উত্তর ও ব্যাখ্যা (বলুন দেখি, পারেন নাকি) যারা লিখেছেন, সবারগুলি প্রকাশ

লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ১৮ জুন, ২০১৩, ১২:২১:৩১ দুপুর

ভিশু লিখেছেন : মানুষ!

অনেক শেখার আছে এ থেকে।

আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : অনেক আগে পড়েছিলাম, বলেছিলামও মানুষ! শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্যের ব্যাখ্যা।

জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : মানুষ।

প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার জবাব সবগুলো মন্তব্য হয়ে গেছে যার কারনে মন্তব্যদাতারা পাবেনা।

বুড়া মিয়া লিখেছেন : সুন্দর ধাধা ..

আবু নাইম লিখেছেন : চমৎকার।

পথিক মুসাফির লিখেছেন : আমি আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ভায়েরটাই যথোপযুক্ত মনে করছি তিনি লিখেছেন : অনেক আগে পড়েছিলাম, বলেছিলামও মানুষ! শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্যের ব্যাখ্যা!

সুন্দর ও শিক্ষনীয় ধাধার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

শিশিুকালে মানুষ কতেই না দুর্রল। অন্যান্য জীবের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ওদের চেয়ে অনেক অসহায়।

অন্যান্য জীবের বাচ্চারা যেভাবে নিজেকে শক্তিবান করে নিজের কাজ নিজেই করতে পারে, যেমন বাছুর বা মুরগির বাচ্চা। কিন্তু মানবশিশুর মুখে দুধ তুলে দেয়া না হলে সে পান করতে পারে না।

একটি বাছুর প্রসব হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উঠে দুধ পান করতে পারে কিন্তু মানবশিশু তা পারে না। পরে দেখুন, মানব শিশুটি বড় হলে ওরকম শত বাছুরও তার শক্তির কাছে কিছুই না। এটাই ধৈর্যের ফলাফল।

তাই আমাদেরকে প্রত্যেক কাজেই ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন: “মানুষকে অতি দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।”

দেখুন, শক্তিতে একটি বাঘের সামনে একজন মানুষ কিছুই না। তবে জ্ঞানের মাধ্যমে শত বাঘকেও মানুষ পরাভূত করতে পারে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে জ্ঞানের মাধ্যমে সবার উপর শক্তিশালী করেছেন। তাই আমাদেরকে জ্ঞানর্জন করতে হবে।

দেখন, আল্লাহ তায়ালা সর্ব প্রথম ওহী করেছেন, “একরা” অর্থাৎ পড়ুন বা জ্ঞানার্জন করুন।

আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জ্ঞানার্জন করাকে ফরজ করেছেন।

একজন যুবক তার শক্তি মহরা দিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। সকল যুবকের মাঝে ঐ যুবককেই আমরা উত্তম বলে অবিহিত করব, যে নাকি তার যৌবনকালকে সঠিক পথে ব্যয় করতে পেরেছে। কেননা তাকে অবস্যই মনে রাখতে হবে, তার প্রথম জীবন দুর্বল দ্বারা আর শেষ জীবনও দুর্বল, আর মাঝের জীবনটাকে সঠিক ব্যয় করাটাই হল তার জন্য কাম্য। তাই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: কেয়ামত দিবসে আদম সন্তানকে চারটি (অন্য বর্ণনায়) পাচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এক পা অগ্রসর হতে দেয়া হবে না। .. তার মধ্য হতে “তার যৌবনকাল কোন পথে ব্যয় করেছে।”

তাই আসুন, আমাদের যৌবনকালকে সঠিক পথে ব্যয় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি।

আপনার শিশু বাচ্ছার জন্য কতই না দরদ। আপনার পিতা-মাতাও আপনার জন্য সেরকমই দরদ করতেন। তারা আজ বৃদ্ধ এবং দুর্বল। আপনি দুর্বল শিশা থাকাবস্থায় তারা আপনার সাথে যে ব্যবহার করেছেন, আজ তারাও আপনার নিকট থেকে সে ব্যবহার চায় বা পাওয়ার অধিকার রাখে। তাই আপনি তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “বিশেষ করে, তাদের একজন বা উভয়জন যখন বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হবে, তখন তাদের সাথে এমন ব্যবহার করো না, যার কারণে তারা উফ শব্দটা প্রকাশ করে।”

আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনটাকে তিন স্তরে বিভক্ত করে মাঝখানের স্তরকে অনেক দায়িত্ব দান করেছেন, এবং এর মাঝে শিক্ষারও অনেক কিছু রেখেছেন।

ওহে যুকব! তুমি যদি স্বীয় বৃদ্ধ পিতা-মাতার সাথে ভাল ব্যবহার কর, তোমার সন্তানরাও তোমার দুর্বল অবস্থায় সে রকমই ব্যবহার করবে।তাই তুমি তাদের সাথে ভাল ব্যবহার কর, নচেত তোমার তৃতীয় স্তর কিন্তু অনেক ভয়বহতায় নিমজ্জিত হবে।

আপনি তৃতীয় স্তরের জন্য কতটুকু সঞ্চয় করতে পারলেন, সেটাও দেখার বিষয়।

কতটুকু আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করতে পেরেছেন।

তৃতীয় স্তরের জন্য কতটুকু অর্জন করতে পেরেছেন।

দ্বিতীয় স্তরে মানুষের সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন।

দ্বিতীয় স্তরে সমাজকে কি উপহার দিয়েছেন, যার দরুন সমাজ থেকে আপনি ভাল কিছু পাওয়ার আশা রাখেন?

তৃতীয় স্তরে উপনীত হতে হবে, তা কি দ্বিতীয় স্তরে মনে করতেন?

দ্বিতীয় স্তরে থাকতে কতভাগ ব্যয় করেছেন, তৃতীয় স্তরের জন্য?

আপনি কেমন বৃক্ষ রোপন করেছেন, যার ফল আপনি তৃতীয় স্তরে পাবেন?

বাজার থাকতে সওয়া করুন, বাজার ভেঙ্গে গেলে কিছুই পাবেন না। অর্থাৎ যৌবনকালকে গনিমত মনে করে কাজে লাগান।

অহঙ্কার পরিহার করুন। কেননা আপনার কিসের অহঙ্কার? আপনার তিনটি স্তরের দুটিই দুর্বল, আর যে স্তরটিতে আপনি অহঙ্কার করবেন, তা তো অন্য স্তরের জন্য সঞ্চয়ে সময়। অর্থাৎ বলতে গেলে, সেটাও দুর্বল। কেননা আপনি বর্তমানে ভিক্ষুক, কেননা আপনি তৃতীয় স্তরের জন্য করুনা ভিক্ষা করছেন এখন থেকেই।

যারা আজ তৃতীয় স্তরের সাথে খারাপ আচরন করছ, তারা মনে রেখ, তোমার জন্যও আষাঢ় মাস অপেক্ষা করছে।

প্রথম ও শেষ স্তরের সাথে উত্তম ব্যবহারকারীদের জন্য আল্লাহ তায়ালা অশেষ সওয়াবের ওয়াদা করেছেন, তা আমাদেরকে অর্জন করতে হবে।

হাদীসে এসেছে: “জান্নাতে এক ব্যক্তির সম্মান বৃদ্ধি হওয়ার এর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায়, তাকে বলা হলো: তোমার সন্তান তোমার জন্য দোয়া করেছে।”

অন্য হাদীসে এসেছে: যে তিন ব্যক্তি গুহায় পাথর চাপা পড়েছিল, …. এক ব্যক্তি বলল: আমি স্বীয় পিতা-মাতার জন্য দুধ দহন করে তাদের মাথার কাছে দাড়িয়ে থাকলাম, কেননা তাদেরকে ঘুম থেকে জাগালে কষ্ট পাবে, তারা স্বাভাবিকভাবে জেগে উঠলে, তাদেরকে দুধ পান করালাম। এর আগে আমি ও আমার পরিবার কেউই দুধ পান করিনি।“হে আল্লাহ! আমি এ কাজটি শুধু মাত্র তোমার সন্তষ্টি অর্জনের জন্যই করেছিলাম, বিধায় তুমি আমাদেরকে এত্থেকে উদ্ধার কর।” পাথরটি সরে গেল।

কেয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেনীর লোককে তার আরশের ছায়ায় আশ্রয় দিবেন। তাদের মধ্যে এক শ্রেণী হল: ঐ যুবক যে তার যৌবনকালকে আল্লাহর সন্তুষ্টিতে কাটিয়েছে।

আরও এক শ্রেনী: যে যুবককে সুন্দরী ডেকেছে অপকর্ম করার জন্য সে বলেছে: আমি আল্লাহকে ভয় করি।

তৃতীয় স্তরের যারা তারা আমাদের কাছে করুনা চায় না, বরং তারা আমাদের নিকট তাদের প্রাপ্য চায়। তাই আসুন, আমরা তাদের প্রাপ্যকে বুঝিয়ে দেই। নয়লে আপনার প্রাপ্যও আপনার সন্তানরা হনন করবে।

তিনটি স্তরকে যদি আমরা মূল্যায়ন করতে পারি, তবেই আমাদের ইহকাল ও পরকাল সার্থক হবে।

আরো ……….

আরো ……….

আরো ……….

আরো ……….

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল স্তরে সহায় হোন। আমীন

বিষয়: বিবিধ

১৬৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File