তোমার হৈ-হল্লার কবরে আমার নীরব-অপরাজিতা ঝরে পড়ে ( ১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫)
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ১৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:০০:১৩ বিকাল
আমার আনন্দদিনে তোমার শোকের দিন হতেই পারে
আমার আনন্দগানে তোমার কষ্টকাব্য চলতেই পারে;
- এটুকু মানলে কারো লস নেই, দুজনারই লাভ!
আমার সুখ-বসন্তে তোমার অনন্ত-অসুখ হতেই পারে
তোমার মৃত্যুদিনে আমার জন্মলাভ হতেই পারে;
- এটুকু মানলে নো টেনশন, উইন উইন সিচুয়েশন!
আমার আনন্দসীমায় তুমি আসবে না!
অথবা তোমার শোক-সীমান্তে আমি যাবো না!
একে অপরের মুখ দেখবো না, ছায়া মাড়াবো না!
- না না, তা কী করে হয়!
এটাতো সভ্য-সমাজের উদাহরণ নয়!
অন্যান্য দিনের মতো এটিও একটি দিন মাত্র
এবং যেহেতু আমরা কেউই দিনের গায়ে
আনন্দ-উল্কি অখবা শোকস্মারক লাগাতে পারছি না;
এবং যেহেতু দিনের গায়ে লেখা যাচ্ছে না
'আজ শুধু শোক' অথবা 'আজ আনন্দ শুধু'
কার লাভ এই কাদা ছোড়াছুড়িতে---
তোমার শোকে আমিও সমব্যথী!
আমার আনন্দে তুমিও হও সমসাথী!
শুধু তোমার সম্মানে-
আমার আনন্দের পতাকা না হয় অর্ধনমিত রাখবো!
আমার আমোদের কেক না হয় ছোট করে কাটবো!
আমার আহ্লাদের বেলুন না হয় কম কম ফুলাবো!
আতশবাজি-পটকা-রং না হয় বাদ দিয়ে দিবো,
আমিষ কমিয়ে না হয় ভেজ দিয়েই লাঞ্চ করবো,
লাল বাদ দিয়ে না হয় শুধু নীলফুলের তোড়া কিনবো
শুভার্থী-অতিথিদের বলে দিবো আস্তে হাততালি দিতে
তবু বন্ধু,
আমার জন্মদিনে শুভেচ্ছা তোমাকে
তোমার হৈ-হল্লার কবরে আমার নীরব-অপরাজিতা ঝরে পড়ে
বিষয়: সাহিত্য
৮৮৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জোড় করেও শোক করতে হবে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন