আজ আসলে শোক দিবস
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৮:৪৭:২৩ রাত
বাংলাদেশে স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পর যেহেতু বহুত মুক্তিযোদ্ধা আছে অনেক রাজাকারও থাকতে পারে কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষের-বিপক্ষের শক্তি থাকতে পারে না, এটা নিছক আওমী এজেন্ডা। পানি ঘোলা করে মাছ ধরার কায়দা এরা ভালই রপ্ত করেছে। ক্ষমতায় একবার আসলে এদের আর নামতে ইচ্ছে হয় না, এটা ঐতিহাসিক সত্য হয়ে গেছে! স্বাধীনদেশে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের প্রশ্নটিই অবান্তর মনে হয়। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার আমাদের দেশে 'জয় হিন্দের' মত করে জয় বাংলা, এবং পাকিস্তান জিন্দাবাদের মত করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ তৈরি হয়েছে; কিন্তু দেশপ্রেম তৈরি হয়নি এসব স্লোগানকারীদের বুকে!
ঠিক যেমন করে মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকার আছে, স্বাধীনদেশে সার্বভৌমত্বের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তিও আছে। গত বেয়াল্লিশ বছরে বিডিআর-পিলখানার ঘটনা হচ্ছে এদেশের সার্বভৌমত্বের উপর সবচেয়ে বড় আঘাত । এদেশকে ন্যাচারাল করিডোর বানানো, ছুঁতানাতা ইসুতে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা, ভূমি জরিপের নাম করে বাংলাদেশের জমি দখল -এসবই সম্ভব হয়েছে বিডিআরকে খোঁজা বানিয়ে বর্ডার গার্ড বানানোর মাধ্যমে। আজ পিলখানা ট্রাজেডির চার বছর পূর্তিতে শাহবাগী-মুক্তিযোদ্ধারা এ বিষয়টা নিয়ে একটি কথাও বললেন না! পিলখানার নিহতদের স্মরণে কোন কাভারেজ দিচ্ছে না চেতনা ব্যবসায়ী মিডিয়াগুলোও !
গত কয়েক দিনে যা ঘটছে দেশে তা একটা স্বাধীন দেশে কতটা কাম্য? প্রশ্নটা করছি কারন, সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভোগী পুলিশ বিকল্প ব্যবহার না করে শত্রুর মত গুলি ছুঁড়ছে মুসল্লী ও কওমি মাদ্রাসার ছাত্র এবং নিরস্ত্র আমজনতার উপর, মারা গেছে অনেকেই- কিন্তু এরা আওমী লীগ করেনা বলেই ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্টিং খবর হতে ব্লাক আউট! একদিকে শাহবাগী-মুক্তিযোদ্ধাদের অহিংস আন্দোলন, অন্যদিকে পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ । অথচ এদেশ যদি আবারও কোন বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে সবচেয়ে বেশী প্রতিরোধ-যোদ্ধা বের হয়ে আসবে এই সাধারণ মানুষের পরিবার হতেই । মোস্তাফিজুর রহমান নামে আমার এক ফেসবুক ফ্রেন্ড যেমন বলেছেন, 'ফার্মের মুরগী দ্বারা ভোজ-উৎসব, নাচা-গানা হতে পারে কিন্তু যুদ্ধ হয় না ।' এত সুন্দর উদাহরণে আমি সহমত না হয়ে পারলাম না! ধন্যবাদ মোস্তাফিজ, আপনার লেখাটা পড়ে আমারও লিখতে ইচ্ছে হল!
বিষয়: রাজনীতি
৯৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন