তরমুজ খাইবেন তো সবল জীবন পাইবেন
লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ০৬ জুন, ২০১৩, ০১:৪৪:১৯ দুপুর
বৃহৎ আকৃতির ফল তরমুজ। পুষ্টিতেও রয়েছে এই ফলের বৃহৎ মাত্রা। তরমুজের ওজনের প্রায় শতকরা ৯৩ ভাগই পানি। পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তরমুজ পানিশূন্যতা দূর করে, অতিরিক্ত গরমে শরীর থেকে যে জরুরি খনিজ লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করে দেয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপ হতে বাধা দেয়। দেহে অম্ল ও ক্ষারের সাম্যাবস্থা বজায় থাকে, অতিরিক্ত গরমে শরীরের জ্বালাপোড়াজনিত সমস্যা দূর করে। ত্বকের প্রতিটি বিন্দুতে পানি পৌঁছে দেয় বলে তরমুজ নিয়মিত খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, চুলও সুন্দর হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’-র বসবাস এই ফলে। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য যথেষ্ট উপকারী। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েরা নিয়মিত তরমুজ খেলে সন্তানদের রাতকানা, জেরোসিস, জেরোপথ্যালমিয়া, চোখ ওঠা— এই চোখের রোগগুলো সহজে হবে না। তরমুজ গরমজনিত ঠান্ডা লেগে যাওয়া, হাঁচি, কাশি, টনসিল দূর করে। তরমুজের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হূৎপিণ্ডের রোগগুলো দূর করতে সাহায্য করে, হূৎপিণ্ডের মাংসপেশিকে করে শক্তিশালী। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে তরমুজে, যা দাঁত, হাড়, চুল গঠনের জন্য রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এতে রয়েছে ফোলেট, আয়রন, যা রক্তের হিমোগ্লোবিনকে করে ভীষণ শক্তিশালী। অল্প পরিমাণে চিনি থাকার জন্য ডায়াবেটিস রোগীরাও তরমুজ খেতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি তরমুজ বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।
তরমুজ সম্পর্কে অনেক তথ্য:
গ্রী্নের পুষ্টিকর ফলগুলোর মধ্যে তরমুজ অন্যতম। বিশাল আকৃতির এ ফলটি খাদ্যপ্রাণে ভরপুর। অল্প দামের এ ফল খেলে পাওয়া যায় অনেক সুফল। তরমুজে কোলেস্টেরল নেই।
আমাদের শরীরে তরমুজের কাজ
– তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি, তাই ফলটি শরীরে পানির অভাব দূর করে।
– ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’র একটি ভালো উৎস। এ দুই ধরনের ভিটামিন ত্বক ও চুলে পুষ্টি জোগায়।
– তরমুজে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট নামক উপাদান, যা শরীর সতেজ রাখে।
– পানির পরিমাণ বেশি থাকায় তরমুজ প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, পেটের আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্য, জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি কমায় এবং যক্ষ্মা ও কফ কমাতেও ভীষণ উপকারী।
– তরমুজে লাইকোপেন নামের এক ধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে, যা অন্ত্রের ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
– দেহের জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া দেহ থেকে নিষ্কাশনে ভূমিকা রাখে।
– আমাদের শরীরে ফ্রি র্যাাডিকেলস নামক এক ধরনের পদার্থ রয়েছে, যা দেহের শিরা-উপশিরায় কোলেস্টেরল বা চর্বি জমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে হার্ট অ্যাটাক বা হৃৎপিণ্ড অকেজো হয়ে যায়। ফ্রি র্যা ডিকেলসের জন্য অ্যাজমার সমস্যাও হতে পারে। তরমুজ এই ফ্রি র্যা।ডিকেলসের পরিমাণ কমায়। তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ‘বি’। এ উপাদানগুলো দেহের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে এবং দেহে শক্তি জোগায়।
– তরমুজের রস ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে, ত্বককে করে উজ্জ্বল, সতেজ।
দরকার সচেতনতা
ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনেক সময় বিক্রেতারা তরমুজ কেটে রাখে। এতে কাটা অংশে রাস্তার ধুলাবালি, রোগ-জীবাণু যুক্ত হয়। কেটে রাখা তরমুজ খাবেন না।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সুস্থ্য জীবন যাপন করার তাওফীক দান করুন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৯১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন