রজমান বিদায়, আমাদের করণীয় (প্রথম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ১৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:৫৪:১২ রাত
রমজান মান বিদায় নিল। এখন আমাদের করণীয় কি?
আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন, যারা শুধু রমজান কেন্দ্রীক ইবাদতকারী। তাদের জন্য রমজান আসা বা যাওয়ার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। শুধু তারা মনের আবেগকেই বিষ্ফুরিত করতে পারে। তাদের পাওয়ার খাতায় রয়ে যায় শুধুই শূন্য।
আর যারা রমজান মাসকে নিজের হিসাব খাতায় সঞ্চয় বাড়ানো জন্য আগ্রহী এবং তা থেকে আগামী মাসের জন্য শিক্ষা নেয়া এবং সেভাবে জীবন পরিচালনা করার জন্য প্রতিজ্ঞা করে, তাদের জন্যই প্রতৃক আনন্দ বা প্রকৃত শান্তি এবং তারাই এ মাস অতিবাহিত হওয়ায় একদিকে আনন্দীত হয় অন্য দিকে ব্যাথিতও হয়।
তাদের আনন্দের ব্যাপার হল: তারা অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছে।
আর ব্যাথিত হওয়ার ব্যাপার হল: তাদের নিকট হতে এক মহান মাস বিদায় নিল, যাতে তাদের সওয়াবের আধিক্য ছিল অগণিত।
কেননা রাসূল (সাঃ) বলেন: আল্লাহ তায়ালা বলেন:... রোজা আমার জন্যই রাখা হয় এবং এর প্রতিদান আমিই প্রদান করব।..।
রমজানের পর আমাদের করণী:
প্রথম: রজমান মাসের রোজা শেষ হয়েছে, তবে মমিনের জীবনের রোজা শেষ হয় নাই। যেমন:
১। শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা রাখা।
রাসূল (সাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখার পর, শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা রাখল, সে যেন সাড়া বছর রোজা রাখল।
অর্থাৎ সে সাড়া বছর রোজা রাখার সওয়ার পেল।
২। প্রতি মাসে ৩টি করে রোজা রাখা।
রাসূল (সাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি প্রতি মাসে ৩টি করে রোজা রাখবে, সে সাড়া বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে।
৩। চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখা।
রাসূল (সাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি আইয়ামে বীজ (অর্থাৎ: চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও১৫ তারিখে) রোজা রাখল, সে যেন সাড়া বছর রোজা রাখল।
(টীকা) কেউ যদি উল্লেখিত তিন প্রকার রোজা রাখে, তবে সে প্রতি বছর ৩ বছর রোজা রাখার সওয়াব অর্জন করবে।
৪। সোমবার ও বৃহস্পতি বারে রোজা রাখা।
রাসূল (সাঃ) বলেন: প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমলনামা আল্লাহর সমীপে পেশ করা হয়। তাই আমি চাই আমার আমলনামা এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, সে সময় আমি রোজা অবস্থায় থাকি।
৫। আশুরা অর্থাৎ মহররম মাসের দশ তারিখের রোজা রাখা।
রাসূল (সাঃ) বলেন: আমি আল্লাহর সমীপে আশা রাখি তিনি আশুরার রোজার মাধ্যাম বিগত এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
৬। আরাফতের রোজা অর্থাৎ যে দিন হাজী সাহবেরা আরাফাতের ময়দানে সমাগত হন।
রাসূল (সাঃ) বলেন: আমি আল্লাহর সমীপে আশা রাখি তিনি, আরাফাতের রোজার বিনিময় বিগত এক বছর ও আগামী এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
৭। মাঝে মাঝে রোজা রাখা।
রাসূল (সাঃ) বলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জনের জন্য একদিন রোজা রাখবে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা সে বান্দাহ হতে জাহান্নামকে ৭০ বছর পথের ব্যবধানে রাখবেন।
চলবে:.....
বিষয়: বিবিধ
২৫৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন