শাবি ক্যাম্পাসে ফলদ-চারা রোপনের এখনই ভালো সময়
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ১০ জুন, ২০১৫, ০৫:৫৬:১২ বিকাল
বছর দুয়েক আগে এ বিষয়টা নিয়ে একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম ফেসবুকে; লেখাটিতে শিক্ষার্থী-সহকর্মীদের কাছ থেকে অনেক সাড়া পেয়েছিলাম। ব্যস ওইটুকুই--- কিন্তু এরপরে আর নিজেও উদ্যোগী হতে পারিনি বা কেউ উদ্যোগী হয়ে এগিয়েও আসেনি। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে একটা কিছু হবে; কারন এবার আওয়াজ উঠেছে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-সংবাদপত্রের প্রতিনিধি সব পর্যায় হতে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগ কখনও বিফলে যায় নি।
ইতোপূর্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কয়বার বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রী/প্রেসিডেন্ট এ্যাওয়ার্ড পেলেও সেসব বৃক্ষরোপনে আন্তরিকতা ছিলো না। সংখ্যাবাড়ানোর তাগিদ ছিলো বলে নার্সারীর পলিথিন/মাটির হাঁড়িসহ কোনরকমে গুজে দেয়া হয়েছে। এতে অবশ্য ভালই হয়েছে অপকারী অনেক আকাশী, শিশু, ইউকেলিপ্টাস চারা অবস্থায়ই মারা গেছে। এসব গাছে না ফোটে ফুল, না ধরে ফল; বাসা বানানো দূরে থাক কোন পাখি বসেও না এসব গাছে। শুনেছি, এসব গাছ নাকি অক্সিজেন নেয় আর কার্বন ছাড়ে বাতাসে এবং মাটি হতে প্রচুর রস শুষে নেয়, যার ফলে এসব গাছের নিচে অন্য কোন গাছ বেড়ে উঠতে পারে না। এসব গাছ নামের বিষবৃক্ষ পর্যায়ক্রমে কেটে ফেলতে হবে!
০২.
তার সাথে আমার সরাসরি সাক্ষাতের কথা মনে পড়ে না; কিন্তু এক কিলোতে হাঁটলেই মামুন স্যারের কথা মনে হয়: শুনেছি তিনি নিজ হাতে জারুল, মেহগনি, কড়াই গাছগুলো লাগিয়েছিলেন। এবার আমি এবং আমরাও নিজ হাতে আমাদের নেঁড়া-টিলাগুলোতে আম, জাম, কাঁঠাল, ডেউয়া, কাউ, আতাফল, করমচা, লুকলুকি, লটকন, তাল, খেঁজুর, নারকেল গাছ লাগাতে চাই!
০৩.
শাবিপ্রবির সকল শুভানুধ্যায়ীর সমর্থন এবং অংশগ্রহণ কামনা করছি!
বিষয়: বিবিধ
১০৩৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রতি বছর বৃক্ষরোপন সপ্তাহ এর নামে যে পরিমান গাছ রোপন করা হয় তার কয়টা পরবর্তি বছর পর্যন্ত বাঁচে তার কোন হিসাব্ নাই। আর ইউক্যালিপটাস এর মত পরিবেশ বিদ্ধংসি গাছ লাগিয়ে রাষ্ট্রিয় পুরুস্কার পায় কেউ কেউ!!অথচ দেশিয় গাছ অনেক কম যত্নে বেড়ে উঠে এবং পাখি,মেীমাছির আবাস ও খাওয়ার এর ব্যবস্থা করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন