জাপানের হাইকু-কবিতা
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:৪৯:০২ সকাল
ঐতিহ্যগত জাপানী কবিতার গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম ধারা হচ্ছে হাইকু। যেহেতু সুদীর্ঘকাল ধরে এ ধরণের কবিতা বিভিন্নজনের হাতে অনুশীলিত হচ্ছে তাই অঞ্চলভেদে অনেক আগে হতেই ‘হাইকু’, ‘হক্কু’ এবং ‘হাইকাই’ তিনটা সম্পর্কিত প্রত্যয় নিয়ে বিভ্রান্তি প্রচলিত। ‘হক্কু’র শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ‘প্রারম্ভিক পংক্তি’, আর ‘হাইকা’ হচ্ছে ‘দীর্ঘতর/মূল পংক্তি’। পুরাতন হাইকু-লেখকদের মধ্যে র্যনুসুকি, মাটসু বাসো, ইটসুজিন, হাশিন, ইসা, শুসোন কাটো, কোজো, কিজো মুরাকামি, কৌসি তাকাহামা প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এর আকার-আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য অনেকটা আমাদের লোকসাহিত্যের বচনের মত (উদাহরণস্বরূপঃ খনার বচন)। বর্তমানে হাইকু ১৭-শব্দাংশের (সিলেব্যল) একটি পংক্তি যা গঠিত হয় তিনটি, যথাক্রমে ৫-৭-৫ সিলেব্যলে, পরিমাপগত এককে।
বাংলাভাষাভাষীদের কাছে ইংরেজী-ফরাসী-আরবী এ তিন ভাষার কবিতা ঘুরেফিরে বেশি এসেছে। জনপ্রিয় এ ধারাত্রয়ীর সাথে তুলনা করলে জাপানী ভাষার কবিতাকে দৃশ্যত প্রবাহ বলে মনে হবে না। যথেষ্ট অনুবাদ না হওয়ার ফলেই এমনটি ঘটেছে, অথচ জাপানের সাথে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ একবারে অল্পদিনের নয়। আশার কথা, বাংলা সাহিত্যের পাঠক-পাঠিকাদের কাছে জাপানী সাহিত্যের ধারাকে জনপ্রিয় করার জন্য বেশ কয়েকজন নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আগ্রহীরা সংগ্রহ করে উপভোগ করুন, গুগলে সার্চ দিলে বেশ কিছু ইংরেজী অনুবাদ পেয়ে যাবেন।
বিষয়: বিবিধ
২০৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন