আসুন এক নজরে দেখে নিই আওয়ামী হানাদারের কিছু বর্বরতা।
লিখেছেন লিখেছেন মিশন০০৭রক্স ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০৮:২৭:৩৮ সকাল
দেশ জুড়ে আওয়ামী পুলিশের (হানাদার) নির্যাতন নিপীড়ন পাকিস্তানী হানাদারকে হার মানিয়েছে,৭১এ যেমন সুবিধাবাদীদের সহায়তায় মুক্তিবাহিনীদের খুঁজে খুঁজে বের করে আটক,নির্যাতন ও হত্যা করেছে, ঠিক একই কায়দায় আওয়ামী পুলিশও প্রতিপক্ষকে স্থানীয় আওয়ামিলীগের সহায়তায় মহল্লায় মহল্লায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করছে,গেফতার করেই ক্ষান্ত নয় এই নব্য হানাদাররা,চালানো হচ্ছে রিমান্ডের নামে চরম যার পর নাই নির্যাতন।হাতে পায়ে গুলি করে জীবনের জন্য বিকলংগ করে দিচ্ছে,পুরুষাংগ থেতলে দেয়ার মত হীন জঘন্য কাজও করেছে,গ্রেফতারের পর পুলিশের হাতে হত্যার ঘটনাও এখন মামুলি বেপার।
এই হানাদারদের হাত থেকে রেহাই পায়নি নারী,শিশু,বৃদ্ধরাও।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী চিটাগং শিবিরের মিছিল থেকে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে চোখ উফডিয়ে হত্যা করে শিবির কর্মী আবিদকে।
গত ৪ জানুয়ারী ঢাকা মহানগরী ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলামকে কুষ্টিয়ার কুমারখালি থেকে RAB এর পোষাকে কিছু লোক গ্রেফতার করে পরে হ্যান্ডকাফ পড়া অবস্থায় নদীর পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।এখন জানার বিষয় হলো কারা তাকে হত্যা করেছে কেন করেছে?জানি এর উত্তর কারো কাছে নেই।
১৫ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজারে পুলিশ একটি রুমে নবাব মিয়া নামের এক যুবককে বুকে লাঠি দিয়ে মাটিতে ফেলে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করতেও দেখেছে সারা দুনিয়া।
এই হানাদাররা ২৮ ফেব্রুয়ারী জাশি গণহত্যার কারণে আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে তাদের পলিসি পরিবর্তন করেছে এখন তারা সরাসরি খুন না করে থানায় নিয়ে খুব ঠান্ডা মাথায় হাতে ও পায়ে গুলি করছে যার নমুনা আমরা রিসেন্ট বাংলা ভিশন রিপোর্টে দেখেছি।
আজ এক বন্ধুর সাথে কথা বলে খুব বেশি অভাক হয়েছি, সম্প্রীতি পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে সে,এখন বেসরকারী এক হাসপাতালে চিকিত্সা নিচ্ছে। ডাক্তার বলেছে হাত কেটে ফেলতে হবে অনেক টাকা দরকার, কান্নার কারণে ফোনে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারিনি। সর্বশেষ লাইন কাটার আগে বললাম আমি এই বিষয়ে ব্লগ,ফেসবুকে কিছু লিখব।কিন্তু হাতজোড় করে মানা করেছে সে না লিখতে, চোখ বড় বড় করে জিগ্গেস করলাম কেন?সে বলল পুলিশ নাকি রাজধানীর প্রায় সব হাসপাতাল গুলোতে হানা দিচ্ছে,ওর ওখানে গিয়েছিল দুই বার,পুলিশ সাফ বলে দিয়েছে প্রকাশ করলে,অথবা কাউকে সাক্ষাতকার দিলে জানে মেরে ফেলবে।কেউ জিগ্গেস করলে একসিডেন্টের কথা বলতে বলে দিয়েছে পুলিশ,বেচারা হাত হারিয়েছে কিন্তু জীবন হারাতে কোনো ভাবেই রাজী নয়,সুন্দর এই ধরনীতে কে বাচতে না চায়।
অপরিচিত এক বন্ধু ফেবুতে মেসেজ দিল,রাজ্গঞ্জে কিছু এলাকা প্রায় পুরুষ শূন্য রাতে পুলিশের গ্রেফতারের ভয়,দিনে স্থানীয় আওয়ামী নেতার ভয়,মামলায় ঢুকিয়ে দিবে বলে চাদাবাজিও চলছে তুঙ্গে। তাই প্রতিপক্ষ জামাত-বিএনপি এখন দিশেহারা।বাড়ি ছাড়তে হয়েছে অনেককে অথচ প্রথম আলো সহ হলুদ মিডিয়া গুলো মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে জামাত-শিবির মন্দির হামলা করে পালিয়েছে বলে।
আরেক বন্ধুকে এলাকার আওয়ামী চেলারা ইবনেসিনার চাকরি না ছাড়লে সাইজ করে ইবনেসিনায় পাঠিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে।
মসজিদও বাদ যায়নি আওয়ামী হানাদারদের হাত থেকে।
এই হলো সারা বাংলায় আওয়ামী বর্বরতার এক খন্ডচিত্র।
আওয়ামী হানাদারের কাছে মানুষের লাশ এতটাই সস্তা
[img]http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/Mission/1364008521.png[/img
ছবিতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী হানাদারের সাথে হত্যা জগ্গে প্রত্যাক্ষ অংশ গ্রহণ করছে কিছু নব্য আওয়ামী রাজাকারও।
এভাবেই চলছে।চলতে থাকবে যতদিন না এই হানাদারের পতন হচ্ছে।বাংলার দামাল ছেলেদের বলছি,রুখে দাও এই আওয়ামী হানাদারদের,এরা পাকিদের চেয়ে কোনো ভাবেই শক্তিধর নয়।মুক্তি দাও এই হতভাগা জাতিকে,তোমাদের চোখে আমি আগুনের ফুলকী দেখেছি,পারবে তোমরাও।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন