বিএনপি ও আওয়ামী লীগ

লিখেছেন লিখেছেন জাহিনুর ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:৫১:৪১ দুপুর

প্রথমে বিএনপির মূল আদর্শে দেখা যায় যে তারা জাতীয়তাবাদী ইসলামের মূল্যবোধে বিশ্বাসী অপরদিকে আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ অর্থাৎ ধর্মের কোনকিছু (বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের) রাজনীতিতে নিয়ে আসার বিপক্ষে। এটাই এই দুই দলের মোটাদাগে মূল আদর্শ।

আচ্ছা এখন দেখা যাক কে তার আদর্শ কতটুকু পালন করতেছে এবং দলের প্রতি কতটা আনুগত্য প্রকাশ করতেছে।

প্রথমে আওয়ামিলীগের কথাই বলিঃ

বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের নেতাই দলে পদ-পদবী না পেয়ে দলের বিপক্ষে কথা বলেছেন এমন খুজে পাওয়া দুষ্কর দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।

দলত্যাগীঃ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, ডঃ কামাল হোসেন।

দলের মধ্যে অপদস্ত হওয়াঃ সাবেক রক্ষিবাহিনী প্রধান তোফায়েল আহমেদ, সাবেক পানি মন্ত্রী (বাংলাদেশের না ভারতের আল্লাহই ভাল জানে) মরহুম আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী (দুনিয়ার সব খামু) আমির হোসেন আমু, নুরে আলম সিদ্দিকি, মাহমুদুর রহমান মান্না, ট্রাম কার্ড খ্যাত আব্দুল জলিল সহ আরও অনেকে।

চাকুরীতে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রেঃ যত টাকাই দেন না কেন (চাকুরী হোক বা না হোক টাকা ফেরত পাবেন না গ্যারান্টী, ফেরত চাইতে গিয়ে দুই একজনের জীবনও চলে গেছে) যোগত্যা থাকা সত্বেও আওয়ামী লীগ করে না এমন কোন ব্যক্তি বা পরিবারের কাউকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় কোন দিনই চাকুরী নিয়ে দিতে পারবেন না। তবে ৫০,০০০ বা ১০০,০০০ একটা ব্যতিক্রম থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।

মানুষের চোখে সাধারনত খারাপ লাগেঃ মদ খাওয়া, ব্যাভিচার করা, ধর্ষন করা, অপহরন করে পনমুক্তি বাবদ নগদ নারায়ণ আদায় করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে কোন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করা, গাঁজা, হেরোইন, চরস, হুইসকি সহ নানারকম মাদক দ্রব্য গ্রহন করা, উদ্দাম বা অর্ধউলঙ্গ বা উলঙ্গ নাচ, গান করা বা আয়োজন করা বা আয়োজনে মদদ দেয়া সহ আরও অনেক অনাচার যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ এই সমস্ত কাজে আওয়ামী লীগ সাধারনত বেশী জড়িত, তবে এটাতে যদি কেউ তাদের দোষ দেয়, দিতে পারে আমি কিন্তু আমি তাদের সাথে মোটেই একমত না। তার কারন তারা তো খোলামেলা বলেই দিয়েছে যে, তারা ধর্মের কোনকিছু (বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের) রাজনীতিতে নিয়ে আসার বিপক্ষে। তো ধর্মে যদি উপরোল্লিখিত ও আরো অনেক অনুল্লিখিত অপরাধ তারা করতেই পারে যেহেতু ঐগুলো ধর্মে নিষিদ্ধ আর তারা তো প্রকাশ্যেই ধর্মের বিপক্ষে। আর ঠিক একই কারনে অনেক বড় বড় খুনিকেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছেন। (উল্লেখ্য যে, সব আওয়ামী লীগারই এই ধারার অন্তর্ভূক্ত নয়।)

এখন বিএনপির কথায় আসা যাকঃ

বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই বিএনপির কোন পর্যায়ের নেতাই দলে পদ-পদবী না পেয়ে দলের বিপক্ষে কথা বলেন নাই এমন খুজে পাওয়া দুষ্কর দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।

দলত্যাগীঃ সংখ্যা এত বেশী যে সব বলা সম্ভব না, তবে দুই একটা বলছি- সাবেক কমিউনিস্ট মরহুম আব্দুল মান্নান ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ, বি চৌধুরী, মেজর (অবঃ) মান্নান, ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা।

দলের মধ্যে অপদস্ত হওয়াঃ সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বি চৌধুরী (ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার কারনে)।

চাকুরীতে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রেঃ কিছু টাকা দিলেই যোগত্যা না থাকা সত্বেও বিএনপি করে না এমন কোন ব্যক্তি বা পরিবারের কাউকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চাকুরী নিয়ে দিতে পারবেন । শুধু জায়গা মত ক্লিক করলেই হলো। একটাও ব্যতিক্রম থাকার সম্ভাবনা নাই।

মানুষের চোখে সাধারনত খারাপ লাগেঃ মদ খাওয়া, ব্যাভিচার করা, ধর্ষন করা, অপহরন করে পনমুক্তি বাবদ নগদ নারায়ণ আদায় করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে কোন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করা, গাঁজা, হেরোইন, চরস, হুইসকি সহ নানারকম মাদক দ্রব্য গ্রহন করা, উদ্দাম বা অর্ধউলঙ্গ বা উলঙ্গ নাচ, গান করা বা আয়োজন করা বা আয়োজনে মদদ দেয়া সহ আরও অনেক অনাচার যা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ এই সমস্ত কাজে বিএনপির নেতাকর্মীরাও কম বেশী জড়িত, তবে এই ক্ষেত্রে আমার প্রচন্ড ক্ষোভ আছে। তার কারন তারা তো খোলামেলা বলেন নাই যে, তারা ধর্মের কোনকিছু (বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের) রাজনীতিতে নিয়ে আসার বিপক্ষে। তো ধর্মে যদি উপরোল্লিখিত ও আরো অনেক অনুল্লিখিত অপরাধ তারা করতেই চায় সেক্ষেত্রে তাদের মূল চেতনাই তো নড়বড়ে হয়ে গেল, ঐ যে ইসলামী মূল্যবোধ। আর ঠিক এই কারনেই তাদের অবস্থানটাকে আমার আবুল আবুল মনে হয়। আরে বাবা তোমরা যে কোন এক জায়গায় দাড়াও হয় ইসলামের পক্ষে অথবা বিপক্ষে। তাহলে আমরাও যে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারি এইটা বোঝ না।

বিষয়: রাজনীতি

৯৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File