গণতন্ত্র’ মেনে নিলে ‘ঈমান ও ইসলাম’ কিছুই থাকে না। -আমীর, ইসলামী সমাজ
লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৮:১৭:২৩ সকাল
ইসলামী সমাজ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব কল্যাণ কর ও পরিপূর্ন একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলাম এর মূল বিষয় হল সার্বভৌমত্ব আইন বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর। মানুষের নয় ! এ মহা সত্যের ফলশ্রুতিতে দাসত্ব আইনের আনুগত্য উপাসনা একমাত্র আল্লাহর এবং শর্তহীন অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অন্যকারো নয়। তিনি বলেন গণতন্ত্র সহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষর মেনে এবং মানুষের মনগড়া আইন বিধানের আনুগত্য স্বীকার করে আল্লাহর সাথে শির্ক ও কুফরিতে লিপ্ত হয়ে তারই বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হয় । তিনি বলেন মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক বাহক নেতা বা সরকারের আনুগত্য স্বীকার এর মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল এর শর্তহীন অনুগত্যে শির্ক ও কুফরের করে তারই রাসূল এর আনুগত্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হয় সুতরাং গণতন্ত্র সহ কোন প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থাই আল্লাহর নিকট গ্রহণ যোগ্য নয় এবং তা মেনে চলার পরিনতি আল্লাহর আযাব গযব এর স্বীকার হয়ে দুনিয়ার জীবনে দুর্ভোগ ও অশান্তি এবং আখিরাতের জীবনে নিশ্চিত জাহান্নাম এর কঠিন শাস্তি । সুতরং গণতন্ত্র সহ সকল প্রকর মানব রচিত ব্যবস্থাই শিরকি ও কুফরি ব্যবস্থা, অকল্যাণকর ব্যবস্থা।
জনাব আকিক হাবিবুজ্জামানের সভাপতিত্বে “ইসলাম’এর দৃষ্টিতে গণতন্ত্রিক ব্যবস্থা এবং আমাদের করণীয়” ইসলামী সমাজ এর আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বর্তমান বিশ্বের সকল রাষ্ট্রেই আল্লাহ প্রদত্ব ব্যবস্থা ইসলাম এর পরিবর্তে প্রতিষ্ঠিত আছে মানব রচিত ব্যবস্থা। তিনি বলেন কয়েকটি রাষ্ট্র ব্যতিত বাংলাদেশ সহ সকল রাষ্ট্রই গণতান্তিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার নামে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে মানবতা বিরোধি অপতৎপরতা চলছে একথার উল্যেখ কর তিনি বলেন বর্তমানে বাংলাদেশে ১৪ দলীয় সরকারি জোট গণতন্ত্র কে সুসংহত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করার কথা বলে বিরোধী দল ও জোটের বিভিন্ন ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনকে দমন করার জন্য তাদের উপর বিভিন্নমূখী দমণ-পীড়ন চালাচ্ছে। অন্যদিকে ১৮ দলীয় সরকার বিরোধী জোট বর্তমান সরকারের প্রতি গণতন্ত্র ধ্বংস করার অভিযোগ দিয়ে তাদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামের নামে উস্কানীমূলক কর্মকান্ড করছে। তিনি বলেন, সরকারী জোট ও সরকার বিরোধী জোটের গণতন্ত্র নিয়ে বিভ্রান্তি মূলক এসব কর্মকান্ড এবং উভয় পক্ষের সংঘাত ও সংঘর্ষময় অবস্থার কারণে দেশ ও জাতির মানুষ তাদের জান ও মালের ক্ষতিসহ বহুবিধ সমস্যায় জাড়িয়ে দিশেহারা হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে।
জনাব সোলাইমান কবীর এর পরিচালনায় উক্ত আলোচনা সভায় ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্রের অধিনে নির্বাচন করতে হলে মানুষের সার্বভৌমত্ব মনে এবং মানুষের মনগড়া আইন বিধান ও এরই ধারক বাহক সরকারের আনুগত্য স্বীকার করতে হয় যা শিরক ও কুফর । শিরক ও কুফর করলে ব্যক্তি বা জতির অবস্থান ইসলাম এর পরিবর্তে জাহিরাতেই স্বীকৃত হয় । তিনি বলেন ইসলাম এর দৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহনযেগ্য নয় এবং এ্টা শিরকি ও কুফরি ব্যবস্থা বিধায় তা মেনে নিলে ঈমান ও ইসলাম কিছুই থাকে না তিনি বলেন গণতন্ত্র মেন চলার পরিনতি দুনিআয় অকল্যাণ ও অশান্তি এবং আখিরাতে নিশ্চিত জাহান্নাাম এর কঠিন শাস্তি । দুণিয়াতে শান্তি ও কল্যাণ এবং আখিরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত লাভ করত হলে গণতন্ত্র সহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থ পরিত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্র সহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌম্ব আইন-বিধন ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর মেনে কেবলমাত্র তার দাসত্ব এবং তারই আইন-বিধানের অনুগত্য ও তারই উপাসনা করার অঙ্গীকার এবং এর বাস্তবায়নে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’এর শর্তহীন অনুসরণ ও অনুকরণের অঙ্গীকার করে ইসলামে অবস্থান নিয়ে শন্তিপূর্ন পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্তপ্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। “ইসলামী সমাজ” এ মহান ঈমানী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি দুনিয়ায় কল্যাণ, শান্তি এবং আখিরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ‘ইসলামী সমাজ’এ শামিল হয়ে ঈমানী দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব আবু জাফর মুহাম্মাদ মুহাম্মাদ ইকবাল ও মুহাম্মাদ ইয়াছিন প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে আমাদের ভালোর জন্য চেষ্টা তো করতে।
এই পদ্দতিতে আপনি ভাল লোকদের সংসদে পাঠান।
ভাল লোকরা ভাল কথা বলবে ।
আল্লাহর ভয় যাদের কাছে আছে তারা জনগনের সম্পদ চুরি করতে আল্লাহকে ভয় করবে।
আমরা সব কিছু হারাম হারাম বলে ভাল লোকরা দুরে সরিয়ে থাকলে আমাদের উপর নাস্তিক বেঈমান রা শাষন করবে।
যাহা করছে।
সুতারাং সকল ভেদাভেদ ভুলে আলেমদের এক হতে হবে।
তা না হলে কাল কিয়ামতে কাদাচোড়া চুড়ির জন্য আল্লাহর আজাব থেকে কেউ রেহাই পাবেনা।
পরিশেষেঃ আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন ।আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন