পরীক্ষাটা কার: জামাত/ হেফাযত/ আলিম সমাজ/ তাওহীদি জনতা, মুসলিম উম্মাহর?

লিখেছেন লিখেছেন আলোকিত প্রজন্ম ০৭ মে, ২০১৩, ০৭:৪৫:২৩ সকাল

একটি লিখা গত ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে সাঈদী প্রসঙ্গে লিখেছিলাম। সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিখা আমি বিশ্লেষণ করেছিলাম যার ১০০% বাস্তবতা এখন দেখতে পাচ্ছি। তাই সরকারের জঙ্গিবাহিনী কতৃক আলিম সমাজের বিশেষতঃ হেফাযতের নেতা কর্মীর উপর চালানো ৬ মে’ এর গণহত্যা এবং ভবিষ্যৎ আরো এমন কিছু হলে তাঁকে অনুধাবন করতে আজকের এই পোস্টটি। বাংলাদেশের মুসলিমদের পরীক্ষা শুরু হয়েছে এদেশের স্বাধীনতার ধজ্জাধারী মুক্তিযুদ্ধা কাদের মোল্লা এবং ভারতীয় ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদী আল্লামা সাঈদীর রায়ের মাধ্যমে। কিন্তু বাংলাদেশের আলিম সমাজ এবং মুসলিম তাওহীদী জনতা বুঝেনি। তারা মনে করেছে এরাতো অমুক ফেরকা। যেভাবেই তারা ক্ষতিগ্রস্থ হলেই আমাদের লাভ। আর এখন কি ঘটছে? যারা নিজেদেরকে সবচেয়ে বেশী হক ও সহীহ মনে করে আবার ইসলাম রক্ষার জন্য জীবন দিতে এসেছে তাদেরকে আরো জঘন্য অপবাদ দেয়া হচ্ছে। তারা নাকি ইসলামের নামে নাশকতা চালায়, তারা জামাতকে হেফাযত করছে, তারা কুরআন পুড়িয়েছে ইত্যাদি।

মূলতঃ আল্লামা সাইদী তিনি একা পরীক্ষার ময়দানে নয় বরং আল্লামা সাঈদীর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা প্রথমে জামাতের কর্মীদের পরীক্ষা নিচ্ছেন। এরপর বাংলাদেশের অন্যান্য ইসলামিক মুভমেন্টের পরীক্ষা নিচ্ছেন। এরপর বাংলাদেশের সকল দল ও মতের আলেম সমাজের পরীক্ষা নিচ্ছেন। সাথে সাথে এদেশের ইসলাম প্রিয় সকল তাওহীদী জনতার পরীক্ষা নিচ্ছেন। এরপর পাশের আশে পাশের মুসলিম রাষ্ট্র এবং গোটা বিশ্বের সকল ইসলামী মুভমেন্ট এবং মুসলিম দেশের পরীক্ষা নিচ্ছেন। কাজেই সকল মুসলিম এখন পরীক্ষার ময়দানে। আর পরীক্ষাটি হচ্ছে জালিম সরকার এমন একজন কুরআনের খাদেম এত বড় বড় মিথ্যা অপবাদ ও মামলা দিয়ে আল্লামা সাঈদীকে জিলে নিল এবং অবৈধ আদালতের মাধ্যমে ফাঁসির রায় দিয়ে দিল। এরপর বাংলার মুসলিমরা সজাগ হয়নি এবং মজলুমকে আলিমকে মুক্তির দাবী তুলেনি, জালিম সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়নি। তবে সাঈদীকে আল্লাহ তাআলা পরীক্ষার পাত্র হিসেবে পছন্দ ও বাচাই করেছেন এজন্য যে তিনি আমাদের সুধারনা অনুযায়ী আমাদের মাঝে আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় বান্দা। কুরআনের অনেক খেদমত তিনি করেছেন, অনেক অমুসলিম তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছে, অত্যাচারী শাসকের সামনে শুধু নয় বরং গোটা জালিম শক্তির সামনে সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি হকের আওয়াজ তুলেছেন।

কেউ কেউ ধারনা করতে পারেন এই মহুর্তেই আল্লাহ্‌ গায়েবী সাহায্য দিয়েই সব শেষ না করলে কিছু করার নেই। আওয়ামীলীগ বেশি অত্যাচার করলে আল্লাহ্‌ অবশ্যই গায়েবী সাহায্য পাঠাবনে। কিন্তু পরীক্ষার ময়দানে সকল মুসলিমদের বর্তমানে অলৌকিক কিছু ঘটানো আল্লাহর সুন্নাতের পরিপন্থী। কারণ:

এক: নবী রাসূলদের থেকে শুরু করে অদ্যবধি যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাদের অনেক ভাবে পরীক্ষা করেছেন এবং পরীক্ষার শেষ মহুর্তে অলৌকিকভাবে সাহায্য করেছেন। এই ক্ষেত্রে যে কারণে আল্লাহ তাআলা সরাসরি ফেরেস্তা কিংবা সৃষ্টিজগত থেকে তাঁর অন্যান্য সৈন্যের মাধ্যমে সাহায্য করিয়েছেন সেটি হচ্ছে, সে সকল পরিস্থিতিতে আল্লাহর দ্বীনকে রক্ষা করা মত নবী-বাসূলসহ হাতে গোনা গুটি কয়েকজন (যেমন নূহ আঃ ৯৫০ বছর দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে মাত্র অল্প কয়েকজন মানুষ পেয়েছেন যারা ঈমান এনেছে।) মানুষ ছাড়া আর কেউ ছিলনা এবং তারা সকলে তাদের যথা সর্বস্ব নিয়ে আল্লাহর দ্বীনের জন্য কুরবানী করতে প্রস্তুত ছিল। আল্লাহ তাআলা যখন দেখলেন তাদেরকে সহযোগিতা করার আর কেউ নেই কিংবা সর্বসাকুল্যে তাদের যে প্রস্তুতি তা দিয়ে দুনিয়ার বিচারে শত্রুদের মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট নয় ঠিক তখনি আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সাহয্য করেছেন। তাদের নির্যাতন যখন আকস্মিক ছিল, একাকী ছিল, এবং ঈমান ও কুফরের সত্যতার বিষয় ছিল তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আকস্মিক ও অলৌকিক সাহায্যে তাদেরকে রক্ষা করেছেন এবং আল্লাহর অস্তিত্ব, সাহায্য ও শক্তিকে প্রমাণ করেছেন। যেমনটি ঘটেছিল নূহ আঃ এর কিস্তি রক্ষা, ইব্রাহীম আঃ এর অগ্নিশীতল, বায়তুল মাকদাসের দৃশ্যাপট রাসূল সাঃ এর সম্মুখে ভেসে আসা, ইয়ামেনী বাদশাহ আবরাহ এর আক্রমণ থেকে আবাবিল পাখির মাধ্যমে কাবা রক্ষা সহ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ব্যক্তি সত্ত্বার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন অলৌকিকতা। এগুলোকে আমরা নবী রাসূলদের মুজিজা হিসেবে জানি। আর নবী রাসূল ছাড়া আল্লাহর অন্য প্রিয় বান্দাদের ক্ষেত্রে অলৌকিকতাকে আমরা কারামত হিসেবে জানি।

দুই: অপর দিকে দুনিয়াতে যখন অনেক সংখ্যক মুমিন থাকে এবং তারা পৃথিবীতে সত্য প্রতিষ্ঠার কাজের এগিয়ে আসেনা, সত্যকে সমর্থন করেনা এবং তাদের এই অনীহার কারনে অপশক্তি দুনিয়াতে ক্ষমতার আসন দখল করে সত্যপন্থীসহ সকল মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন চালায় তখনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুমিনদেরকে সামষ্টিকভাবে পরীক্ষা করাকে আরো তীব্র করে তোলেন। এ ক্ষেত্রে যতক্ষন পর্যন্ত সত্য মিথ্যার পরিষ্কার পার্থক্য সূচিত না হবে, যারা শুধু নামেই মুমিন তারা তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্পর্ক এবং সমর্থনকে পরিষ্কার না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলার পরীক্ষা অব্যাহত থাকে। আর যখন প্রকৃত মুমিন এবং প্রকৃত মুনাফিকের পরিষ্কার পার্থক্য সূচিত প্রকৃত মুমিনরা সমবেতভাবে তাদের যথা সর্বস্ব নিয়ে মিথ্যার মোকাবিলায় ঝাপিয়ে পড়ে এবং কিন্তু তাদের প্রস্তুতি সীমিত ঠিক তখন আল্লাহ তাআলা অপশক্তির মনে মুমিনদের ব্যপারে ভীতির সঞ্চার করে দেন। আর মুমিনদেরকে আধ্যাত্নিক সাহায্য দিয়ে ময়দানে টিকিয়ে রাখেন এবং বিজয় দান করেন। আর যখন তারা তাদের সবাই যথা সর্বস্ব নিয়ে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়ে কিন্তু তাদের এই প্রস্তুতি দুনিয়ার বিচারে অপশক্তির মোকাবেলায় যথেষ্ট নয় ঠিক তখনি আল্লাহ তাআলা মুমিনদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য তাদেরকে আসমানী ফিরিস্তা কিংবা তার সৃষ্টিরাজির অন্যান্য বাহিনীকে সৈন্য হিসেবে পাঠান। যেমনটি ঘটেছিল বদরের প্রান্তর সহ অন্যান্য কিছু যুদ্ধে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের চুড়ান্ত পরীক্ষার পর তাদেরকে বিজয় দানের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার ফিরিস্তাকে সৈন্য বাহিনী করে পাঠিয়েছেন।

তিন: আল্লাহ তাআলা কাউকে পরীক্ষায় ফেলে এই পরীক্ষায় অলৌকিক কিছু দিয়ে তাঁকে সহযোগিতা করেননা। এটি আল্লাহ তাআলার রীতি। যেমনি ভাবে কোন অভিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান শিক্ষক কঠিন প্রশ্ন করলেও পরীক্ষার হলে তার প্রিয় ছাত্রকে সহযোগিতা করেননা। কারণ সহযোগিতা করার মাধ্যমে পরীক্ষার উদ্দেশ্যই ব্যহত হবে। বরং কঠিন পরীক্ষায় সঠিক জবাব দিলে তাকে সর্বোচ্চ নাম্বার দিয়ে থাকেন। আরো একটি সুন্দর উদাহরণ হচ্ছে, কোন সেনা অফিসার তার অধীনস্থ সেনাদের মানোন্নয়ন করার জন্য বিভিন্ন কঠিন ট্রেনিং করিয়ে থাকেন এবং দূর্লভ অভিযানে পাঠান। তিনি সরাসরি সহযোগী হয়ে সহযোগিতা করেননা। বরং তার সহযোগিতা হচ্ছে শুরুতেই সব নিয়ম কানুন ও পরামর্শ দিয়ে দেয়া। এসব অনুসরণ করেই পরীক্ষার্থী সেনা তার অভিযানে বের হবে। এই অভিযানে সফল হলেই তার পদোন্নতি হয়ে থাকে। এটি হচ্ছে দুনিয়ার নীতি। অনুরুপভাবে এই বিশ্বজগতের পরিচালনায় আল্লাহ তাআলারও কিছু সাধারণ রীতি আছে যেগুলোকে সুন্নাতুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর সুন্নাত বা আল্লাহর রীতি বলা হয়। তবে আল্লাহ তাআলা যেহেতু সর্বোপরি বান্দার কল্যাণই চান তাই এমন পরীক্ষায় বান্দাকে ফেল না করিয়ে বরং পাশ করিয়ে দেন। কিন্তু সেটি হয়ে থাকে নিদিষ্ট একটি সময়ের পর, অলৌকিকভাবে নয়। বরং এমন পরীক্ষায় তাঁর সাহায্য হচ্ছে তিনি বান্দাকে অনেক মনোবল, সৎ সাহস এবং বীরত্ব দান করেন। আল্লাহর প্রতি তার ঈমান, ভরসা বৃদ্ধি করেন। আল্লাহর তালার এমন সুন্নাতগুলোর কিছু কিছু ইঙ্গিত কুরআন-হাদীসের বিভিন্ন ভাষ্যে পাওয়া যায়। আর কিছু কিছু রীতি রাসূলের সিরাত, সাহাবাদের জীবনী এবং ইতিহাসের বিভিন্ন যুগ পর্যালোচনা করলে অনুধাবন করা যায়। এক্ষেত্রে বিশিষ্ট শরীয়া স্কলার আব্দুল করিম যায়দান এর ‘সুনানুল্লাহিল ইলাহিয়্যাহ’ বা আল্লাহর রীতি নামে একটি বই রয়েছে। পাঠকের জ্ঞাতার্থেই উল্লেখ করলাম।

চার: এখনও বাংদেশের সকল ইসলামী মুভমেন্ট মাঠে অপশক্তির প্রতিবাদে ১০০% মাঠে নামেনি। এখনও দেশের সকল আলেমরা অপশক্তির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়নি। এখনও দেশের সকল মুসলিম অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি। এখনও সাধারণ মুসলিমরা পরীক্ষায় আছে বলে অনুভব করেনি বরং অনেক ইসলামী দল, অনেক আলেম এবং অনেক মুসলিম অপশক্তির পক্ষে নিয়ে চুপ হয়ে বসে আছেন। এখনও কারা ইসলামকে ভালবাসে আর কারা ইসলাম বিদ্বেষী শক্তিকে ভালবাসে তা পরিষ্কার হয়ে উঠেনি। এখন মুসলিমরা ইসলাম বিরোধী শক্তিকে চিনে উঠতে পারেনি। এখনো দুনিয়ার বিভিন্ন ইসলামী শক্তির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্যাতিত মুসলিমদের সহযোগিতায় জোর দাবি আসেনি। যখন সবাই মাঠে নেমে আসবে অপশক্তির মোকাবেলায় এবং যখন সবাই মিথ্যার মোকাবেলায় অক্ষম হয়ে পড়বে ঠিক তখনি অলৌকিক সাহায্যের বিষয়টা যৌক্তিক হবে। অথচ গোটা মুসলিম জাতি এখনও এমন অক্ষম ও অসহায় হয়নি বরং তারা একতাবদ্ধ হলেই বাতিল লেজ গুটিয়ে যেতে বাধ্য। সুতরাং এখন সময় হচ্ছে মুসলিমদের সমবেত হয়ে বাতিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার। আর তাই এই মহুর্তে অলৌকিক ঘটনার অবতারণা অযৌক্তিক এবং আল্লাহর সুন্নাতের বিপরীত। বরং এই ধরনের মানসিকতার মাধ্যমে মুসলিমরা তাদের প্রকৃত ইমানী জযবা হারিয়ে ফেলবে। ময়দানে টিকে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেনা।

সুতরাং বাংলাদেশের আলিম সমাজের এখন উচিৎ তারা নিজেরা অজ্ঞতার ঘুম থেকে জেগে উঠবে এবং মাজলুমের পাশে দাঁড়িয়ে জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।

এই সময়ের করণীয়:

১। প্রথমেই জ্ঞানগত দিক থেকে নিজেদের মধ্যে আসলে কোন বড় পার্থক্য আছে কিনা খতিয়ে দেখা। কিছু মৃত মানুষদের (রহঃ) নিরুপিত পার্থক্য দিয়ে গোটা জীবিত উম্মাহর সমাধান হবেনা। তাই ভিন্নমত যদি ইসলাম থেকে বের করে এমন না হয় তাহলে এ ব্যপারে অন্যকে দূরে রাখা বোকামী আর নিজের পায়ে কুড়াল মারার সমান। সুতরাং ঘরে গিয়ে উম্মার কথা মাথায় রেখে মত পার্থ্যক্যের বিষয়ে একটু পড়াশুনা করুন।

২। মুসলিম ঐক্যই গুরুত্বপূর্ণ মত বিরোধ ছোট খাটো এজন্য আল্লাহ্‌ তাআলা জিজ্ঞেস করবেননা বরং ইজতিহাদের সওয়াব দিবেন এমন জ্ঞান সকল মুসলিমদের মাঝে প্রচার করা।

৩। নিজেরা অন্য ইসলামী দলের সাথে সংলাপে বসে মতবিরোধ ভুলে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে পরস্পরকে ভালবাসা, সম্মান এবং সহযোগিতা করতে শিখা এবং অনুসারীদের শিক্ষা দেয়া।

৪। যে কোন অন্যায় পরিলক্ষিত হলে সকল দলের নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এর প্রতিবাদ করা এবং প্রতিরোধ করা।

৫। আবেগকে প্রতিহত করে জ্ঞান, বুদ্ধি ও পরামর্শের আলোকে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা।

৬। কোন ধরণের প্রস্তুতি ছাড়া জালিমের মোকাবেলায় না যাওয়া।

৭। মিথ্যাবাদীদের কখনও বিশ্বাস না করা

৮। নির্যাতনের ইতিহাসকে সাময়িক স্বার্থে ভুলে না যাওয়া।

৯। জালিম সম্প্রদায়কে সামাজিকভাবে বয়কট করা এবং তাদের কোন ধরণের ধর্মীয় কাজে না যাওয়া।

১০। সমাজের মানুষের কাছে জালিমের কুকর্ম তুলে ধরা।

আল্লাহ্‌ আমাদের তাওফীক দিন। আমাদের মাঝে পারস্পরিক ভালবাসা জন্মিয়ে দিন। তাঁর দ্বীনের খেদমতে আমাদের ব্যবহার করুন। মাজলুমদের মুক্তি দিন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১৫৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File