জীবন থেকে নেয়া (৪র্থ পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন কবিতা ২৫ জুন, ২০১৩, ০১:৪৭:১১ দুপুর

সামিয়ার কাছ থেকে শুভ খবর শুনে শিহাবও অনেক খুশি হয়।সামিয়া পরের প্রোগ্রামে এসে খুশির খবরটা মনের মধ্যে চেপে রাখতে না পেরে সব ভাবীদের বলে ভাবীরা আমার একটা খবর আছে ,আমি প্রেগন্যান্ট হইছি। ভাবীরা সবাই আলহামদুল্লিলাহ বললেও সাথে হেসেও উঠে।এরপর ভাবীরা সমিয়ার জন্য আচার,বিভিন্ন রকম ভর্তা ও খাবার রান্না করে সামিয়ার জন্য পাঠাত।আর প্রোগ্রামে আসলেও সবাই সামিয়ার প্রতি খেয়াল রাখে।শিহাবও সামিয়ার অনেক যত্ন নেয়।সামিয়ার ডাক্তার দেখাতে অনেক টাকা লাগবে তবুই শিহাব সামিয়াকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়।ডাক্তার সব কিছু পরিক্ষা করে বলে সব কিছু ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই।সামিয়ার কাছে জানতে চায় তার কিছু বলার আছে কি না,সামিয়া তখন বলে আসলে ও আমার কোন সামস্যা নেই শুধু ছোট্ট একটা সমস্যা এখানে আসার পর আমার ঠান্ডা সারতেছে না ,একটু কমে আবার হয় ।ডাক্তার এ কথা শুনে তুমি তো গরমের দেশ থেকে এসেছ এটা ঠান্ডার দেশ প্রথম প্রথম একটু এরকম হবেই আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে আর তোমাকে তো এই সময় তেমন মেডেসিন দিতে পারতেছি না ,তুমি সাবধানে থেক যাতে ঠান্ডা না লাগে ।এভাবেই হাসি,আনন্দ সাথে একটু ঠান্ডা নিয়ে সামিয়ার প্রেগন্যান্টের ৪মাস পার হয়।এর মধ্যে সামিয়া ultra sound করা হয়েছে।

সামিয়ার পেটে ছেলে বাচ্চা ও বাচ্চার সবকিছুই ভাল আছে জানান ডাক্তার।ছেলে বাচ্চার কথা শুনে সামিয়ার চেয়ে শিহাব একটু বেশিই খুশি হয়।

সামিয়ার প্রতি শিহাব আরো বেশি যত্ন নেয়া শুরু করে ।সামিয়াকে কোন কাজই করতে দেয় না ও ঘড়ের ভিতরও সামিয়াকে সুয়েটার ,মোজা পরিয়ে রাখে।আর সময় পেলেই সামিয়ার হাতে পায়ে সরিসার তেল মালিশ করে দেয়।কিন্ত কিছুতেই কিছু হয় না ।সামিয়ার ঠান্ডা দিনে দিনে বাড়তেই থাকে ।আস্তে আস্তে ঠান্ডার কারনে সামিয়ার বুকটা ভার হয়ে আসে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আর নিঃশ্বাস এর সাথে শব্দ হয়।সাথে আর একটা সমস্যা শুরু হয় পেটের ডান পাশে ব্যাথা।শিহাব আবার সামিয়াকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় ।এবারও ডাক্তার সব কিছু চেকাপ করে বলে সবিত নরমাল আছে আর তোমার ঠান্ডা ও পেট ব্যাথার জন্য এই মূহু্র্তে হালকা কিছু মেডিসিন দিচ্ছি এগুলো খাও হয়ত কমবে,আর আমি আশা বাচ্চা হওয়ার পর এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।সামিয়া ভাবীদের সাথেও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ভাবিরাও সামিয়াকে বলে বাচ্চা পেটে থাকলে কত জনের কত রকম লাগে বাচ্চা হলেই সব ঠিক হয়ে যায় ,আপনারও বাচ্ছা হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।ডাক্তারের কথা ভাবীদের কথা শুনে সামিয়াও মনে শান্তনা পায় বাচ্চা হলেই সে সুস্থ হয়ে যাবে।

এভাবেই কষ্ট করেই সামিয়া প্রেগন্যান্ট এর প্রায় সাত মাস পার করে আর মনে মনে ভাবে আর ২-৩ মাস কষ্ট করলেই আমি ভাল হয়ে যাব।কিন্ত না এর মধ্যে একদিন সামিয়ার এত পেট ব্যাথা শুরু হয় সে সহ্য করতে না পেরে শিহাবকে ফোন করে বাসায় আসতে বলে ও চিৎকার শুরু করে ।শিহাব তারাতারি বাসায় এসে সামিয়াকে হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায় ।জরুরী বিভাগে জরুরী ভিত্তিতেই সামিয়ার সবকিছু টেষ্ট করা হয়।সামিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয় ।

পরের দিন সব টেষ্টের রেজাল্ট ডাক্তারের হাতে আসলে,ডাক্তার শিহাব ও সামিয়াকে একসাথে জানায় সামিয়ার ফুসফুসে টিউমার ।এটা যত তারা তারি সম্ভব অপারেশন করতে হবে।সামিয়ার তো পেটে বাচ্চা।অপারেশন করতে দেরী হলে সামিয়ার ক্ষতি হবে।আর বাচ্চা পেটে রেখে

অপারেশন করলে বাচ্চার ক্ষতি হবে।

চলবে.।

বিষয়: বিবিধ

২০৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File