সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর”– এ মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠন করে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণকর একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম”
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:৩২:৫০ রাত
দেশে বিদ্যমান ও চলমান সংকট থেকে দেশ ও জাতির মানুষের উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে- সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুযোগ রেখে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর”– এ মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠন করে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণকর একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ করা। একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর আইন-বিধান দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত রাষ্ট্রই মূলতঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য একমাত্র কল্যাণকর রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে গঠিত সরকার আল্লাহর আইন-বিধান দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করলেই সকল মানুষ তাদের সকল অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারবে এবং প্রত্যেক মানুষই নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। মানুষের মাঝে সকল বৈষম্য দূর হয়ে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশ ও জাতির অর্থনৈতিকসহ সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
সুতরাং দেশে চলমান সংকট থেকে উত্তরণে জাতির মানুষের একমাত্র করণীয়:
০১. সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের পরিবর্তে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানার ঘোষণা করতে হবে।
০২. মানব রচিত আইন-বিধানের পরিবর্তে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধানের আনুগত্য করার অঙ্গীকার করতে হবে।
০৩. মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক নেতৃত্বের আনুগত্য ত্যাগ করে আল্লাহর সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ করার অঙ্গীকার করতে হবে।
০৪. ইসলাম-এর পথে চলা এবং আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণে, তাঁরই প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা’র নেতৃত্বে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং এ পথে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও বাঁধার মুকাবিলার দায়িত্ব সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে দৃঢ় থেকে তাঁরই উপর পূর্ণ নির্ভর করতে হবে। নিয়মিত ছালাত এবং অহির প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ঈমান, চরিত্র ও আমলের উন্নতি সাধন করতে হবে।
এ চারটি বিষয় গ্রহন এবং অর্থ ও সময় ব্যয়ের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আন্তরিক চূড়ান্ত চেষ্টার প্রেক্ষিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশেষ রহমত ও সাহায্যে ভুল নেতৃত্ব এবং অপরাজনীতির রাহুগ্রাস থেকে জাতি মুক্তিলাভ করবে এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্ব সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে কল্যাণ ও শান্তির পথে পরিচালিত হওয়ার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সংকট মুক্ত হবে।
এ লক্ষেই “ইসলামী সমাজ” সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর” এ মহা সত্যের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আপনাদের সকলের প্রতি আন্তরিক ও উদাত্ত আহ্বান- আসুন, দলমত নির্বিশেষে আমরা সকলে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হই এবং নিজের, জাতির ও মানবতার কল্যাণে দেশ ও জাতিকে সংকট মুক্ত করার লক্ষে “ইসলামী সমাজ” এ শামিল হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার নৈতিক, মানবিক ও ঈমানী দায়িত্ব পালন করি।
সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই আমাদের একমাত্র সহায় ও সাহায্যকারী। আমীন!
আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা
(সৈয়দ হুমায়ূন কবীর)
আমীর, ইসলামী সমাজ।[।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন