ফ হইতে প
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ২১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:২৫:০১ বিকাল
এক হাতে তালি না বাজলেও ঢোল ঠিকই বাজে, এবং ঢোলের আওয়াজ তালির চেয়ে অনেক বেশি হয়। ঢোলের বাড়ি শুনে- ‘ফ’ দিয়ে যে ফুরফুরে পতঙ্গটি আছে, মানে নাচুনে ফড়িং নাচতে শুরু করলো ঘাস হতে ঘাসে। জমে ভারি হওয়া শিশির টুপটাপ পড়তে লাগলো মাটিতে। একটা ফোঁটা পড়লো ‘ব’- অক্ষরে যে উভচর প্রাণীটির নাম সেই ব্যাঙের গায়ে, বেচারার আরামের ঘুম ছুটে গেলো। ফড়িংয়ের দিকে চোখ রাঙিয়ে বললো-
ঃ জানিস না আমার সর্দি, কয়দিন ধরে নোজ রান করছে। তুই আরও রোগ বাড়িয়ে দিচ্ছিস!
কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সে ফড়িংটাকে গপ করে গিলে ফেললো। কিছুক্ষণ পরে আকাশে কালো মেঘ দেখে ব্যাঙ গাল ফুলিয়ে ডাকতে শুরু করলো- কণ্ঠে ভাওয়াইয়া আর হেভি মেটালের লিরিক্স। এমন ধুমধাম পরিবেশে ‘স’- অক্ষরে যে সরিসৃপ, মানে সাপ সাহেব খুব বিরক্ত হলো; ডিমে তা দিতে দিতেই গলা বের করে জিজ্ঞেস করলো-
ঃ নতুন গান বানছো?
ঃ ইয়েস।
ঃ কেউ কি শোনে?
ঃ ইয়েস ইয়েস!
ঃ তাইলে আমারেও শুনাও
ঃ অফ কোর্স
আবার শুরু হলো কান ঝালাপালা করা জ্বালা। ভালো শোনা যাচ্ছে না বলে সাপ ব্যাঙকে গর্তের কাছে এসে গান শোনাতে অনুরোধ করলো। মুগ্ধ শ্রোতা পেয়ে ব্যাঙ লাফাতে লাফাতে একেবারে গর্তের মুখে এসে বসলো। এই মওকা ছাড়ার মতো বোকা সাপ নয়। এক ছোবলে ধরে ফেললো ব্যাঙের ঠ্যাঙ, তারপর আয়েশ করে খেলো।
পরের দিন সকালে সুন্দর রোদ উঠেছে। রোদ পোহানো এবং একটু ঘুরে আসার জন্য সাপটি বাইরে বের হলো। পড়বি পড় মালির ঘাড়ে; বের হয়েই একেবারে ‘ঈ’ দিয়ে যে পাখিটির নাম সেই ঈগলের সামনে। ঈগলের তীক্ষèকন্ঠ-
ঃ দিলি তো দিনটাকে মাটি করে, আজকে দিনটাই বাজে যাবে।
ঃ সরি স্যার! আমি ঠিক বুঝতে পারি নাই।
ঃ ওসব সরিটরি বলে কাজ হবে না শাস্তি তোকে পেতেই হবে।
ঃ ...
এই বলতে না বলতেই ঈগল সাপটাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেলো ‘প’ দিয়ে যে গাছের নাম, সেই পাকুরের ডালে। ঈগল ছানারা খুব মজা করে খেলো সাপের তাজা মাংস।
একটা ছিলো মেষ
আমার গল্প শেষ!
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার গল্প শেষ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন