সমাজ ও রাষ্ট্র ‘ইসলাম’ এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হলে মানুষের দুনিয়ার জীবনে অশান্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চল্লে মৃত্যু পরবর্তি জীবনে স্থায়ী ঠিকানা হবে জাহান্নামের আগুনেই। ইসলামী সমাজ” এর আমীর, হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৫:৩৩:২৪ বিকাল
ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ইসলাম’ই সমাজ ও রাষ্ট্রসহ মানুষের জীবনের সকল দিক ও বিভাগ পরিচালনা করার জন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। ইসলামে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহ্র, মানুষের নয়- এটাই মহা সত্য। তিনি বলেন, গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের বিধায়; সকল প্রকার মানব রচিত মতবাদই অকল্যাণকর ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র ‘ইসলাম’ এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হলে মানুষের দুনিয়ার জীবনে অশান্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং মানব রচিত ব্যবস্থা মেনে চল্লে মৃত্যু পরবর্তি জীবনে স্থায়ী ঠিকানা হবে জাহান্নামের আগুনেই।
জনাব সাঈদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে ঢাকা, বাসাবো কদমতলা সংসদ সংলগ্ন মাঠে ‘দেশে চলমান সকল সংকট উত্তরণের এবং জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণের উপায়’ বিষয়ে আজ বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহ্ফিলে “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের মানুষ ‘গণতন্ত্র’ নামক মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে জনগণকে অর্থাৎ নিজেদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্বের মালিক ঘোষণা দিয়ে গণতান্ত্রিক সংসদ সদস্যদেরকে আইনদাতা এবং সরকারকে শাসনকর্তা মেনে মানুষেরই মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্য স্বীকার করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব ব্যাবস্থা ‘ইসলাম’ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যার কারণে আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের আযাব-গযবের অংশ হিসেবেই “অর্থ সম্পদ ও ক্ষমতার মোহ এবং আধিপত্য বিস্তার” নিয়ে জাতির মানুষ বিভক্ত হয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষে জড়িয়ে অশান্তির দাবানলে জ্বল্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত থাকার স্বাভাবিক পরিণতি হিসেবেই দেশে গঠিত বিভিন্ন জোট সমূহের মধ্যে দ্বন্ধ, সংঘাত-সংঘর্ষ এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উগ্রতা ও জঙ্গিতৎপরতা চলছে, এসবই ইসলাম ও মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা। তিনি বলেন, মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত ব্যবস্থার ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের ভুল নেতৃত্ব ও বিভ্রান্তিমূলক অপতৎপরতার কারণেই মানুষ মানুষকে গুম, খুন ও গুলি করছে মানুষের জান, মাল ও যানবাহনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, জাতির মানুষ আতংকিত হয়ে বহুবিধ সমস্যায় জড়িয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা নিয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে। দেশ ও জাতির এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুযোগ রেখে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব কল্যাণকর ব্যবস্থা “ইসলাম” প্রতিষ্ঠাই দেশের চলমান সংকট সহ সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান।
জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিনের পরিচালনায় “ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী আমীর (নেতার) নেতৃত্বে ঈমানদার সৎকর্মশীলগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা (খিলাফত) লাভ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণতন্ত্রের অধীনে জোট, ভোট ও নির্বাচন কিংবা সশস্ত্র সংগ্রাম “ইসলাম” প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের পদ্ধতি নয়। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী আমীর লোকদেরকে মানব রচিত ব্যাবস্থা ত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে “ইসলাম” গ্রহনের দাওয়াতের মাধ্যমে “ইসলামী সমাজ গঠন” আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকবেন এবং ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে ঈমানের উপর দৃঢ় থাকবেন। এভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানের সর্বোচ্চ পরিক্ষায় ঈমানদারগণ উত্তীর্ণ হলেই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ’ই তাদেরকে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দিবেন। এটাই ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের আল্লাহর নির্দেশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি। নিজেদের সময় ও অর্থ কুরবানীর মাধ্যমে এ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্ঠা করাই আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের উপায়।
“ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রদর্শিত পদ্ধতিতেই “ইসলামী সমাজ” গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে এসব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর” এ মহা সত্যের ভিত্তিতে মানব রচিত ব্যাবস্থা দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত সকল ‘জাহিলি সমাজ’ এর বিপরিতে “ইসলামী সমাজ গঠন” এর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকল প্রকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে “ইসলামী সমাজ” এর দৃঢ় অবস্থান। দেশে চলমান সংকটসহ সকল সমস্যার সমাধানে এবং আখিরাতে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেয়ে জান্নাত লাভে জাতি,ধর্ম নির্বিশেষে দেশবাসী সকলকে তিনি সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ গঠন’ এর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শামিল হওয়ার উদাত্ত আহবান জানান। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সর্ব জনাব আবু জাফর মুহাম্মাদ ইকবাল, সোলাইমান কবীর, ইউসুফ আলী, মোঃ আমীর হোসাইন, আবু শামাহ, মোঃ আসাদুজ্জামান ও আজমুল হক প্রমূখ।
দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে আল্লাহ রাব্বূল আলামীনের নিকট দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের সমাপ্তি হয় ।
যোগাযোগ
ইসলামী সমাজ
৪নং দক্ষিণ বাসাবো (কাজী অফিস সংলগ্ন)
ঢাকা-১২১৪।
মোবাইল: ০১৭৩৯২৭৪৬৬৪, ০১৯২৭৩৮৬৫১৫, ০১৭১৮৩৪৩৮৭০, ০১৭১৬৪৪২১৩৬, ০১৯১৯৮৪৪২১০, ০১৮১১৬৫০৬২৮।
ইমেইল:
ISLAMI SOMAJ
4, South Basabo (Beside Kazi Office)
Dhaka 1214.
Mobile No:01739274664, 01927386515, 01718343870, 01716442136, 01919844210, 01811650628
email :
বিষয়: বিবিধ
১৩২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন