ইসলামী সমাজের সংবাদ সম্মেলন” ইসলামী সমাজের উদ্যোগে- আগামী কাল ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ঈসায়ী, বুধবার, সকাল ১১:০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলার হলরুমে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৬:১২:৪৫ সন্ধ্যা
আগামী কাল বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারী, সকাল ১১টায় “ইসলামী সমাজের সংবাদ সম্মেলন”
ইসলামী সমাজের উদ্যোগে- আগামী কাল ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ঈসায়ী, বুধবার, সকাল ১১:০০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩য় তলার হলরুমে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশ ও জাতির মুখপাত্র দেশের সকল প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সকল সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে জাতির মানুষের সার্বিক কল্যাণে ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর “ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উগ্রতা ও জঙ্গীবাদ ইসলাম নয়, সন্ত্রাসবাদ” এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন এবং ‘ইসলামী সমাজ’ এর অবস্থান সম্পর্কে সকলকে অবহিত করবে /
চট্টগ্রামে ইসলামী সমাজের ২৪ নেতা কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে সংগঠনের আমির হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উগ্রতা ও জঙ্গিবাদসহ যে কোন ধরনের অপতৎপরতা ইসলাম ও মানবতা বিরোধী চরম অপরাধ। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) শান্তিপূর্ণ ভাবে ইসলামের প্রচার এবং ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজ গঠন করেছিলেন। দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদারগণের সমাজ গঠনের প্রেক্ষিতে সকল প্রকারের বিরোধিতা ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে ধৈর্য ও ক্ষমাই ছিল আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর অনুসারী ঈমানদারগণের নীতি।
‘ইসলামী সমাজ’ এর নেতা ও কর্মীরা ধৈর্য ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত দলমত নির্বিশেষে সকলকে দিয়ে যাচ্ছে। সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতি কাজের অংশ হিসেবেই চট্টগ্রামে মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী এবং আমীর হোসাইন গত শুক্রবার মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ দুইজন দায়িত্বশীলসহ গ্রেফতার হওয়া নেতা, কর্মীরা সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কর্মকা-ের সাথে সম্পৃক্ত নন এবং কোন প্রমাণও নেই। তিনি তাদের নিঃশর্ত মুক্তি প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানান।
সৈয়দ হুমায়ুন কবীর বলেন, ইসলামী সমাজ জঙ্গিবাদবিরোধী দাওয়াতি কাজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই করে আসছে। পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল করার সংখ্যা অগণিত। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তারা ইসলামী সমাজের প্রকাশ্য দাওয়াতি কাজ সম্পর্কে অবহিত। এর পরও পুলিশের নি¤œপর্যায়ের কোন কোন কর্মকর্তার ইসলামী সমাজের নেতা কর্মীদের জঙ্গি বলে গ্রেফতার করে আদালতে তা কখনও প্রমাণ করতে পারেনি। একই কারণে চট্টগ্রাম আদালত গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড মঞ্জুর করেনি। বরং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকতার বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করে ৩ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করার কারণ প্রমাণ দিতে বলেছেন। অতএব আমাদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার তার ভুল বুঝতে পারবেন এবং যথাযথ ভূমিকা নিবেন।
বিষয়: বিবিধ
১২০১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Please go ahead, Ask him to the Press club.He will be available there. This will be a good opportunity for you.
মন্তব্য করতে লগইন করুন