উত্তর খুঁজে ফিরি।

লিখেছেন লিখেছেন মিশন০০৭রক্স ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০৭:০৪:০৭ সকাল

একটি প্রশ্নের উত্তর আমার কোনো আওয়ামী বন্ধু দিতে পারেননি,আর পারবেইবা কেন তারাতো আল্লাহতে বিশ্বাসী দাবীদার।এমনকি চ্যানেল "S" এর টক শো'তে আগত আওয়ামী বোদ্ধারাও এর উত্তর দিতে পারেনি,শুধু মাথা নিচু করে কথা গুলো গিলেছেন।মনের কোণে যে প্রশ্নের আকু বাকু করছে এখন তার আলোকপাত করা যাক,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করে ফেসবুকে মন্তব্য লেখায় ২০১১ সালের ২ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আই টি প্রভাষক মোহাম্মদ রুহুল আমিন খন্দকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করা হয়। খণ্ডকালীন শিক্ষা ছুটিতে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা রুহুল আমিন মামলার শুনানির নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে হাজির হতে না পারায় ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। কিন্তু রুহুল আমিন ওই রুলেরও জবাব না দেয়ায় ২০১২ সালের ৪ জুন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আদালত অবমাননার দায়ে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডও দেন।

এখানে শুধু একটি ঘটনা উল্লেখ করেছি কিন্তু এভাবে শত শত মানুষকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বাকশালী আওয়ামী নিয়ন্ত্রিত কোর্ট গুলো। কারো মান হানির পক্ষে আমি নই,যদিও মানুষের বাক স্বাধীনতা রয়েছে।তবে মান হানির বাক স্বাধীনতা নেই।

আমার কথা হলো,শেখ হাসিনা একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী।তাকে কটূক্তি করায় যদি শাস্তি দেয়া হয়। তাহলে আজকে একটি ব্লগার চক্র সারা জাহানের মালিক আল্লাহ, রাসুল, কুরআন হাদীস ও মসলমানদের ইবাদত নিয়ে যে চরম কটূক্তি করেছে তার বিচার কেন করা হবেনা।

কেন তাদেরকে বিচারের আওতায় না এনে কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রধান মন্ত্রী সহ ছোট বড় মন্ত্রী গুলো পার্লামেন্টেও থাবা বাবা ওরফে রাজীব কে শহীদ উপাদি দিয়েছেন, ঘৃণা আর লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে।থাবা বাবাকে শহীদ উপাধি দিয়ে হাসিনা ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা আমাদের গৌরব মুক্তিযুদ্ধের আসল শহীদদের অপমান করেছে।

দুঃক্ষ হয় যখন দেখি ৮৭% মোসলমানের বাংলাদেশে মাওলানা আল্লামা সাঈদীকে ২০১০সালে ধর্ম অবমাননার দায়ে গ্রেফতার করা হয় যিনি সারাটা জীবন ইসলামের খেদমত করেছেন অন্যদিকে ধর্মদ্রোহী ব্লগার চক্রকে হাসিনা সরকার অশ্রধারী গার্ড দিয়ে প্রটেক্ট করছে যারা আল্লাহকেও ফাসি দেয়ার হুমকি দেয়।পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে হাসিনা সরকার জামাতে ইসলামের বিরুধিতা করতে করতে এখন সরাসরি ইসলামের বিরুধিতা শুরু করেছে।

একটা কথা বলে রাখা উচিত যে,একজন মানুষ আল্লাহতে বিশ্বাস করবে কি করবেনা এটা সম্পূর্ণ তার বেপার কিন্তু কারো ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার কারো নেই।অথচ এই ব্লগার চক্র (রাজীব ওরফে থাবা বাবা, আসিফ মহিউদ্দীন, ইমরান সরকার, ইব্রাহীম খলিল সবাক, অমি রহমান পিয়াল, আরিফুর রহমান ওরফে নিতাই ভট্টাচার্যসহ আরও বেশ কয়েকজন স্বঘোষিত নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহী)আল্লাহ,রাসূল ও ইসলাম ধর্মকে নিয়ে এতটা মন্দ ভাষায় গালি গালাস করার পরও এখনো বহাল তবিয়তে আছে বরং তাউহিদী জনতা প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর নির্লজ্জ ভাবে গুলি চালানো হয়।আমার প্রশ্ন হচ্ছে কেন এবংকারা এই গুলি চালিয়েছে?তারাকি মুসলমান নই?কার নির্দেশে,কিসের স্বার্থে এই শান্তিপ্রিয় নিরঅশ্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিলো???পারবেন কি কেউ আমাকে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে???

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File