জীবন থেকে নেয়া।
লিখেছেন লিখেছেন কবিতা ২১ জুন, ২০১৩, ০৭:৩০:১৯ সন্ধ্যা
হঠাৎ করেই সামিয়ার বিয়ে হয়ে যায়।ছেলে সুইডেনের ষ্টক হুম ইউনির্ভাসটিতে পড়ে সাথে ছোট একটা জব করে।নাম শিহাব।বিয়ের কয়েক দিন পরেই শিহাব সামিয়ার জন্য সুইডেন এ্যামবাসীতে এ্যপলিকেশন করে রেখে শিহাব সুইডেন চলে আসে।১মাস পর সামিয়াকে সুইডেন এ্যামবাসী থেকে ইনটারভিউ এর জন্য ডাকে।তার ৩সপ্তাহ পর সুইডেন এ্যামবাসী থেকে সামিয়াকে ফোন দিয়ে বলে তোমার ভিষা হয়েছে তুমি পাসপোর্ট নিয়ে এসে ভিষা লাগাই নিয়ে যাও।এ খবরে সামিয়া অনেক খুশী ও আনন্দিত।সে তার স্বামীর কাছে আসবে ।সে ইউরোপে আসবে।
পাসপোর্টে ভিষা লাগানো ,টুক-টাক কেনা কাটা ও আত্বীয়।স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাত করে ১৫ দিনের মাথায় জানুয়ারীর ২৫ তারিখ সামিয়া অনেক আশা অনেক স্বপ্ন নিয়ে সামিয়া প্লেনে উঠে।এতদিন শুধু শিহাবের কাছে সুইডেনের গল্প শুনেছে ,সুইডেন অনেক শীতের দেশ,অনেক সুণ্দর ,পরিস্কার -পরিচ্ছন,মশা মাছি নাই, কখনো কারেন্ট যায় না।কখনো পানি যায় না,কোন ট্রফিক জ্যাম নেই ।এখানকার লোক জনও অনেক ভাল । প্লেনে বসে এসব কথা ভাবতেই সামিয়া আনন্দে পুলকিত হয় এতদিনের শুনা কথা গুলো তার জীবনে বাস্তব হয়ে দেখা দিবে সে নিজের চোখে সব দেখবে।
এসব কিছু ভাবতেই ভাবতেই এক সময় সামিয়ার প্লেন সুইডেনের অরলান্ডা এয়ারপোর্টে অবতরন করে।
প্লেন থেকে বের হয়ে এয়ার পোর্টে এমিগ্রেশনের কাজ সেরে সামিয়া বের হয়ে এসে দেখে শিহাব তার জন্য ফুল হাতে অপেক্ষা করছে।শিহাবকে দেখে সামিয়া যেমন খুশী হয় তেমনি একরাশ লজ্জা সামিয়ার চেহারায় দোলা দিয়ে যায়।খুশী খুশী মনে ভীরু ভীরু পায়ে সামিয়া শিহাবের সামনে এসে বলে, আসসালামু আলাইকুম ।
শিহাব,ওয়াআলাইকুম আসসালাম ।তুমি কেমন আছ?
সামিয়া লজ্জা জড়ানো কন্ঠে বলে আমি ভাল আছি।
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন