কলমী শাক আপনারই বন্ধু

লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ০৫ জুন, ২০১৩, ১২:০৮:৪০ দুপুর



কলমী শাক সচরাচর জলে জন্মে । নলকুপের ধারে , পুকুর পাড়ে , যেখানে পানি জমা থাকে সেখানে জন্মায় । কলমী শাক দুধরণের হয়। এক ধরনের কলমী শাকে ডাটাঁ লাল রংয়ের , আর এক ধরনের কলমী শাকের ডাটাঁ সাদা- সবুজাভ।

বর্তমানে এ শাকটি চাষ করা হচ্ছে দেশের অনেক অঞ্চলে।

আমরা এ শাককে রান্না করে খেয়ে থাকি, এর স্বাদ কারো নিকট অজানা নয়। তবে এতে রয়েছে আরো অনেক গুণাগুণ এবং এর মাধ্যমে অনেক রকম চিকিৎসা করতে পারি। নিম্নে কিছু বর্ণনা করা হলো:

প্রযোগ এবং ব্যবহারঃ

১। গুরুতরভাবে আফিং- এর বিষক্রিয়া দেখা দিলে- ছটাক খানেক কলমী শাকের রস খাইয়ে দিলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে ।

২। শিশু পোষনের জন্য- যতটুকু দুধ দরকার ,মায়ের তা না থাকলে সকালে এবং বিকেলে ৩/৪ চা চামচ মাত্রায় কলমী শাকের রস একটু ঘি দিয়ে খেলে মাতৃস্তন্যে দুধ বাড়বে ।

৩। বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে-

বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কলমি শাকের গুন অনেক । বসন্তকে যদি দুরে রাখতে চান, তাহালে প্রতিদিন বাড়ির সকলকে ২ চা চামচ কলমী শাকের রস গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দিন ।

৪। গণোরিয়া জ্বালা- যন্ত্রণা ও পুঁজ পড়ার ক্ষেত্রে- গণোরিয়া হলে এবং সেই সাথে জ্বালা যন্ত্রণা ও পুঁজ পড়া থাকলে, ৪/৫ চা চামচ কলমী শাকের রস অল্প ঘিয়ে সাঁতলে নিয়ে সকালে - বিকালে অন্তত সাতদিন খান। এতে জ্বালা- যন্তনা যেমন বন্দ হবে , পূজ পড়া ও তেমনি কমে যাবে।

৫। কোলের শিশু দিনে ঘুমিয়ে রাতে জাগলে- অনেক সময় শিশুর মল কঠিন হয়ে গেলে এমনটি হয়। এ খেতে ঈষৎ গরম দুধের সঙ্গে ২০ বা ২৫ ফোঁটা কলমীশাকের রস শিশুকে খাওয়ান । দেখবেন এতে করে খুব ভাল ফল হবে ।

৬। বোলতা, ভীমরুল বা মৌমাছি কামড়ালে- এদের কামড়ে প্রচন্ড যন্তনা হতে থকলে কলমী বেটে হুল ফোটাবার জায়গায়/ ক্ষত স্থানে লাগান কলমীর ডগা ঘষে দিলেও বেশ ভাল আরাম পাবেন।

৭। স্তনে দুধ বসে গেলে- কলমী বেটে অল্প গরম করে স্তনে লাগান এবং কলমী শাকের রস দিয়ে ধুয়ে দিন । এতে বসা দুধ পাতলা হয়ে নিঃসরনের সুবিধে হবে এবং যন্ত্রণাও কমে যাবে ।

আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সুস্থ্য রাখুন। আমীন

বিষয়: বিবিধ

৩৫২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File