কারামত সেই সর্বপ্রথম জানতে পারেন যে আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করেছেন। কিন্তু এই দুটি কারামতের কোনটিও আল্লামা সাঈদী জানেন কিনা আমার সন্দেহ আছে।

আট: যারা দেখেছেন বলে দাবী তুলেছেন তারা কারা। তারা সাঈদী সাহেবের কতটুকু ভক্ত সেটা দেখার বিষয়না বরং তারা ইসলাম কতটুকু মেনে চলেন সেটি প্রশ্নবিদ্ধ। তারা কি সাঈদীর মত ইসলামকে জীবন সংবিধান হিসেবে বিশ্বাস করেন? তারা ব্যক্তিগত জীবনে কতটুকু সত্যবাদী? তাদের কথা কি সত্য বলে মেনে নেয়া যায়? তারা কি দুনিয়াবী লোভে মোহিত না হয়ে সত্যের উপরে টিকে থাকতে যোগ্যতা রাখে? সুতরাং এটি পরিকল্পিত একটি গুজব ছাড়া আমার মতে আর কিছুই নয়।

এই সংবাদের মাধ্যমে যা কিছু করা সম্ভব:

১। আল্লামা সাঈদীকে জামাত থেকে আলাদা করার ষড়যন্ত্র। আল্লামা সাঈদীকে কারামতের কথা বলে একা নিজে আলাদা দল গঠন করে ইসলামের সেবা করা প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল ইতিপূর্বে। তারা মনে করে এতেই জামাতকে দূর্বল করা যেতে পারে। আজকের দুনিয়ায় এটি এমন এক পরীক্ষা যাতে লাখো আলেমের মধ্যে একজনও প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচা কঠিন। কারামতে ভুষিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা কারা না আছে। কিন্তু তিনি তাতে প্রতারিত হননি। আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।

২। তার মনে কারামতের অহংকার অনুপ্রবেশের করানোর মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্যতার পথ খুলে দেয়া। আর অহংকারী কখনও আল্লাহর প্রিয় হতে পারেননা এবং এমন পরীক্ষার পাত্র হতে পারেনা। কারণ এটি হচ্ছে নবী রাসূলদের যারা সঠিক উত্তরাধিকারী তাদের পরীক্ষা।

৩। আল্লামা সাঈদীকে ফাঁসির আদেশের পর ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেয়ার পথকে উম্মোচন করা। তিনি কখনও ক্ষমা চাইবেননা। তিনি তো সেই ব্যক্তি শাহাদাত যার চিরকাম্য। কারণ তিনি সেই সাইয়েদ কুতুব শহীদ আর মাওলানা মওদূদীর পথের যাত্রী। যদিও জালিম সম্প্রদায় তা বুঝতে পারেনা।

একজন সচেতন মুসলিমের করণীয়:

১। প্রথমেই এ ব্যপারটিকে সত্য মিথ্যা কিছুই না বলে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকা। কারণ যাদের থেকে শুনা গেছে তারা প্রতারিত, লোভী এবং ষড়যন্ত্রকারীদের হাতিয়ার হতে পারেন।

২। যদি ষড়যন্ত্রকে পুরোপুরি অনুধাবন করতে সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন হয় তাহলে উপরের প্রশ্নগুলোর আলোকে যাচাই করা যেতে পারে। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “হে মুমিনেরা! তোমাদের নিকট ফাসিকরা কোন সংবাদ নিয়ে এলে এটিকে যাচাই করে দেখ”। অবশ্য কুরআনে ফাসিকদের সংবাদের কথা বলা হলেও যে কোন উৎস থেকে সংবাদ আসলেই সেটিকে যাচাই করে দেখা উচিত। কারণ তখনকার মুমিনরা হচ্ছে আল্লাহর নবীর সাহাবী। তাদের কেউ ঈমান আনার পর একটি মিথ্যাও বলেননি। কিন্তু এখনকার মুমিনরা কি সাহাবাদের মত? বরং জীবনে মিথ্যা বলেনি এমন মুমিন খুজে পাওয়া যাওয়া দুষ্কর। তাই বর্তমান দুনিয়ার মুসলিমদের কেউ কোন সংবাদ নিয়ে আসলে এটাকেও যাচাই করে দেখা এই আয়াতের দাবী। অধিকন্তু, এই সংবাদের প্রচারকদেরকে উপরের প্রশ্নগুলোর আলোকে বিচার করে দেখলে তাদের সংবাদকে যাচাই করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। তবে সেটি প্রয়োজনীয় সংবাদের ক্ষেত্রে। কিন্তু এমন সংবাদের যাচাই করে মুমিনদের সময় নষ্ট করার কোন প্রয়োজন আমি মনে করিনা।

৩। আল্লামা সাঈদীর জন্য দোয়া করা যাতে আল্লাহ তাআলা তাকে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও প্রতারণা থেকে রক্ষা করেন এবং আল্লাহর নির্ধারিত পরীক্ষায় তাকে উত্তীর্ণ করেন। সকল মুমিনের ঈমানের মানকে যাতে আল্লাহ আরো বৃদ্ধি করেন এবং তাঁকে বাচাই করার মাধ্যমে যাতে বাংলাদেশের সকল মুসলিমদেরকে ইমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেন। বাংলাদেশের আগামী দিনগুলো যাতে ইসলামের জন্য হয়। আমীন।।

দ্রষ্টব্য: প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এই লিখাটি আমার স্বল্প জ্ঞানের আলোকে একান্ত আমারই বিশ্লেষণ। এ ক্ষেত্রে আপনারা আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন। তবে সময়ের ক্রান্তিলগ্নে দোদল্যমান মুসলিমদের সচেতন করাই এই লিখার উদ্দেশ্য।

প্রথম পর্ব পড়তে Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৭৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File