কম্যুদের স্বপ্ন আর লাভের গুড়
লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ রিজভী ৩১ মার্চ, ২০১৩, ০৮:০৪:৫৭ রাত
এত লাফালাফি ঝাপাঝাপি আর মিডিয়া কাভারেজের পর কি হইল ? বলিতে হয় অশ্ব একখান সেইরোম ডিম্ব প্রসব করিলো । বোকচোদা বামরা আজীবন রামছাগল ছিল আছে থাকবে । এই ছাগলেরা সবকিছু গোছাইয়া আইনা যখনি খাইতে যায় তখন দেখা যায় সব কিছুর মাঝে তালগোল পাঁকাই ফেলছে । মুজিব আমল থেকে শুরু করে হাল আমলের শাহবাগ পিকনিক পর্যন্ত এদের একই অবস্থা । মুজিব আমলে মণিসিংয়ের কম্যুরা মুজিবের উপর এমনভাবে সাওয়ার হইছিল যার ফলে মুজিব স্বপরিবারে বিদায় নিল । মুজিবের বিদায়ের পর জাতীয় সুবিধাবাদী দল জাসদের কর্ণেল তাহের জিয়ার ঘাড়ে ছাওয়ার হইয়া কম্যু বিপ্লবের স্বপ্ন দেখিল কিন্তু সব যখন হাতের নাগালে আসিতেছে আসিতেছে ঠিক তখনই জিয়া তাহেররে এমন এক্কান আছাড় মারিল যে তাহের অক্কা পাইল আর জাসদের স্বপ্ন স্বপ্নই থাকল বাস্তব হইলনা । এর বহুদিন পর কম্যুরা আরেকবার সুযোগ পাইল যখন গোলাম আযম দেশে ফিরিল । বহুদা বিভক্ত কম্যুরা সব ভেদাভেদ ভূলিয়া একযোগে হুক্কাহুয়া চিক্কর দিয়া ঘাদানিক গঠন করিল এবং দখলকৃত মিডিয়ার কল্যাণে এক্কান মস্ত আন্দোলন গড়িয়া তুলিল । ওদিকে মৌসুম ছিল নির্বাচনী তাই গাছেরটা, তলেরটা ও কান্ডেরটা খেতে পটু স্বাধীনতার একমাত্র সোল এজেন্ট আওয়ামীরা ইহাকে সমর্থন জানাইল সেইবার বেশ কিসুদিন আন্দোলনের গিয়ারটা কম্যুদের হাতেই থাকিল । কিয়তকাল পরে আওয়ামী জননেত্রী যখন বুঝিলেন যে ঘাতক দালাল নির্মূলের নামে তারে টপকাইয়া রাজনীতিতে জাহানারা ইমাম আগাই যাইতাছে ঠিক তখনি তিনি তার ক্যারেশমা দেখাইলেন । তার বাবার মত ভূল না কইরা সংসদে আওয়ামীলীগ, জাশি ও জাতীয় পার্টির আমীর ঘোষণা দিয়া এবং একই সাথে জাশির সহিত প্রকাশ্য দিবালোকে ছোহবত কইরা জাহানারারে সিস্টেমে এমন এক্কান লাত্থি মারলেন যে আবারো কম্যুদের বহুদিনের স্বপ্ন আছাড় খাইয়া পটল তুলিল, ফলে কম্যুরা এইবারও চরম হতাশয়ায় নিমজ্জিত হইল সাথে সাথে ঘাদানিক আন্দোলন উষ্ঠা খাইয়া মৃত্যুবরণ করিল, চামে রাজনীতিতে লাভের গুড় জাশিরা পকেটে পুড়িল । এরও বহুদিন পর কম্যুদের হাতে আরেক্কান চান্স আসিল । সেইডা কি ? সেইডা হইল আদালতের এক্কান রায়কে পুঁজী করে "ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট" নামের আড়ালে বামপন্থী ছাগ ছানাদের দ্ধারা সৃষ্ট পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল আন্দোলন; শাহবাগ আন্দোলন । যাহা সরকারী পৃষ্টপোষকতায় দীর্ঘকাল ব্যাপী চলিল । প্রথম দিকে আন্দোলনের রশি কম্যুদের হাতে থাকলেও রাজনীতিতে কম্যুদের আব্বাহুজুর আওয়ামীলীগ সিস্টেমে ইহা কাড়িয়া লইল তবে ইতিমধ্যে এর দ্ধারা এক ঢিলে বিডিআর হত্যা, সীমান্ত হত্যা, সাগর রুণী হত্যা, বিশ্বজিত হত্যা, ইলিয়াস আলীসহ বিরুধী নেতা কর্মী গুম ও হত্যা, শেয়ারবাজার কেলংকারী, এমএলএম কেলংকারী, কালো বিড়াল কেলেংকারী ,পদ্মা সেতু কেলেংকারী, হলমার্ক কেলেংকারী, ট্রানজিট, টিপাইমুখ ও বিরুধীদের তত্ত্ববধায়ক সরকার পূণর্বহালের দাবীসহ বহু পাখি শিকার করিতে সক্ষম হইল । কিন্তু এর আগে বাম গাঁধাগুলার নাকের সামনে এক্কান মস্ত মুলা বাইন্দা দিল । মুলাটা কি ? মুলাটা হল ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই । সরকারও আদালতের মাধ্যমে একজনার ফাঁসির আদেশের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে দাবী মানিয়া লইল । ফলে মাথামোটা বামরা ভাবিল এইত সুযোগ অসমাপ্ত বিপ্লব সমাপ্ত করিবার ! তাই তারা নিত্য নতুন দাবী তুলিতে লাগিল । উহা কি ? উহা হইল বাম গ বহুদিনের দাবী ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ কর, এরও পরে জাশি নিষিদ্ধ কর, অমুক ব্যাংক তমুক প্রতিষ্ঠান বন্ধ কর বন্ধ কর ইত্যাদি ইত্যাদি । অপরদিকে চতুর আওয়ামীরা ভাবল এই আন্দোলন নাটককে টেনে টুনে কোনমতে নির্বাচনতক নিতে পারলেই কেল্লা ফতেহ ! তাই আন্দোলনকে যতটা সম্ভব ফুলইয়া ফাফাইয়া মহান করিয়া তুলিবার স্বার্থে দালাল মিডিয়া দিয়া কাভারেজের ইন্তেজাম করা হইল । কিন্তু মাঝখানে গণেশ উল্টিয়া গেল । কেমনে ? থাবা বাবা দূর্বিত্তের চাপাতির কোপে অক্কা পাইল । থাবা বাবা ! এইটা আবার কে ? ঐ যে, “ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিষ্টের” আবরণধারী এক নাস্তিক বাম ছানা । ওয় মরছে ত কি হইছে ? কি হয় নাই ! দালাল মিডিয়া ওর মৃত্যুর সাথে সাথে প্রচার করিল ইহা জাশির কাজ । আর যায় কোথায় ! আওয়ামীরা আর আওয়ামীদের ভিতর লুকিয়ে থাকা বাম বলদরা ওরে দ্ধিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ উপাধিতে ভূষিত করিয়া নর্তন কূর্দন শুরু করল । অপর দিকে রাজনীতিতে আওয়ামীদের দাদাহুজুর জাশিরা ইতিমধ্যে এমন এক তুফান ফাড়ি দিচ্ছিল যা তারা ইতিপূর্বে দেখাত দূর কখনো চিন্তাও করেনি এককথায় এই বুঝি অক্কা পায় অক্কা পায় অবস্থা । যাই হোক থাবার মৃত্যু জাশিদের জন্য শাপেবর হইয়া ধরা দেয় । সেইটা কেমনে ? সেইটা হইল অনলাইনে থাবার ধর্ম বিরুধী জঘণ্য কর্ম কান্ড যাহা সুস্থ্য রুচী সম্পন্ন কোন মানুষের পক্ষ্যে চিন্তা করাও অসম্ভব তাহা জণমানুষের কাছে প্রকাশ হইয়া পড়িল ফল হইল দেশে এক্কান এটম বোম ফাটিল । এতদিন যে জাশিরা শাহবাগের জনসমাবেশকে নাস্তিকবাম ও ধর্মদ্রোহীদের কাজকাম বলিয়া দিনরাত প্রচার চালাইতেছিল তাহা যে সত্য ইহা দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ক্লিায়ার হইয়া গেল । আর যায়া কোথায় ? কওমীরা হেফাজতে ইসলামের বেনারে দেশব্যাপী এক দূর্বার আন্দোলনের সৃষ্টি করলে অবস্থা এতটাই ভয়আবহ আকার ধারণ করিল যে আন্দোলনরত বামছানারা দিশা হারাইয়া আবুল তাবুল প্রলাপ বকাবকি শুরু করল । শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারি অনেক বাম ছানা বিভিন্ন গণমধ্যমে নিজেরে স্বাচ্ছা মুমীন মুসলমান প্রমানে ব্যতীব্যস্ত হইয়া পড়িল । ইতিমধ্যে আরেক্কান কান্ড ঘটিয়া গিয়াছে । সেইটা কি ? সেইটা হইল শাহবাগ আন্দোলনে একজন সর্বাধিনায়েকের আবির্ভাব । নতুন প্রজন্মের বঙ্গবন্ধু ইমরান সরকার । এক্কেরে সেইরোম নেতা ! বাপরে ! কি তার সাইজ ! গলার স্বর! বাচন ভঙ্গী! অপর দিকে হেফাজতের ঠেলায় আর জনতার প্রতিরুধের মুখে শাহবাগ আন্দোলন দেশের জেলায় জেলায় অক্কা পাইতে থাকিল । যারা ফাসি চাই ফাসি চাই বলিয়া গলার রগ ছিড়িতেছিল এখন তাহাদেরই ফাসির দাবীতে হেফাজত দেশে উত্তাল ডেউ সৃষ্টি করল । অপর দিকে জাশিরা নিজদেরকে বিপদমুক্ত মনে করিয়া হাফ ছাড়িয়া বাচিল । এখন অবস্থা দৃষ্টে মনে হইতাছে বরাবরের মত লাভের গুড় জাশিদের পকেটেই ঢুকতাছে । আর কম্যুদের স্বপ্ন অধরাই থাকতাছে । তবে শিকড়হীন কম্যুবলদদের স্বপ্ন যে স্থায়ীভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হইতাছে তাতে আর কোন সন্দেহ নাই ।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন