আমাদের সমাজের কিছু কুসংস্কার যা পরিহার করা একান্ত প্রয়োজন (প্রথম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ১৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৪৫:০৭ দুপুর
১) পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (জিরো) পাবে।
২) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
৩) দোকানের প্রথম কাস্টমর ফেরত দিতে নাই।
৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
৫) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
৬) ঔষধ খাওয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ বললে’ রোগ বেড়ে যাবে।
৭) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
৮) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।
৯) চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের লজ্জাস্থান স্পর্শ করালে সুস্থ হয়ে যাবে।
১০) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।
১১) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
১২) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
১৩) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
১৪) কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে।
১৫) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।”
১৬) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
১৭) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়।
১৮) ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে।
১৯) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
২০) রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল প্রকার কৃসংস্কার থেকে বাচার তাওফীক দান করুন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৮ বার পঠিত, ৪৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২১ ঘর থেকে বাহিরে যাত্রার সময় খালি কলসী চোখের সামনে পড়তে নেই।
২২ খুব ভোরে খুব থেকে উঠে মূখ হাত না ধৌত করে (অর্থাৎ ওজু না করেই) স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করলে তা মনে থাকে দীর্ঘকাল পর্যন্ত।
(এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, মুসলিম ঘরের সন্তানরা যেন ঘুম থেকে উঠে নামাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে না উঠে তারই যেন বাস্তবায়নের সুক্ষ্ম কৌশল।
২৩ ঘরের প্রধানকর্তা যতক্ষণ পর্যন্ত দিনের খাবার/রাত্রের আহার গ্রহণ করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহকর্তী কিংবা পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক অন্যন্যা মহিলারা আহার গ্রহণ করা যাবে না।
আরো অনেক অযৌক্তিক ও অসংগতি চোখে পড়ে যা ইসলামী শরীয়াহর দৃষ্টিতে কোনই ভেলু নেই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
তবে অনেক দিন হল কিছু লিখছেন না কেন?
নতুন বিবাহ করেছেন নাকি?
নইলে এত ব্যস্থতা কিসের?
আমি বিয়ে করেছি ২০০৬ সালে। আমাদের পরিবারে আমার পরে আর কারো বিয়ে হয়নি। সে হিসেবে বলা যায় বিবাহিত হিসেবে আমি এখনো নতুন। অবশ্য শাশুর বাড়ীর পক্ষ থেকে আমার এই নতুনত্বের ভেলিডিটি স্থায়ীভাবে ক্যানসেল করে দিয়েছে আমার দুষ্ট শ্যালিকা সেই ২০০১ সালের শুরুতে। আমার আসনটা তার হাফপেন্ট (হাজবেন্ড) টাই চিনিয়ে নিলো। হারোনো গতি তো আর ফেরত পাবো না। এখন আমি প্রতিশোধের! আশায় অপেক্ষা করছি তাদেরকে গতি থেকে নামিয়ে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর।
আমার বিয়ে শাদীর ফলাফল নিয়ে আমি দু’য়েকটি ব্লগ লিখেছিলাম।
আমার তৃতীয় মেয়ের আগমনে স্বাগতম
অনেকদিন আগে পারিবারিক কাহিনী গল্পাকারে লিখেছিলাম।সম্ভব হলে সেখান থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন
আমি বিয়ে করেছি ২০০৬ সালে। আমাদের পরিবারে আমার পরে আর কারো বিয়ে হয়নি। সে হিসেবে বলা যায় বিবাহিত হিসেবে আমি এখনো নতুন। অবশ্য শাশুর বাড়ীর পক্ষ থেকে আমার এই নতুনত্বের ভেলিডিটি স্থায়ীভাবে ক্যানসেল করে দিয়েছে আমার দুষ্ট শ্যালিকা সেই ২০১০ সালের শুরুতে। আমার আসনটা তার হাফপেন্টই (হাজবেন্ড) চিনিয়ে নিলো। হারোনো গদি তো আর ফেরত পাবো না। এখন আমি প্রতিশোধের! আশায় অপেক্ষা করছি তাদেরকে গদি থেকে নামিয়ে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর।
আমার বিয়ে শাদীর ফলাফল নিয়ে আমি দু’য়েকটি ব্লগ লিখেছিলাম।
আমার তৃতীয় মেয়ের আগমনে স্বাগতম
অনেকদিন আগে পারিবারিক কাহিনী গল্পাকারে লিখেছিলাম।
সম্ভব হলে সেখান থেকে একবার ঘুরে আসতে পারেন
২ টা শালিক = ভাল খবর
৩ টা শালিক = চিঠির খবর
৪ টা শালিক = পুত্র সন্তানের খবর
৪ টা শালিক = পুত্র সন্তানের খবর
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ পিলাচ
অনেক ধন্যবাদ।
এখানে ব্লগটির লিংক দিলাম।
অনেক ধন্যবাদ।
এগোলো শুনলে মাথা করে আউলা জাউলা
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমীন
বর্তমানে ইসলামী শিক্ষার প্রসার হওয়ায় অনেক কিছু দূর হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার নিকট আশা রাখি তিনি সকল কুসংস্কার থেকে আমাদেরকে রক্ষা করবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
কুসংস্কারগুলো ব্লগে তুলে ধরার জন্য
অপরকে ভাল কার্ম আঞ্জাম দেয়ার প্রতি আহ্বান করার যেমন আমাদের জন্য জরুরী। তেমনি খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানোও আমাদের জন্য জরুরী।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন
মন্তব্য করতে লগইন করুন