লুঙ্গিবাবার তৃতীয় আবির্ভাব হবে সুরমা নদীর তীরে

লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ০৮ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:২৫:০৮ সকাল

টিভিতে ইদানিং একটা লুঙ্গির বিজ্ঞাপন দেখে খুব হাসি পায়। পোশাক প্রদর্শনীর এক পর্যায়ে বাঙালী দামাল ছেলেরা লুঙ্গি পরে দৃপ্ত পায়ে কুচকাওয়াজ করে বিদেশী বিচারককে স্যালুট জানায়। ছোটবেলায় আমার এক পাড়াতো দাদুর মুখে লুঙ্গি আবিস্কারের কাহিনী শুনেছিলাম; উনি বেশ বানিয়ে বানিয়ে বলতে পারতেন। আমি চেষ্টা করছি, তবে তার মত পারব না নিশ্চত। অনেক বছর আগে তখন নাকি পুরা পৃথিবী একটামাত্র দেশ ছিল এবং এর রাজধানী ছিল আলগীরচর যা এখন আলগাতে আলগাতে আর অবশিষ্ট নেই। এই আলগীরচরের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শ্রীমান কেহেরমান খোদারদান হুরে হুর ইবনে মহাগুর ওরফে জিন্দারত্ন তার প্রথম জন্মে (সঠিক সময় নিয়ে মনীষীদের মতবিরোধ আছে, তবে এ বিষয়ে সবাই একমত যে এটা ছিল প্রাগৈতিহাসিককালে) প্রথম বারের মত লুঙ্গি আবিস্কারের ঘোষণা দেন। এতে করে সুবে বাংলার দামাল ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, এবং আলগীরচরের জিন্দারত্নকে আলগীয়ে নিয়ে আসে কোলকাতায়; নামকাওয়াস্তে বিচারের পর তাকে টেনে হিচড়ে লুঙ্গিছাঁড়া করে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলা হয়। এতে তার সলীল সমাধী ঘটে। এরপর খৃষ্টপূর্ব ৩৫০০ সালে বার্মার আরাকান রাজ্যে জিন্দারত্নের দ্বিতীয় জন্ম হয়। তিনি লুঙ্গিপুত্র নামধারণ করেন এবং আবারও তিনি লুঙ্গির সুবিধা, ব্যবহার এবং তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। বিদ্রোহী বার্মীজরাও তাকে ভালোভাবে নেয় নি, এবং তার চুল কেটে মাথায় গাধার গু ঢেলে রাজ্য হতে বের করে দেয়। এত অপমানে তিনি গলায় লুঙ্গি বেঁধে আত্মহত্যা করেন। তার নাম হয়ে যায় লুঙ্গিবাবা। গণকেরা ধারণা করেন যে, লুঙ্গিবাবার তৃতীয় আবির্ভাব হবে সুরমা নদীর তীরে। সময়টা নিদৃষ্ট না করা গেলেও এবার তিনি পেটেন্ট এবং কপিরাইট নেবার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে লড়বেন বলে ভবিষ্যদ্বানী করেছেন গণকেরা।

বিষয়: বিবিধ

৮৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File