'আওয়ামীদের দ্বারাই সম্ভব -ছেলেকে দিয়ে জোরপূর্বক মাকে ধর্ষনের চেষ্টা -নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক –প্রয়োজন সচেতনতা'
লিখেছেন লিখেছেন উচিত কথা ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৬:৩৫ বিকাল
চোখ বন্ধ করে কোন ঘটনার রিয়ালিটি দেখা না গেলেও ভার্চুয়াল রিয়ালিটিটা অনুভব করা যায় অতি সহজে। কিন্তু সমাজে, রাষ্ট্রে এমনসব কুতসিত, বিভতস, অসভ্য, বর্বর, বিকৃত রুচির পাশবিক ঘটনা ঘটে যা দেখাতো দূরের কথা কল্পনা করলেও গা শিহরিয়ে উঠে। টাঙ্গাইলের কালিহাতির এরকম একটি ঘটনাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে পৃথিবীর অসভ্যতম রাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সোসাল মিডিয়া ইত্যাদি পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার আঠার দানা গ্রামের শ্রমিক আল আমিন এবং কালিহাতী পৌর এলাকার সাতুটিয়া গ্রামের মোজাফ্ফর চেয়ারম্যানের ছেলে রফিফুল ইসলাম রমার স্ত্রী হোসনে আরা তিন মাস আগে পালিয়ে বিয়ে করে। ধর্মীয় কিংবা নৈতিকতার দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এটি একটি গর্হিত অপরাধ হলেও সমাজ, সংসার বা রাষ্ট্রে এটি এবারই প্রথম ঘটেছে ঠিক এমনটি না বরং দেশে প্রতিদিন এরকম অহরহ ঘটনা ঘটে যা কখনও আমাদের নজরে আসে আবার কখনও আসেনা। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুশাসন কিংবা প্রচলিত আইনের বাইরেও এগুলোর অনেক বিচার-শালিসও হয় খুব নিষ্ঠুরভাবে।
কিন্তু টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে যা ঘটল তা এযাবত কালের সব নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা বা অসভ্যতাকে হার মানিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীরা। ঐতিহাসিভাবে কোন নির্মমতা কিংবা বর্বরতার উদাহরন হিসাবে আইয়ামে জাহিলিয়াতকেই উদাহরন হিসাবে টানা হয়। কিন্তু ঐ যুগে ছেলেকে দিয়ে মাকে ধর্ষনের চেষ্টা কিংবা ছেলের সামনে মাকে অথবা মায়ের সামনে ছেলেকে উলঙ্গ করে নির্যাতন করে ছেলের সামনে মাকে ধর্ষন করা হয়েছে এরকম কোন নজির কারো জানা আছে বলে মনে হয়না।
আওয়ামারী দেশটাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইয়ামে জাহিলিয়াতরে চেয়েও নিম্মস্তরে নিয়ে গেছে যার কারনে সর্বশেষ রুবেলসহ ৪ জনকে নির্মমভাবে পুলিশের গুলিতে প্রান দিতে হল। অভিযুক্ত ধর্ষক রফিকুল ইসলাম রমার বড় ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মঞ্জু এবং ভগ্নিপতি কালিহাতী উপজেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান। রমা তার সাঙ্গপাঙোসহ আলআমিন এবং তার মাকে ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমানের বাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে পরে ছেলেকে দিয়ে তার বৃদ্ধ মাকে ধর্ষনের চেষ্টা করানো হয় এবং তা ব্যর্থ হয়ে বিকৃত রুচির রমা তার বোন, ভগ্নিপতিসহ উপস্থিত মানুষের! সামনে আমিনুলের মাকে ধর্ষন করে।
এ ঘটনায় আল আমিনের মা বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম রমা, রমার ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমান এবং কাজী নামের তিন ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা না করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা গ্রহণ করে। ধর্ষক আওয়ামী নেতার ছোট ভাই হওয়ায় এবং কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঐ নেতার বাসায় ভাড়া থাকার সুবাধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা টের পেয়ে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আর তাদের উপর নেমে আসে পুলিশের নির্বিচার গুলি। আওয়ামী বিচার অনুযায়ী ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি এবং পুলিশ সদস্যদের প্রত্যহার করা হয়েছে।
ফেনীতে মা মেয়েকে একত্রে ধর্ষন, সন্ধীপে স্কুল ছাত্রী নাদিয়াকে ধর্ষন করে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়া, সিলেটে শিশু রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে তা ভিডিও করে নেটে ছেড়ে দেয়া, যশোরের মহেশপুরে রয়েল নামক ১১ মাসের দুধের শিশুকে ১৯ ঘন্টা জেল খাঠানো, খুলনায় পাঁচ যুবক মিলে ব্যাংকারকে ধর্ষন এবং ঘরে ঢুকে ধর্ষিতা ব্যাংকার এবং তার বাবাকে হত্যা করা সম্প্রতি এসব অসংখ্য ঘটনা দেখে এসবের কারন জানার জন্য কোন সমাজ বিজ্ঞানী কিংবা মনো বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়েনা। এসবের জন্য যে একমাত্র দায়ী দেশে অনির্বাচিত, অগনতান্ত্রিক এবং অনৈতিক সরকার আর আইনের শাসনের অনুপস্থিতি তা অন্ধ কানা আওয়ামীরা ছাড়া সবাই বিশ্বাস করে। ঘরে বাবা যদি মদ খায় তার কোন নৈতিক অধিকার থাকেনা তার সন্তানদের মদ খেতে বারণ করার। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিরও আজ একই অবস্থা। এই অবস্থা থেকে উত্তরনের জন্য আজ বড় বেশী প্রয়োজন প্রত্যেককে নিজ নিজ থেকে সচেতন হওয়া আর এ অনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে তাকে বিতাড়িত করা, না হয় আজ আমরা যারা ঘটনা অবলকন করে কিংবা শুনে আফসোস করছি তারাও এরকম নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়ে যেতে পারি যে কোন সময়।
___________মম, দাম্মাম, সৌদিআরব
বিষয়: বিবিধ
৬২০০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন