ধর আর ছাড়ঃ এ কোন খেলা
লিখেছেন লিখেছেন দিন যায় ১২ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৩৭:৪৭ বিকাল
গতকাল বিএনপি অফিসে পুলিশী অভিযান এবং তার পূর্ববর্তী সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের (!) পুরোটা দেখার সুযোগ হয়নি, কিন্তু যতটুকু দেখেছি তাতে ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার প্রশংসা করতেই হয়। মূহুর্তেই মনে পড়ে যায় '৯০-তে শায়খ আব্দুর রহমানকে কব্জা করার জন্য পরিচালিত অভিযান এবং মিডিয়ার স্বতঃস্ফুর্ততার কথা। আমরা যারা বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি দেখে আর হাঁফিয়ে উঠি না, তাদের জন্য এরকম বৈচিত্রময় চিত্র একঘেঁয়ে জীবনে ঘরে বসে বিনে পয়সার উৎকৃষ্ট বিনোদনের বটে। যদিও বেশ কিছুদিন যাবত এটা নিত্যকার ঘটনা। সমস্যা যা হয় - ছোট ছোট অবুজ বাচ্চাদের নিয়ে। আমার তিন বছর চার মাসের বাচ্চাটা গতকাল টিভির দিকে অনেক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবদারের সুরে আমাকে বলল- 'বাবা, আমিও তোমার চাথে এতা খেলব'। উপায়ান্ত না দেখে আমি বাংলার বাংলা চ্যানেল পরিবর্তন করে ইন্ডিয়ান জিওগ্রাফীক চ্যানেল দেখতে আর দেখাতে থাকি। থাকুন না হিংস্রতা - জন্তু-জানেয়ারের, মানুষে মানুষে অন্ততঃ নয়।
আমার বাচ্চাকে আমি সামর্থ্য অনুযায়ী অনেক খেলনাই কিনে দিয়েছি, কিন্তু আজ অব্দি পিস্তল, বন্দুক - এ ধরণের কোন খেলনা কিনে দেই নি এবং দেবোও না।
রাখি এসব। অন্য কথায় আসি।
বিএনপি-র বাঘা বাঘা সব নেতা গতকাল ইঁদুরের মত ধরা পড়ার ভিডিও চিত্র আমরা সবাই দেখলাম। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-র পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনায়ও মেতে উঠেছেন অনেকে, এমন কি টক-শো গুলোতেও। অনেকে আবার আজকের হরতাল নরম, গরম ইত্যাদি হবে বলেও মন্তব্য করেছেন। গণতান্ত্রিক দেশে এরকম মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু শৈরতন্ত্রের মত নেতাদের ধরছেনই বা কেন, আবার ছাড়ছেনই বা কেন? মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলার গণতন্ত্রমনা মানুষ চায় অপরাধী সে যে দলেরই হোক গ্রেফতার করো, শাস্তি দাও - নিরপরাধীকে নয়। গতকালের বাঘা বাঘা নেতাদের তবে কি কোন দোষ নেই? আর যদি দোষ না-ই থেকে থাকে, তবে ঘটা করে ধরারই বা দরকার কি ছিল?
আমরা কি পারি না - অতীত রাজনীতির ষড়যন্ত্রের খেলাগুলো ভুলে গিয়ে পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যেতে! ধর্-ছাড়্ খেলা বন্ধ করতে!
বিষয়: বিবিধ
১০৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন