ঋতুবতী নারী আশ পাশের সব কিছুকে নাপাক করে দেয়? ইসলাম কি বলে?!!
লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ২৫ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৮:৪১ দুপুর
বিশেষভাবে ইহুদী বিধি-বিধান ঋতুবতী মহিলাদেরকে কঠোরতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। পুরাতন নিয়ম(old testament) ঋতুবতী মহিলাদেরকে এবং তাদের আশে পাশের সব কিছুকে নাপাক হিসেবে গণ্য করেছে। যে কোন জিনিস সে স্পর্শ করলেই পুরো দিনব্যাপী তা নাপাক থাকবে। যদি কোন মহিলার শরীরে কোন প্রবাহিত রক্ত থাকে যা গোশতের উপর প্রবাহিত হয়, তাহলে সে এক সপ্তাহ পর্যন্ত অপবিত্র থাকবে। যে তাকে স্পর্শ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে। সে যার উপর বসবে বা শয়ন করবে তা নাপাক বলে গণ্য হবে। যে তার বিছানা স্পর্শ করবে তার শরীরের পোশাক ধৌত করতে হবে, গোসল করতে হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে নাপাক থাকবে। সে যার উপর বসেছে এমন কোন আসবাব পত্রকে স্পর্শ করলেও অনুরুপ তাকে গোসল ও তার পোশাক ধৌত করতে হবে। এমতাবস্থায় সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাপাক থাকবে। (লেভিটিকাসঃ ১৫/১৯-২৩)
এ কারণে মাঝে মাঝে নারীদেরকে কারো সাথে কোন ধরণের আচার-আচরণ বা উঠাবসা করতে নিষেধ করা হত। তাদেরকে ঋতুবতী হলে উক্ত সময়টা কাটাতে "নাপাক ভবন" এ পাঠিয়ে দেয়া হত।
ইহুদী ধর্মশাস্ত্র ঋতুবতী মহিলাকে সে কাউকে স্পর্শ না করা সত্বেও হত্যাকারীনী হিসেবে গণ্য করে।
ইহুদী পন্ডিতের মতে, যদি কোন ঋতুবতী মহিলা ঋতুর শুরুতে দুইজন পুরুষের মাঝ দিয়ে হেটে যায় তাহলে, তাদের একজন মারা যাবে। আর যদি ঋতুর শেষের দিকে হয় তাহলে,তাদের উভয়ের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হবে। (bpes.111a)
ঋতুবতী মহিলার স্বামীকেও ইহুদীদের উপাসনালয়ে প্রবেশ করায় বাধা দেয়া হত। কেননা, তার স্ত্রী যে মাটির উপর চলাফেরা করেছে একই মাটির উপর চলাফেরা করার কারণে সেও নাপাক। যে ইহুদী পন্ডিতের স্ত্রী,কন্যা বা মাতা ঋতুবতী থাকে তাকে তাদের উপাসনালয়ে খুতবাহ দিতে দেয়া হত না।
এ জন্য এখনও কিছু কিছু ইহুদী মহিলা ঋতুকে "অভিশাপ " নামে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
কিন্তু, ইসলাম কোন ঋতুবতী মহিলাকে বলে না যে, সে তার আশেপাশের জিনিসকে নাপাক করে দেয়। তার উপর অভিশাপ দেয় না। নামাজ ও রোজার মত কয়েকটি ইবাদাত থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যতিত সে সম্পূর্ণ সাধারণ জীবন যাপন করে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তার শুকরিয়া করার তাওফীক দান করুন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৬৫০ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ভাল লাগল
ইসলাম কোন ঋতুবতী মহিলাকে বলে না যে, সে তার আশেপাশের জিনিসকে নাপাক করে দেয়। তার উপর অভিশাপ দেয় না। নামাজ ও রোজার মত কয়েকটি ইবাদাত থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যতিত সে সম্পূর্ণ সাধারণ জীবন যাপন করে।
ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন