এস্তেগফার করার ফযীলত
লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ২৬ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৫৮:৪৪ রাত
ইব্রাহীম বিন আদহামের নিকট এক বাক্তি এসে বললেন: আমার গোনাহর জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
তিনি বললেন: বরং তুমিই আল্লাহর নিকট এস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা কর।
অন্য এক লোক এসে বলল: আমরা অনাবৃষ্টির কারনে অনেক বিপদে আছি। আপনি এর জন্য একটি আমল বাতলিয়ে দিন। তিনি বললেন: আস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা কর।
অন্য লোক এসে বলল: আমি খুব অভাবি আমার জন্য দোয়া করুন।
তিনি বললেন: আস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা কর।
অন্য লোক এসে বলল: আমার সন্তান হচ্ছে না। আপনি আমার জন্য দোয়া করুন।
তিনি বললেন: আস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা কর।
অন্য এক লোক এসে বলল: ফসল ভাল হচ্ছে না বা ফসল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আপনি আমাদের জন্য দোয়া করুন এবং কোন আমল বাতলিয়ে দিন।
তিনি বললেন: আস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা কর।
আর একজন এসে বলল: আমাদের নদী নালা শুকিয়ে গেছে। আমাদের জন্য দোয়া করুন।
তিনি বললেন: আস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা কর।
ছাত্ররা তাকে বললেন: আপনি তো সবাইকে একই চিকিৎসা দিলেন।
তখন তিনি নিম্নের আয়াতগুলি পাঠ করলেন:
অর্থ: তোমরা তোমাদের রব্বের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল।
(তোমরা তা করলে তিনি অজস্র ধারায় তোমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।
তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। (সূরা নূহ: 10-12 আয়াত)
হাদীসে এসেছে: যে ব্যক্তি এস্তেগফারকে নিজের জন্য নির্ধারণ করে নিবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য:
সকল সঙ্কট দুরিভূত করবেন, সকল বিপদ দূর করবেন, এবং তিনি তাকে এমন পন্থায় রিজিক দান করবেন, বান্দা নিজেও জানে না।
আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে উপরের আয়াতগুলি ও হাদীসটির উপর আমল করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৭২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন