পানি এবং জলে প্রার্থক্য কোথায়?

লিখেছেন লিখেছেন উচিত কথা ২৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০২:৩৭:৫১ দুপুর



যাহা পানি তাহাই জল, যাহা জল তাহাই পানি। ইংরেজী water এর বাংলা অর্থ পানি কিংবা জল। আবার একটু বৈজ্ঞানিীক দৃষ্টিকোন থেকে চিন্তা করলে পানি একটি তরল রাসায়নিক পদার্থ। H2O যার রাসায়নিক সংকেত্। একটি অক্সিজেন এবং দুটি হাইড্রোজেন পরমানু মিলে একটি পানি অনু সৃষ্টি হয়। মানুষের ভাষাগত প্রার্থক্যের কারনে এটিকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন এতে মূলত পানি কিংবা জল একই জিনিস। নামের তারতম্যতার কারনে এর গুন, উপাদান, প্রয়োজনীতা কোনটিরই প্রার্থক্য ঘটেনা।এটাই চিরন্তন সত্য।

প্রসঙ্গ সাংবাদিকদেরকে নিয়ে। যদিও দেশের রাজনৈতিক কিংবা সাংবাদিকদের আচরনগত কারনে মানুষ সাংবাদিকদেরকেও বিভিন্ন নামে ডাকতে শুরু করেছে। তবে এমুহুর্তে বাংলাদেশে সাংবাদিক এবং আওয়ামীসাংবাদিক শব্দ দুটিই এপেশার মানুষগুলোর জন্য খুব বেশী প্রযোজ্য হতে দেখা যায়।সাংবাদিকতো সাংবাদিকই তারা আবার আওয়ামী সাংবাদিক হতে যাবে কেন? নিজের পেশাগত অবস্থান, নীতি, নৈতিকতা, আদর্শ, দায়িত্ব ভুলে গিয়ে অতিমাত্রায় আওয়ামীপ্রীতি, নিজের আর্থিক সুবিধা, স্বার্থজনিত কারনে কিংবা অন্যায় আওয়মী রাজনীতির অন্ধ সমর্থন করতে গিয়ে কারনে অকারনে তারা আওয়ামী বিরোধী শক্তির উপর অনেক বেশী চড়াও হন বলেই হয়তো সাংবাদিকের পূর্বে আওয়ামী শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। জনগনও তাদের নাম কিংবা পত্রিকায় অথবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তাদের কোন রিপোর্ট বা আর্টিকেল দেখে সমস্বরে চিৎকার করে বলে উঠে দুর! এতো সাংবাদিক না আওয়ামী সাংবাদিক। জনগনের দৌড় পত্রিকা পড়া কিংবা টিভি দেখা এতটুকো পর্যন্তই। তাই তারা এই অপসাংবাদিকতা দেখেও তাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে কিংবা গনবিরোধী কোন প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিবাদ করবে এরকম সুযোগ খুবই কম এবং অনেকাংশে একেবারে নেই বললেই চলে। আবার দেখা যায় কালেভদ্রে প্রতিবাদের সুযোগ আসলেও তা হিতে বিপরীত্ই ডেকে আনে।তবে আবার বিপরীতটি চিত্র ও আছে সাংবাদিকরা কিছু কিছু উচিৎ কথা কিংবা অতি-তোষামদী করতে গিয়ে ক্ষমতাশীনদের কোপানলে পড়েন।

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা।সাংবাদিকরা আমাদের জাতীর বিবেক।জাতীয়ভাবে না ভেবে নিজের মত করে ভাবলে সাংবাদিকরা আমাদের বিবেকেরও বিবেক। এই পেশা নিয়ে কিছু বলতে বা লিখতে স্বাভাবিকভাবেই নিজের অন্তর-আত্মা কেঁপে উঠে।আমি তাদের সম্বন্ধে লিখবো যাদের দুকলম লেখা পড়ে দুদন্ড জ্ঞান আহরেনর জন্য শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও একটু সুযোগ পেলেই নেটে ডু মারি অথবা রিমোর্টটা নিয়ে এদিক ওদিক টিপে ঘুমের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ি। আর আমি লিখেই বা কি হবে? কে পড়বে? আমার লেখা, আর পড়লেই কি? কে শুনবে আমার কথা? তারপরও লিখব, কারন আমি এ পেশার মানুষগুলোকে অনেক ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি। আমার ভালবাসা আর শ্রদ্ধার মানুষগুলোকে এভাবে অপমান করবে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবে, ছোট করবে -আমি লিখবনা তা হতে পারেনা। আমি লিখবোই, আমি প্রতিবাদ করবোই।

০৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর মূলতঃ শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন এ সরকার অবৈধ হয়ে পড়ে। দেশের সাধারন মানুষের কাছে এদের কোন গ্রহন যোগ্যতা নেই। এমনকি বিদেশেও নির্বাচন পদ্ধতি কিংবা এ সরকার অবৈধ হয়ে পড়ে নৈতিকভাবে। তাই নতুন সরকার কাঠামো গঠন করার পর আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থেকে এ সরকার কার্যতঃ কোন অভিবাদন বার্তা কিংবা স্বীকৃতি পায়নি। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো থেকে বৈধতা পাওয়ার আশায় বিনা দাওয়াতে তাদের দ্বারে দ্বারে ধর্না দিতে নিজ উদ্যোগে সরকারী খরচে বেরিয়ে পড়ে অনির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।আর সফর শেষে নিষ্ফল হাতে দেশে ফিরে আয়োজন করে আওয়ামী সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন।সর্বশেষ যখন ইতালী সফর করছিল তখন ইতালী সরকার তাদের (বাংলাদেশ সরকারের) অমানবিক কাজকে নিরুৎসাহিত করতে বাংলাদেশে বুলেট সরবরাহ করতে অস্বীকার করে। আর অন্যদিকে ২৩ অক্টোবর ছিল গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারে জনমত গড়ে তুলতে বেগম জিয়ার নীলফামারীর জনসভা। বেগম জিয়ার জনসভা যাতে কোনভাবেই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলো লাইভ টেলিকাষ্ট করতে না পারে সেজন্য ইতালী সফরের চার দিন পর গনভবনে আয়োজন করা হয় এক সাংবাদিক সম্মেলন।

সেখানে শেখ হাসিনা ইতালী বিজয়ের বিভিন্ন কল্পকাহিনী সবিস্তারে বর্ননা করেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকরা আওয়ামী ঘরনার হওয়া স্বর্তেও হয়তো তিনি এমন কিছু দেখাতে পারেননি তাই তাকে ধন্যবাদ না জানানোর প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘ সাংবাদিকরা এত কৃপণ হয় তা আমি আগে জানতাম না।’ অবশ্য এ কথাটি ছিল ধন্যবাদ না পাওয়ার বেদনায় বুকভরা কষ্টের হাসিমুখের আত্মপ্রকাশ যা ছিল অনেকটা অপমানে ভরা। তারপর উপস্থিত আওয়ামী সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা বাদ দিয়ে তাকে তোষামদীর পাশাপাশি বিরোধী জোটের আন্দোলন হুমকির কথা তার নজরে আনলে এ বিষয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেন ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের সময় তারা (বিএনপি) যা করেছিল এখন তা করতে পারবে না। তখন একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার ছিল। এখন দেশে নির্বাচিত সরকার আছে। বিনএনপি’কে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, তারা আন্দোলনের নামে দেশের একটি মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক, কি হয়? খুনীদের সঙ্গে কেউ কি আপস করতে পারে? তার পরও তাদের সঙ্গে বসার জন্য এতো আকুলি-বিকুলি কেন? শেখ হাসিনার এ আকুলি-বিকুলি ভাষাকে অনেকে (আওয়ামী ব্যতিত সাংবাদিকরা) অবশ্য পরে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সবচেয়ে নিকৃষ্ট ভাষা হিসাবেই আখ্যা দেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এক আওয়ামী সাংবাদিককে অনেকটা মাঝ পথে থামিয়ে থতমত করে দিয়ে তিনি বলেন ‘হাওয়াভবন ছিল, দুই পয়সা কামানোর সুযোগ ছিল।‘ তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নেই হাওয়া ভবন ছিল সকল দূর্নীতি, অপকর্ম আর অন্যায়ের উৎস কিংবা আশ্রয়স্থল (যদিও বাস্তবে হাওয়া ভবন নিযে যতই অপপ্রচার থাকুক না শেখ হাসিনার দুই মেয়াদের ৬ বছরের সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করেও হাওয়া ভবনের একটি দূর্নীতির ছিটেফোটাও জাতীর সামনে উপস্থিত করতে পারেনি) আর সেখানে যাতায়াত ছিল আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া সাংবাদিকদের। আর সেখানে গিয়ে তারা অবৈধ এবং অন্যায়ভাবে দুই পয়সা কামানোর ধান্দায় লিপ্ত ছিলেন।সাংবাদিকেদের নিয়ে করা শেখ হাসিনার এ তীর্যক মন্তব্যটি ছিল এ যাবৎকালের সাংবাদিকদের নিয়ে করা সবচেয়ে নিকৃষ্ট বক্তব্য। এ বক্তব্যটির কারনে যতনা হাওয়াভবনকে কটাক্ষ করা হয়েছে কিংবা তারেক রহমানকে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশী প্রশ্নবিদ্ধ কিংবা ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে সাংবাদিকতা নামের মহান পেশাটির সততা এবং নৈতিকতা নিয়ে। আমরা যারা লাইভ টেলিকাষ্ট দেখতে ছিলাম তাদের ধারনা ছিল পরের দিন এটি দেশের সবগুলো পত্রিকার হেডলাইন হবে, সারা দেশের সাংবাদিকরা দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সাংবাদিকদের নিয়ে করা এ অপমানসূচক কটুক্তিটির জন্য প্রেসক্লাবে জড়ো হবে। তীব্র এক প্রতিবাদ আসবে জাতীর বিবেক নামক এ সাংবাদিকতা থেকে অবিবেচক অবৈধ সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে।

অথচ কি আশ্চার্য! প্রতিবাদতো দূরের কথা! কি এক মোহনীয় যাদুর কাঠির ইশারায় কোন পত্রিকায়্ই এ খবরটি তেমন ফলাও করে প্রচার হয়নি। এমনকি বেশীরভাগ পত্রিকায় কোথাও তার উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি।

‘বড়ের বড় গুন শুয়ে ঘাস খায়, ছোটের গুমানে(ক্ষোভে)ছাগী (ছাগল)গাছেতে লটকায়।এ কথাটির সাথে হুবহু মিলে গেল আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনা আর তার আরো ক’জন অবৈধ মন্ত্রী কিংবা প্রভাবশালী নেতাদের সাংবাদিকদের নিয়ে করা বিভিন্ন সময়ের মন্তব্যগুলি এবং এগুলির প্রতিক্রিয়াগুলি। প্রধানমন্ত্রী পদধারী ব্যাক্তিটির তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম শক্তিধর বিধায় একজন মহসীন আলী, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, একজন শামীম ওসমানের করা সাংবাদিকদের নিয়ে করা মন্তব্যগুলো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল সারা দেশ জুড়ে সাংবাদিকতো বটেই জনসাধারনেও।

“সাংবাদিকরা হচ্ছে কুকুর। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন পাড়ার অনেকে পয়সা হলে বাড়িতে কুকুর পুষত। ওদের বাড়ির সামনে গেলে কুকুরগুলো মুখ ভেংচাত। এরপর যাদের আরও পয়সা হলো, তারা মিডিয়া পোষা শুরু করল। এগুলো হলো অ্যালসেশিয়ান কুকুর। প্রশিক্ষিত। লাথি দিলেও এগুলো কামড়াতে আসে।“ (প্রথম আলো ২৮ জুন ২০১৪)। সাংবাদিকদের নিয়ে শামীম ওসমান এর এ মন্তব্যটি দেশের প্রতিথযশা সাংবাদিক থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠন সমূহ, সম্পাদক পরিষদ এবং প্রেসক্লাবগুলোর তীব্র প্রতিবাদের মুখে অবশেষে শামীম ওসমান বাধ্য হয় তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে এবং ক্ষমা চাইতে।

অবশ্য তার ক্ষমা চাওয়ার ভাষা ছিল আরো জগন্য। তিনি বলেন ওই কথা বলিনি কেউ কষ্ট পেলে আমি ক্ষমা প্রার্থী। প্রথম আলোর সাংবাদিককে ইঙ্গিত করে বলেন, ঐ সাংবাদিককে আলাপচারিতায় বলি ‘সাংবাদিকতায় নীতি-আদর্শ ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। পত্রিকা আর চ্যানেলগুলো এখন কর্পোরেট হাউস হয়ে গেছে। আগে বড়লোকেরা কুকুর পুষত, এখন পত্রিকা করেন। এ সময় এ সময় আমাকেও বলেন, শামীম ভাই আপনিও দুইটা বের করেন, তাহলে আপনার বিরুদ্ধে যারা লেখে তখন আপনি তাদের বিরুদ্ধে লিখবেন। আমি তখন বলি, আমার এত টাকা নেই। তখন ঐ সাংবাদিক আমাকে হাসতে হাসতে বলেন, শেফার্ড না পারেন দুটি সরাইলই বের করেন।” (বিডিনিউজ২৪.কম ০১ জুলাই ২০১৪)

অবশ্য নারায়নগঞ্জের গডফাদার খ্যাত আওয়ামী এমপি শামীম ওসমানের সাংবাদিকদের নিয়ে করা কটুক্তিগুলো পরে যে কোথায় হারিয়ে গেল আর খুজে পাওয়া যায়নি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসীন আলী বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের নিয়ে কটাক্ষ করে আসছিলেন্। বিশেষ করে তার ‘খবিশ’ কথাটি একসময় জাতীয় ব্রান্ডিংএ রুপ নেয়। সর্বশেষ তার মেয়ের বিয়েতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করা মন্তব্যটি দেশেব্যপি আলোড়ন সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডেকে বলেছেন, হাসানুল হক ইনু ১৪ দলের নেতা, আর তুমি আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা। সাংবাদিকরা যা ইচ্ছে লিখুক, তাতে কিছু যায়-আসে না। তুমি চালিয়ে যাও।’

মন্ত্রী বক্তৃতার একপর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে ‘খবিশ’ ও ‘চরিত্রহীন’ বলে ভৎসনা করেন। তিনি বলেন, ‘এরা সবটা খবিশ, চরিত্রহীন! স্বাধীন কমিশন হলে পরে দেখে নেব—তোমরা (সাংবাদিকেরা) কতটুকু যেতে পার!’

‘খবিশ’ ও ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্যের পর মিলনায়তনে উপস্থিত সাংবাদিকেরা প্রতিক্রিয়া দেখান। সাংবাদিক গ্যালারিতে থাকা সব সাংবাদিক নীরবে বের হয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি খবিশ ও চরিত্রহীন বলে গালি দেন। (প্রথম আলো, ১০ আগষ্ট ২০১৪)

মহসীন আলীর এ বক্তব্য মোটামুটি বেশ কিছুদিন প্রিন্টমিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আলোড়ন তুলে চলছিল। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভালবাসেন, পছন্দ করেন দেশের সচেতন প্রতিটি নাগরিকই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। তারপর এটিও যে কোথায় হারিয়ে গেল হদিশ পাওয়া গেলনা।

সর্বশেষ নিউইয়র্কে হজ্জ ও তাবলিগের বিরুদ্ধে বিষেদাঘার করতে গিয়ে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ‘টক শো’র আলোচকদের ‘টকমারানি’ বলে কটাক্ষ করেন সরকারের এই জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যারা টক শোতে যায়, তারা টকম্যান। নিজেদের কোনো কাজ না থাকায় ক্যামেরার সামনে যেয়ে তারা বিড়বিড় করে। এই টকমারানিদের আর কোনো কাজ নেই।’

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েও বারবার মেজাজ হারান টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচিত সাংসদ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ধমক দিয়ে বলেন, ‘আমি কি তোমার মতো কথা বলব? আমি আমার মতো কথা বলব। তুমি এখানে আসলা কেন, তোমাকে কে বলেছে আসতে?’ (প্রথম আলো, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪)

লতিফ সিদ্দিকীর এ বক্তব্যটির বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা কথা বললেও হজ্জ এবং শেখ হাসিনার পুত্র জয় সম্পর্কে কটুক্তির কারনে এটা তেমন জাতীয়তা পায়নি। বরং লতিফ সিদ্দিকী জয় সম্পর্কে কটুক্তির কারনে অবৈধ নিয়োগকর্তার দেয়া অবৈধ চাকুরীটির পাশাপাশি তার দলীয় পদটিও হাতছাড়া হয়। যদিও এটিকে হজ্জ নিয়ে কটুক্তির শাস্তি বলেও অপপ্রচার চালিয়ে যেতে চাইছে সরকারী মহল।এ প্রসঙ্গ অবশ্য চলতি তর্ক এবং বিতর্কের বিষয়। সুতরাং এপ্রসঙ্গে আর অগ্রসর না হওয়াই ভাল।

আবার ফিরে আসি পানি এবং জল’কে ঘিরে। আমাদের দেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটে সাধারনতঃ সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকজন বিশেষ করে মুসলমানরা H2O নামের এ তরল রাসায়নিক পদার্থটিকে পানি বলতেই পছন্দ করে। অপরদিকে দেশের সংখ্যা লগিষ্ঠ লোকজন বিশেষ করে হিন্দুরা এটিকে জল বলতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।আবারও ঘুরে ফিরে যাহা জল তাহাই পানি কিংবা যাহা পানি তাহাই যদি জল হয় তাহলে একজন শামীম ওসমান, লতিফ সিদ্দিকী কিংবা মহসীন আলী সাংবাদিকদের বকাঝকা কিংবা বাঁকা কথা বললে সেটা কটাক্ষ হবে তাই নিন্দনীয় হবে; অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নামধারী শেখ হাসিনা বললে সেটা হাসি-তামাসা হবে, হাসির রোল পড়ে যাবে এবং লোক লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যাবে। কিন্তু কেন? তাহলে কি বলা যায় পানির চেয়ে জল বেশী সুপেয় কিংবা পানি এবং জলে আসলেই প্রার্থক্য আছে? আর আমরা এতদিন যে বলতাম, পানি এবং জলে প্রার্থক্য কোথায়? এ প্রশ্ন করাটাও ভুল ছিল?

______________মম, দাম্মাম, ২৮ অক্টোবর ২০১৪

বিষয়: বিবিধ

১৫১১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

278916
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
কুশপুতুল লিখেছেন : কাজে এক হলেও নামে পার্থক্য আছে।
278920
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পানি সংস্কৃত! জল বাংলা!

তাই এখন আমাদের জল কে পানি,পানিকে জল বানিয়ে বুঝান হচ্ছে!!!
278967
২৮ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫১
মামুন লিখেছেন : নামে কি বা আসে যায়? তবে যদি মনের গভীরের কুচিন্তা বা খারাপ উদ্দেশ্যে যখন একে নিয়ে আলোচনায় তোলা হয়, তখনই জল ও পানির প্রভেদটা বেশী করে চোখে পড়ে। নচেৎ যাহাই জল, তাহাই পানি।
লেখাটি খুব ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File