যারা ভাষা আন্দোলনে শাহাদত বরণ করেছেন, তাদেরকে স্মরণ করেই কি দায়িত্ব শেষ???????
লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৮:৫০ দুপুর
যাদের আত্ম ত্যাগের বিনিময় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদেরকে আমরা ভুলবা না।
অনেক শহীদের পরিবার অনাহারে জীবন যাপন করছে, তাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর পদক্ষেপ নেই, যদিও থেকে থাকে তা যেন সিন্ধুর জায়গায় বিন্দু।
তাই আসুন, আমরা তাদের জন্য কিছুটা করি।
- তাদের ভুলব না, তা যেন শুধু কথার মাঝেই সীমাবদ্ধ না থাক।
- সকল মুসলিমকে যেন আল্লাহ ক্ষমা করে দেন, সে জন্য দোয়া করি।
- তাদের নামে সাদকায়ে জারিয়া করি। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।
- তাদের পরিবারের দুঃখ লাঘবের ব্যবস্থা করি।
- তাদের নাম নিয়ে যারা ব্যবসা করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করি ও তাদেরকে বয়কট করি।
- শহীদ পরিবারের নির্যাচিতদের পার্শে দাড়াই।
- তাদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনের দিকে অগ্রসর হই।
- তাদের আত্ম ত্যাগের উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করি।
- তাদের সন্তানদেরকে শ্রদ্ধা করি।
- তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্ম নিয়োগ করি।
- তাদের স্মরণ শুধু শহীদ দিবসেই সীমাদ্ধ না রাখি। বরং যখনই আল্লাহর নিকট দোয়া করব, তখনই যেন তাদের জন্য দোয়া করি।
- জাতি বিভক্তির জন্য যেন তাদেরকে ব্যবহার না করি।
আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩২৮ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যারা ভাষা আন্দোলনে শাহাদাত বরণ করেছেন, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তাদের স্ত্রী-সন্তানদেরকে সুখে রাখুন।
আর আমাদেরকে তাদের জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার তাওফীক দান করুন।
তাদের নিয়ে যারা রাজনীতি করে ফায়দা লুটে তাদের থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন এবং তাদের দলে যেন আমরা না যাই এ তাওফীক দান করুন। আমনী
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যেমন ভাষা শহীদ যাদের বলা হয় – তাদের জন্য যদি আমাদের এতো সম্মান থেকেই থাকে তবে এর জন্য কি করি আমরা?
একটা বেদীতে সবাই শ্রদ্ধার আবেগে উতপাদনশীল কর্ম-ত্যাগ করে যাই, বিভিন্ন যজ্ঞানুষ্ঠান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। এ নিয়ে বক্তব্য-সভা-সমাবেশ করে আরও সময় শ্রদ্ধার তোড়ে ভাসিয়ে দেই।
জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আমাদের এতো চিন্তা থাকলে – আমরা জাতীয়ভাবে কেন এভাবে উতপাদনশীল সময় ভাসিয়ে শ্রম বিনিয়োগ দিচ্ছি? শ্রদ্ধাবোধ তো হতে হবে অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত – তাই না? সারা বিশ্বের কোন জাতির মধ্যে তো এমন শ্রদ্ধাবোধ এর আচরন নেই, সারা বিশ্বের ওরা কি ভিন্ন প্রজাতির মানুষ? এবার আসি পরেরটায় অযৌক্তিকভাবে সময় নষ্ট করি বুঝলাম – সে সময়ে আমরা কি করি? আমরা বেদীতে যাই, তাকে প্রচার করি পবিত্র হিসেবে, জুতা খুলে সে বেদীতে পা রাখতে হয় আমাদের, মাথা নুইয়ে, সটান হয়ে অশ্রুসজল চোখে বিমূর্ত প্রতীকের মতো দাঁড়িয়ে এবং পা-মেরে স্যালুট দিয়ে সম্মান জানাতে হয় সেখানে।
এবার দু’টো বিষয় এক করলে দেখা যাচ্ছে – সম্মানের নামে যা আমরা করি তাতো মূলত সম্মানই না আমরা সে সময় ইনভেষ্ট করছি ভিন্ন একটা সময় নষ্টকারী-মূল্যহীন সংস্কৃতি – এটা কেন? আমাদের জাতীয় স্বার্থ কি এতে? যে সময় আমরা এগুলো করি, সে সময়ে তাদের নামে একটা উতপাদনশীল কর্মকান্ড চালিয়ে আমারা তাদের নামের সম্মান এবং উন্নয়নমূখী কাজ – দুয়েই কি অবদান রাখতে পারি না?
আমারা তাদের নামের সম্মান এবং উন্নয়নমূখী কাজ – দুয়েই কি অবদান রাখতে পারি না?
অবশ্যই পারি। তবে তারা যেমন আমাদের জন্য আত্ম ত্যাগ করেছেন আমাদেরও তাদের জন্য আত্মত্যাগী হবে হবে।
আপনার লেখা পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হলাম।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ও আমাদেরকে তাদের জন্য কিছু করার তাওফীক দান করুন।
এই শহীদরা যদি এখনও বেঁচে থাকতেন তাহলে দেখতেন কিভাবে উর্দূরই মাসতুতু ভাই হিন্দীকে তাদের উত্তরসূরীরা রপ্ত করে নিচ্ছে । বাংলা ভাষার চেয়ে হিন্দীতে কথা বলাটা আজ এক স্ট্যাটাস সিম্বলে পরিনত হয়েছে ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের সমাজের অধতনের কারণ যদি লক্ষ করি তাহলে দেখব যে, এটাই মূল কারণ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বুঝার ও সে অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন