টোনা-টুনির গল্প শোন-৫
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ০২ জুলাই, ২০১৫, ০৫:৪৭:৩৪ বিকাল
এক ছিল টোনা আর এক ছিল টুনি। গল্পগুলো সবারই জানা তবু নতুন করে শুনি।
কাগুজে জঙ্গীবাহিনীর কাছ থেকে কাগুজে হুমকী আসার পর টোনার আগে-পিছে পুলিশী প্রটেকশন, এই নিয়ে টুনির ঘরে পালপিটিশন, এবং ভার্সিটিতে নতুন পারমুটেশন, কম্বিনেশন। নতুন মৈত্রী, নতুন মেরুকরণে কানকথা একাডেমীর গুরুত্ব বেড়ে গেল।
এই ভার্সিটিতে ভিসিগিরি করতে হলে টোনা-টুনির কথামতো চলতে হবে; দলমত নির্বিশেষে এতবছর এই হয়েছে, এখনও তাই হতে হবে। কিন্তু পরিপাটি পুষ্টিভিসিকে কিছুতে মানানো যাচ্ছে না, তিনি তার হৃষ্টপুষ্ট হৃদয় দিয়ে সবাইকে তুষ্ট করছেন; এতে অন্যদের মন রেষ্ট পেলেও রুষ্ট হচ্ছেন তেনারা। রুষ্টচিত্তকে ঠান্ডা করার জন্য নিউজ-আইটেম হওয়া দরকার, মিডিয়ায় মুখ দেখানো দরকার; আর এসবই সম্ভব এক ঢিলে দুই পাখি মারলে! ভিসি-খেদানোর ক্রেডিট হিসেবে একটা নতুন সিভি-আইটেম বাড়ানোর জন্য এবার টোনা-টুনি উঠেপড়ে লাগলো এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের বাধ্য করা হলো পালাক্রমে বসে থাকতে। কয়েকজন অতিউৎসাহীকে পাওয়া গেল যারা নিজেদের ক্লাশ-পরীক্ষার ডিউটি, বিভাগীয় মিটিং ফেলে, শিক্ষক পদ ভুলে গিয়ে ভিসি-অফিসের গেটে দারোয়ানের মতো শিফটিং ডিউটি করা শুরু করলো। আন্দোলনকারীদের মাথায় হাত দিয়ে টোনা-টুনি বুঝান, আরেকটু ধাক্কা মারতে পারলেই ভিসি কাত হয়ে যাবে, তখন যে যা চাইবে তাই দেয়া হবে। আন্দোলনে ভর এবং বেগ বাড়ানোর জন্য একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হলো, কিন্তু তাতে মনে হলো কয়েকজন শ্বেতীরোগীর শাদা শাদা বিষোদগার ছাড়া কিছু নেই! টোনার টনিক প্লাস টুনির ওমে আন্দোলনের পানি গরম হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের পিঠে হাত দিয়ে টোনা-টুনি বুঝান, সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথাবার্তা চলছে, সবুজ-সংকেত আসলো বলে! কমতে থাকা আন্দোলনকারীদের জন্য বাসায় বানানো ফ্রুটকেক নিয়ে আসেন টুনি, নতুন কল্পকাহিনী নিয়ে আসেন টোনা, নেক্সট ভিসি কে হবে (অবশ্যই আমাদের মাঝে কেউ) আমরা এখন সেটা নিয়ে কথা বলতে পারি--- জমছে না তবু!
আর শুধু আন্দোলনকারীদের পায়ে হাত দেয়া বাকি, টোনা-টুনি কী সেই ঝুঁকিটা নিবে নাকি নতুন ফাঁদ পাতবে? সে উত্তরটা পরবর্তী গল্পের অংশ হোক!
টোনা-টুনি টুন টুনালো
কিছু মাস্টরের নাক কাটালো!
বিষয়: বিবিধ
১৫৩১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বোধহয় এইবার ঠ্যাং কাটা যাবে!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন