চাল নিয়ে চালবাজি, নাকি মোশাররফ করিমের সেল্ফী নাটক
লিখেছেন লিখেছেন উচিত কথা ২৯ অক্টোবর, ২০১৪, ০১:৪২:০৮ দুপুর
ফুটানীরও একটা সীমা থাকা উচিত। জনবিচ্ছিন্ন সরকারের চাল রপ্তানীর মত চালবাজি দেখে ঈদ উপলক্ষে একটি টিভি চ্যানেলে দেখা সেল্ফী নাটকটির কথাই মনে পড়ে যায়। সেখানে দেখা যায় নায়ক মোশাররফ করিম সারা দিন আকাম কুকাম করে বেড়ায়। আর বউ নিপুনের কাছে সত থাকার জন্য নিজে ঘন ঘন সেল্ফী পাঠায়।বউয়ের কাছ থেকেও সেল্ফী আনতে থাকে।বউটা'র থাকে স্বামীর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস। অপরদিকে মোশাররফ করিমকে যখনই ফোন করা হয় তখনি সে বলে বেড়ায় সে অফিসে মিটিং কিংবা ব্যস্ত আছে।আর এজন্য সে বেছে নেয় অভিনব এক কায়দা। তাহলো অফিসে তার রুমের ব্যাকগ্রাউন্ড সম্বলিত একটি ছবি তুলে বড় আকারের একটি ব্যানার করে নেয়। যখন সে অন্য মেয়েদের নিয়ে বাইরে যায় নিপুনকে সেল্ফী পাঠানোর আগে গাড়ীর ব্যাকডোর থেকে ঐ অফিসের সিনারী সম্বলিত ব্যানারটা বের করে পিছনে টানিয়ে সেল্ফী করে পাঠিয়ে দেয়, আর প্রমান করে সে অফিসেই আছে। এই সরকার আজ যখন দেশ বিদেশে ধিকৃত এবং প্রত্যাখিত তখন তাদের দরকার এরকম অসংখ্য ব্যানার সম্বলিত সেল্ফী। আর এরকম একটি সেল্ফী বা রেকর্ড তৈরীর প্রক্রিয়াই হচ্ছে চাল রপ্তানীর মত একটি ধূর্তামী কারসাজী। বিদেশীদের দেখানো আমরা ভাল সরকার। দেশ শান্তিতে চলছে। আমাদের উতপাদনশীল রাজনৈতিক কর্মসূচীর কারনে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাহিরেও রপ্তানীতে সক্ষম।
অপরদিকে যদি কখনও নির্বাচনের সম্মূখীন হতে হয় তখন জনগনকে ধোকা দেয়া আমাদের সময় দেশের মানুষ ভাল থাকে, দেশে খাদ্যের বিশেষ করে চালের জন্য বিদেশের দিকে চেয়ে থাকতে হয়না। আমরাই একমাত্র সরকার যারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশী চাল রপ্তানী করতে সক্ষম হয়েছিলাম।আর প্রমান হিসাবে দেশের চাহিদা থাকা স্বর্তেও বিদেশে রপ্তানীর করার সিনারী সম্বলিত এই সেল্ফীটি।
বাস্তবতা হলো যে দেশের মোট জনস্ংখ্যার প্রায় ২৫শতাংশ মানুষ এখনও দরিদ্রসীমার নীচে বাস করে। এ ২৫ শতাংশ অথ্যাত চার কোটি মানুষের মধ্যে আবার দু’কোটি মানুষ যাদের পরিচয় তারা চরম দরিদ্র। ক্ষুধা আর দারিদ্র তাদের নিত্য সঙ্গী।কে ধনী, কে গরীব আর কেই বা গরীবেরও নীচে, তা বাদই দিলাম। যদি দেশ এতই চাল সমৃদ্ধ হয়, তাহলে চাল আমদানীর জন্য হাজার হাজর কোটি টাকার এলসি করার কি দরকার ছিল? আসলে হাসিনা সরকার রাজনীতি করতে করতে এমন নিম্ম পর্যায়ে চলে গেছে একমাত্র ধ্বংশ ছাড়া আর এ থেকে বেরুনোর কোন উপায় নেই। চাল রপ্তানীর মত হটকারী সিদ্ধান্ত মানে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার আরেকটি অপকৌশল মাত্র। ভাত মিলেনা তাই বিরানী খাওয়ার মত মনে হলেও এর পিছনে রয়েছে চরম রাজনৈতিক ধূরবিসন্ধি ঐ সেই মোশাররফ করিমের সেল্ফী নাটকের মতো। তবে এখানে আশার কথা হল, সেল্ফী নাটকটির শেষ পরিনতি কিন্তু খুব একটা সুখকর ছিলনা।
________________মম, দাম্মাম, ২৯ অক্টোবর ২০১৪
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই রেকড বাজতে ই থাকবে। আজ আর কেউ বলে না - বাকশালী অপশাসনের কথা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন