আদাকে চিনে রাখুন!!!!!!!!!!!??????

লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ০২ জুন, ২০১৩, ১২:০৮:৩৭ রাত

আদার ঔষধি গুণ



মসলা থেকে শুরু করে ঔষধি উপাদান হিসেবে আদার ব্যবহার হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। যারা গলার চর্চা করেন তারা অনেকেই গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা আর লবণকে পছন্দ করে থাকেন। আসলে মসলা ছাড়াও আদার রয়েছে বিভিন্ন গুণ। ইউনিভার্সিটি অব নিয়ামি মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীদের মতে, খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত আদা খেলে গিঁটে ব্যথা সারে অনেকখানি। শীতে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে? এককাপ আদার চা খেয়ে নিন। বেশ আরাম বোধ করবেন। আদা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, সেই সঙ্গে রক্তনালী প্রসারিত করে। ফলে শরীর গরম থাকে দীর্ঘক্ষণ। এ ছাড়া যাদের মোশন সিকনেস আছে তারা সব সময় আদার সাহায্য নিতে এ সমস্যা হতে মুক্তি পেতে পারেন।

আদা খেলে শরীলের যে উপকার গুলো হয়ঃ

= আদা মল পরিস্কার করে, ভারী, উষ্ণ, খিদে বাড়ায়, পাকে মধুর রুক্ষ, রায়ু ও কফ দূর করে।

= আদার রস শরীর শীতল করে, মধুর তীক্ষন, এবং হার্টের পক্ষে ভালো।

= হৃদরোগ ও শরীরের ভেতরে বায়ু ও আমাশা সারিয়ে তোলে।

= আদার রস খেলে আহারে রুচি আসে এবং ক্ষুধা বাড়ে।

= আদার রসে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি সারে।

= আদা মল পরিষ্কার করে।

= আদার রসে পেটব্যথা কমে।

= আদা পাকস্থলী ও লিভারের শক্তি বাড়ায়।

= আদা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

= আদার রস শরীর শীতল করে।

= আদা রক্তশূন্যতা দূর করে।

হজম শক্তির জন্য আদাঃ

# আদা কাজি বা পানীয় লবণ মিশিয়ে পান করলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়। খিদে বেড়ে যায়, কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয় এবং আমাশা সারে।

# আদা খেলে মুখে থুতু বা লালা উৎপন্ন হয়। এই লালা বা (স্যালাইভা) খাবার হজম তাড়াতাড়ি করতে সাহায্য করে, সেজন্য অরুচি ও অখিদে দূর করতে আদা খাওয়া জরুলী।

# ভোজনের আগে আদা-লবণ সর্বদাই পথ্য। বিশেষত বর্ষা ো শীতে এভাবে আদা খাওয়া শরীরের পক্ষে হিতকর।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে আদাঃ



আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এটি মানুষের রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ডায়াবেটিস রোগের উপশম হয়। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্প্রতি এসব তথ্য দিয়েছেন। ডায়াবেটিস রোগের চিকিত্সায় আদার কোনো উপকারিতা আছে কি না তা নিয়ে গবেষণা করেন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একদল গবেষক। অধ্যাপক বাসিল রৌফোগালিস এতে নেতৃত্ব দেন। গবেষণায় বেরিয়ে আসে যে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে আদা। গ্লুকোজ রোগীর শরীরে নানা জটিলতা বাড়ায়। আদার নির্যাস শরীরের কোষে গ্লুকোজের শোষণক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে দীর্ঘমেয়াদে সুগারের স্তর ঠিক রাখতে ভূমিকা রাখে এবং কোষগুলোতে নির্বিঘ্নে ইনসুলিনের চলাচল ঠিক রাখে। ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে সাধারণ অবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের স্তর নিম্নমাত্রায় থাকে। ফলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হয়। আদার রস সেই স্তরের বৃদ্ধি ঘটায়। পেশির কোষগুলোতে গ্লুকোজের ধারণক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।

রুচি বাড়ানোর জন্য আদাঃ



আদার রস, পাতিলেবুর রস ও লবণ বা শুধু লবণ শিশিয়ে খেলে মুখশুদ্ধি হয়। খিদে বাড়ে, রুচিকর, সহায়ক (অর্থাৎ বদ্ধ বায়ু ও মল নিঃসারণ করে) খেতে ভালো লাগে, বায়ু ও কফ নাশ করে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুন। আমীন

বিষয়: বিবিধ

১২৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File